বিশ্বের প্রাচীন লাইব্রেরি
“তোমাদের জিজ্ঞাসা নিয়ে গুগল নয়,
লাইব্রেরিতে যাও।
গুগল তোমার প্রশ্নের এক লক্ষে উত্তর দেবে। আর বই তোমাকে দেবে সঠিক উত্তর। তাই আজও আমাদের সেরা শিক্ষক হল লাইব্রেরি।“
ইংরেজি লেখক- নিলগাইম্যান
লাইব্রেরি এল কেমন করে?
আমাদের আগের যুগের মানুষরা যা জেনেছে, যা শিখেছে বা জীবনে চলতে গিয়ে যে সব আভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে, লিখতে শেখা মাত্র সেই জ্ঞান লিখে রেখে গেছে, পরের যুগের মানুষের জন্য।যাতে পরের যুগের মানুষেরা বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করে নিজেদের জীবনকে সহজ করে চালাতে পারে। যুগযুগ ধরে মানুষের মধ্যে তার সময়ের কথা পরের যুগের মানুষকে জানানোর একটা চেষ্টা থাকে। বর্তমান কালে এই কাজটি অতিসহজ নয়। তারা তাদের মুখের ভাষা অপরের মুখে বসিয়ে দিতেন। যাতে পরের কালের মানুষরা জানতে পারে ও শিক্ষা লাভ করতে পারে এবং ভবিষ্যতের জীবনে আলোকিত করতে পারে।
এই চলমান কালে তথা আজ সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাই। সেই সব পুস্তক থেকে যে সব পুস্তক গুলো আগের যুগের মানুষেরা লিখে গিয়েছে। আর ধারণা অনুযায়ী এই কথাটি বিশ্বাস করা যাই যে এখন আমাদের সমাযে ইন্টারনেট সিস্টেম এসেছে। যে আমাদের কে সমস্ত সমস্যার সমাধান ও তথ্য খুঁজে দেয়।আর ইহা আমাদের জন্য অনেক সহযোগিতার রাস্তা হয়ে যাই।
প্রাচীন লাইব্রেরি:
প্রাচীন জামানাতে মিশরের রাজধানী ছিল আলেকজান্দ্রিয়া। এই শহরটি স্থাপন করেছিলেন সম্রাট আলেকজান্ডার। তিনি চেয়েছিলেন, এখানে একটি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করবেন। সেখানে সারাবিশ্ব থেকে বই এনে রাখা হবে।বড়ো বড়ো পণ্ডিত ও মনিষীদের বই এখানে সংরক্ষণ করে, মানুষের জ্ঞান ভাণ্ডার পুর্ন করা হবে। ভবিষ্যতের মানুষ যাতে সেসব দেখতেপায়, পড়তে পারে। কত স্বপ্ন ও আশা ছিল তার জীবনে,
কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডারের। সম্রাটের মৃত্যুর পর তার সাম্রাজ্য নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। এবং তার সৈনিক বা জেনারেলরা বিভিন্ন প্রদেশে ক্ষমতা হস্তগত করলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রথম টলেমীসটার।
লাইব্রেরীর নির্মান:
আলেক জান্ডারের সেই ইচ্ছে পুর্ন করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রথম টলেমী এবং তার পুত্র দ্বিতীয় টলেমী। প্রথম টলেমী সেখানে লাইব্রেরী তৈরির দায়িত্ব দেন বিখ্যাত গ্রীক লেখক ও দার্শনিক দিমেত্রিয়াসকে। এই লাইব্রেরী অতি শীঘ্রয় গড়ে উঠেছিল। এবং সারা বিশ্ব থেকে জ্ঞানের পুঁথি ও লিপি পত্র জোগাড় করে আনা হত। প্রচুর লোক এখানে লিপিকর হিসাবে কাজ করতেন। বিশাল ছিল এই লাইব্রেরীর আয়াতন। এখানে বিখ্যাত মানুষের বই এনে রাখাছিল।যেমন নাট্যকার ইশপইলাস, সোফোক্লিস, ইউরিপিদিস প্রমুখ।
ইতিহাস বিদদের অনুমান ৪৭ খ্রিষ্টপুর্বে জুলিয়াস সিরাজ যখন আলেক জান্দ্রিয়ায় আক্রমণ করেন, তখন তিনি শহরে আগুন লাগিয়ে দেন। সেই আগুনে পুরে ছাই হয়ে গিয়েছিল এই লাইব্রেরীও। এটি ইতিহাস বহু পুরনো। অনুমান করা হয় যে এই লাইব্রেরীটি প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগেকার। তারা অনুমান করে- মানুষের সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যত তাদের জ্ঞানতৃষ্ণা বেরেছে, ততই সে আঁকরে ধরেছে উন্নতের জ্ঞানকে। তাই সে সময় প্রভাব পড়েছিল পুস্তকের। এই তৃষ্ণা থেকেই গড়ে উঠে ছিল লাইব্রেরীর ভাবনা।
তবে আজকের লাইব্রেরীর তুলনায় প্রাচীন যুগের লাইব্রেরীর একটি বৃহৎ পার্থক্য ছিল। যেমন সেজামানাই লাইব্রেরী মানে ছিল বিভিন্ন ধরনের প্রামাণ্যনথি বাপুঁথি। পরে যখন মানুষ লিখতে শিখল অর্থাৎ মাটির প্লেটে নকশা তৈরি করা, কলার পাতায় লেখালেখি এবং লিপি শিল্প, তখন লেখাগুলোকে তারা সংগ্রহ করে রাখত।
পাঁচ হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় সপ্রদায়ের মানুষেরা মাটির প্লেটে বানিয়ে তার উপর লিখত এবং সেগুলি শুকিয়ে রেখেদিত। এগুলিকে বলা হত কিউনিফর্ম। পরবর্তিকালে বহু লাইব্রেরীতে সেগুলি রাখা থাকত।
এই সব সংগ্রহকে লাইব্রেরীয় পরিভাষাই বলা হত স্ক্রল। বর্তমানে বিশ্বের বিখ্যাত লাইব্রেরী গুলি
এই বিশ্বে প্রাচীন কালের অসংখ্যা লাইব্রেরী ছিল।এগুলিকে গড়ে তুলেছিল রাজ-মহারাজারা নিজেদের সাম্রাজ্যের জন্য এবং তাদের সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে, যুদ্ধে তারা জনীতির সংযাতের কারনে তারা বেশির ভাগই ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।
বর্তমানে সারা বিশ্বে অসংখ্যা লাইব্রেরী আছে। যেগুলিতে প্রতিদিন পাঠক, লেখক, গবেষকদের ভির থাকে। যথা-
-নিউইউর্ক শকলিক লাইব্রেরী
-ব্রুকলিন শিকলিক লাইব্রেরী
-বেজিং-এ ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ চায়না
-মেলবর্নে স্টেটলাইব্রেরী অব ভিক্টোরিয়া
-ওয়াশিংটনে স্টেটলাইব্রেরী অব ভিক্টোরিয়া
-লন্ডনে ব্রিটিশ লাইব্রেরী
-বার্লিনে বার্লিন স্টেটলাইব্রেরী
-মাস্কায় রাশিয়ান স্টেটলাইব্রেরী
-কলকাতায় ন্যাশনাল স্টেটলাইব্রেরী ইত্যাদি।