দাজ্জালের বর্তমান অবস্থান ও গ্রিক পৌরাণিক সাইক্লোপসের সহিত তাহার সম্পর্ক

দাজ্জালের বর্ণনা:

মাসীহুদ দাজ্জালের স্বরূপ সংক্রান্ত সর্বাপেক্ষা প্রামাণ্য ও বিস্তারিত বিবরণ হাদিস গ্রন্থসমূহে সংরক্ষিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ () সতর্ক করেছেন যে, দাজ্জাল হলো অন্ধকার, প্রতারণা ও মহাবিপর্যয়ের (ফিতনা) প্রতীক, যা কিয়ামতের পূর্বে মানবজাতির চূড়ান্ত পরীক্ষা হিসেবে আবির্ভূত হবে।

প্রামাণ্য হাদিস অনুসারে, দাজ্জালের শারীরিক বর্ণনায় সুস্পষ্ট নিদর্শন থাকবে। তার কপালে ‘কাফির’ (كَافِرٌ) শব্দটি উৎকীর্ণ থাকবে, যা প্রত্যেক মু'মিন ব্যক্তি, সে শিক্ষিত হোক বা নিরক্ষর, পাঠ করতে সক্ষম হবে। (সহিহ বুখারি, ৭১৩১)। তার চক্ষুদ্বয়ের একটি হবে ত্রুটিযুক্ত; বর্ণনায় এসেছে, তার ডান চোখটি অন্ধ এবং তা একটি ভাসমান আঙ্গুরের ন্যায় দেখাবে। (সহিহ বুখারি, ৭১২৭)।

দাজ্জাল পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করে প্রকাণ্ড অলৌকিক ক্ষমতার প্রদর্শন ঘটাবে। সে মানুষকে মিথ্যা স্বর্গ ও নরকের মায়া প্রদর্শন করে প্রলুব্ধ করবে। তার নির্দেশে আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে এবং ভূমি শস্য উৎপাদন করবে (যারা তাকে মানবে), আবার যারা তাকে অস্বীকার করবে, তারা চরম দুর্ভিক্ষ ও সংকটে নিপতিত হবে। নবী করীম () সাবধান করেছেন যে, দাজ্জালের মূল লক্ষ্য হবে মু'মিনদের ঈমান হরণ করা এবং আল্লাহর একত্ববাদের পথ থেকে বিচ্যুত করা।

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, সে পৃথিবীতে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। তার প্রথম দিনটি হবে এক বছরের সমান, দ্বিতীয় দিন এক মাসের সমান, তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের সমান, এবং অবশিষ্ট সাইত্রিশ দিন হবে স্বাভাবিক দিবসের ন্যায়। (সহিহ মুসলিম, ২৯৩৭)।

ইসলামে দাজ্জালের এই প্রলয়ংকরী ফিতনা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে কুরআন, সালাত ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ () সুরতে কাহফের প্রথম দশ আয়াত তিলাওয়াত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন:

فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ

“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাকে (দাজ্জালকে) পাবে, সে যেন তার সামনে সূরা কাহফের প্রথমাংশ পাঠ করে।” (সহিহ মুসলিম, ২৯৩৭)

এছাড়াও, দাজ্জাল মক্কা ও মদিনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল স্থানেই বিচরণ করবে। এই দুই পবিত্র নগরী ফেরেশতাদের দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে, ফলে সে তথায় প্রবেশে সক্ষম হবে না।

দাজ্জালের ধারণা কেবল একটি ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহকে সর্বপ্রকার প্রতারণা, বিভ্রান্তি ও ঈমান বিধ্বংসী মতবাদ সম্পর্কে সতর্ক থাকার একটি শাশ্বত ধর্মীয় নীতি। দাজ্জালের আবির্ভাবের পূর্বাভাস মু'মিনদেরকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা, ধৈর্য এবং ঈমানের উপর অটল থাকার আহ্বান জানায়।

মুসাইলিমা কি প্রকৃতপক্ষে দাজ্জাল?

মুসাইলিমা আল-কায্‌যাব (মিথ্যাবাদী মুসাইলিমা) সম্পর্কে ইসলামী ইতিহাস ও হাদিসের আলোকে বলা যায়, সে ছিল 'দাজ্জাল' বা মিথ্যাবাদীদের এক নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত, কিন্তু সে কিয়ামতের পূর্বে আবির্ভূতব্য সেই প্রতিশ্রুত ‘আল-মাসীহুদ দাজ্জাল’ (المسيح الدجال) নয়।

নবী মুহাম্মাদ ()-এর জীবদ্দশাতেই মুসাইলিমা নবুয়তের মিথ্যা দাবি করেছিল। সে মানুষকে বিভ্রান্তি ও বিভাজনের পথে আহ্বান করেছিল, যা দাজ্জালের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ () স্বয়ং ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, কিয়ামতের পূর্বে প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাবাদী 'দাজ্জাল'-এর আবির্ভাব ঘটবে, যারা প্রত্যেকে নিজেকে নবী বলে দাবি করবে। (সহিহ বুখারি, ৩৬০৯)।

মুসাইলিমাকে তাই “ক্ষুদ্র দাজ্জাল” বা সেই মিথ্যাবাদীদের ধারার একজন গণ্য করা হয়। তার এবং প্রতিশ্রুত মাসীহুদ দাজ্জালের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান:

১. প্রভাবের পরিধি: মুসাইলিমার প্রভাব ছিল সীমিত, প্রধানত আরব উপদ্বীপের ইয়ামামা অঞ্চলে। পক্ষান্তরে, প্রতিশ্রুত দাজ্জালের ফিতনা হবে সর্বব্যাপী ও বৈশ্বিক। ২. অলৌকিক ক্ষমতা: মুসাইলিমা কিছু চাতুর্য প্রদর্শন করলেও, তার কোনো প্রকৃত অলৌকিক ক্ষমতা ছিল না, যা বৃহৎ দাজ্জালের থাকবে (যেমন—মৃতকে জীবিত করার অভিনয়, বৃষ্টি বর্ষণ ইত্যাদি)।

সুতরাং, মুসাইলিমা ছিল ইতিহাসে দাজ্জালি চরিত্রের একটি বাস্তব উদাহরণ, কিন্তু সে সেই অদ্বিতীয় 'মাসীহুদ দাজ্জাল' নয়, যার আবির্ভাব হবে কিয়ামতের বৃহৎ নিদর্শনরূপে এবং যিনি সমগ্র মানবজাতির ঈমানের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবেন।

দাজ্জালের সহিত তামীম আদ-দারীর (রাঃ) সাক্ষাৎ

দাজ্জালের অস্তিত্ব সম্পর্কে ইসলামের ইতিহাসে সর্বাধিক সুস্পষ্ট ও প্রামাণ্য বর্ণনাগুলোর একটি হলো সাহাবি তামীম আদ-দারী (রাঃ)-এর বাস্তব অভিজ্ঞতা। এই সুদীর্ঘ ও বিস্ময়কর ঘটনাটি ‘হাদিসুল জাসাসা’ (জাসাসার হাদিস) নামে পরিচিত, যা হযরত ফাতিমা বিনতে কায়েস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন এবং তা সহিহ মুসলিম (২৯৪২ক) গ্রন্থে বিশদভাবে সংকলিত হয়েছে।

বর্ণনার সারসংক্ষেপ হলো, তামীম আদ-দারী (রাঃ) (যিনি পূর্বে খ্রিস্টান ছিলেন) তাঁর গোত্রের কিছু লোকসহ সমুদ্রযাত্রায় বেরিয়েছিলেন। সামুদ্রিক ঝড়ে তাদের জাহাজ এক মাস দিকহারা হয়ে ভাসতে ভাসতে এক অজানা দ্বীপে উপনীত হয়। সেই দ্বীপে তাঁরা এক বিচিত্র, ঘন লোমশ প্রাণীর সাক্ষাৎ পান, যার সম্মুখ ও পশ্চাৎ ভাগ বোঝা যাচ্ছিল না। প্রাণীটি কথা বলে এবং নিজেকে 'আল-জাসাসা' (الْجَسَّاسَةُ) রূপে পরিচয় দেয়। 'জাসাসা' অর্থ গুপ্তচর বা সংবাদ সংগ্রহকারী।

সেই প্রাণীটি তাঁদেরকে দ্বীপের অভ্যন্তরে একটি আশ্রমে (বা উপাসনালয়ে) অবস্থানরত এক ব্যক্তির নিকট যেতে নির্দেশ দেয়। সেখানে তাঁরা প্রবেশ করে এক প্রকাণ্ডকায় মানবাকৃতি সত্তাকে দেখতে পান, যা পূর্বে কখনো দেখেননি। সে ছিল অত্যন্ত ভারী শিকলে আবদ্ধ, তার হাত ঘাড়ের সাথে বাঁধা।

সেই শৃঙ্খলিত ব্যক্তিটি তাঁদের পরিচয় এবং আরবের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়। সে বিশেষত বায়সানের খেজুর বাগান (তাতে ফল ধরে কিনা), তাবারিয়া হ্রদ (তাতে জল আছে কিনা) এবং 'উম্মী নবী' (রাসূলুল্লাহ )-এর আবির্ভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করে। সে জানায় যে, সে-ই 'মাসীহ' (দাজ্জাল) [أَنَا الْمَسِيحُ]। সে হুঁশিয়ারি দেয় যে, অচিরেই সে বন্ধনমুক্ত হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করবে।

তামীম আদ-দারী (রাঃ) মদিনায় ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং এই সম্পূর্ণ ঘটনা রাসূলুল্লাহ ()-এর নিকট বর্ণনা করেন। নবী করীম () তখন মিম্বরে দাঁড়িয়ে সাহাবিদের নিকট এই ঘটনাটি বিবৃত করেন এবং বলেন, “তামীমের বর্ণনা আমার সেই কথার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আমি তোমাদের দাজ্জাল সম্পর্কে বলতাম।”

'হাদিসুল জাসাসা' নামে পরিচিত এই প্রামাণ্য বর্ণনাটি দাজ্জালের বাস্তব অস্তিত্বকে সুনিশ্চিত করে এবং প্রমাণ করে যে, সে কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর নির্দেশে এক অজ্ঞাত স্থানে শৃঙ্খলিত অবস্থায় রয়েছে।

দাজ্জালের সাক্ষাতের স্থান: ভৌগোলিক মানচিত্রের আলোকে

তামীম আদ-দারী (রাঃ)-এর বর্ণনায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, সামুদ্রিক ঝড় তাঁদেরকে পূর্ব দিকের কোনো এক দ্বীপে নিক্ষেপ করেছিল। এই ইঙ্গিতের ভিত্তিতে পরবর্তীকালের কিছু আলেম ও গবেষক এর ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয়ের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান আল্লাহ তা'আলা স্বীয় জ্ঞানে প্রচ্ছন্ন রেখেছেন।

আধুনিক যুগে কোনো কোনো গবেষক আরব উপদ্বীপের পূর্বে, আরব সাগরে অবস্থিত পাকিস্তানের নির্জন 'আস্তোলা দ্বীপ' (Astola Island)-কে হাদিসে বর্ণিত দ্বীপের সাথে মিলিয়ে দেখার প্রয়াস পেয়েছেন। তাদের যুক্তি হলো, এই দ্বীপটিও নির্জন, সমুদ্রবেষ্টিত এবং সেখানে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব রয়েছে (যা তামীম (রাঃ) বর্ণিত 'আশ্রম' বা উপাসনালয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে পারে)।

কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপেই একটি অনুমাননির্ভর ধারণা, যার কোনো অকাট্য শরঈ ভিত্তি নেই। হাদিসের মূল উদ্দেশ্য দ্বীপটির অবস্থান জানানো নয়, বরং দাজ্জালের ফিতনার ভয়াবহতা সম্পর্কে উম্মাহকে সতর্ক করা।

প্রকৃতপক্ষে, মু'মিনের জন্য এই দ্বীপের ভৌগোলিক অন্বেষণ মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং দাজ্জালের সর্বগ্রাসী ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণই হলো ঈমানের অপরিহার্য দাবি। এর জন্য নিয়মিত সূরা কাহফ তিলাওয়াত, সালাতে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা এবং ঈমানকে সুদৃঢ় রাখাই হলো রাসূল () প্রদর্শিত পথ।

আস্তোলা দ্বীপে কি দাজ্জাল এখনও বিদ্যমান?

আস্তোলা দ্বীপকে ঘিরে যে কৌতূহল প্রচলিত, তা কেবলই কিছু গবেষণালব্ধ অনুমান। ইসলামী আকিদা অনুযায়ী, দাজ্জাল কিয়ামতের পূর্বে আল্লাহর নির্ধারিত সময়েই শৃঙ্খলমুক্ত হবে এবং আত্মপ্রকাশ করবে। সে পর্যন্ত সে সেই অজ্ঞাত দ্বীপেই বন্দী অবস্থায় আছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

কিন্তু সেই দ্বীপটিই যে 'আস্তোলা দ্বীপ', এমন দাবির পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট ও অকাট্য শরঈ প্রমাণ নেই। সুতরাং, কোনো নির্দিষ্ট দ্বীপকে তার বর্তমান আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা শরঈ প্রমাণের অভাবে অগ্রহণযোগ্য। প্রকৃত সত্য আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক অবগত।

দাজ্জাল ও গ্রিক পৌরাণিক সাইক্লোপস: এক রহস্যময় সাদৃশ্য

ইসলামী আকিদায় মাসীহুদ দাজ্জালের যে অবয়ব (একচক্ষু, প্রকাণ্ড দেহ, দ্বীপে শৃঙ্খলিত) বর্ণিত হয়েছে, তার সাথে গ্রিক পুরাণের 'সাইক্লোপস' (Cyclops) নামক একচক্ষুবিশিষ্ট দৈত্যের বর্ণনার এক বিস্ময়কর সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

গ্রিক মহাকাব্য 'ওডিসি'-তে বর্ণিত আছে, ট্রয় যুদ্ধশেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পথে গ্রিক বীর ওডিসিয়াস (Odysseus) সামুদ্রিক ঝড়ে পথ হারিয়ে এক অজানা দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে তিনি 'পলিফেমাস' (Polyphemus) নামক একচক্ষু, নরখাদক সাইক্লোপসের গুহায় বন্দী হন।

পক্ষান্তরে, সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদিসে, সাহাবি তামীম আদ-দারী (রাঃ) নামক আরব নাবিক সমুদ্রবক্ষে ঝড়ের কবলে পড়ে এক নির্জন দ্বীপে নিক্ষিপ্ত হন এবং সেখানে এক শৃঙ্খলিত, একচক্ষু সত্তার (দাজ্জালের) সাক্ষাৎ লাভ করেন।

উভয় বিবরণের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষণীয়: ১. উভয় সত্তাই একচক্ষুবিশিষ্ট ও প্রকাণ্ডকায়। ২. উভয়কেই এক নির্জন দ্বীপে পাওয়া গেছে। ৩. উভয় ক্ষেত্রেই মূল চরিত্ররা (ওডিসিয়াস এবং তামীম রাঃ) সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে অনিচ্ছাকৃতভাবে সেখানে পৌঁছেছেন। এই সাদৃশ্য সত্ত্বেও, উভয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আকাশ-পাতাল। সাইক্লোপস একটি পৌরাণিক উপাখ্যান ও মানবীয় কল্পনার ফসল। অপরদিকে, দাজ্জাল হলো ইসলামী আকিদার অংশ, এক বাস্তব সত্তা, যার আবির্ভাব কিয়ামতের বৃহৎ নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত এবং রাসূল () কর্তৃক সত্যায়িত।

এই আখ্যানগত সাদৃশ্যের কারণ হতে পারে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে কাহিনির আদান-প্রদান, অথবা, হতে পারে এটি কোনো এক আদিম ঐশী সত্যের বিকৃত প্রতিধ্বনি, যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সংরক্ষিত হয়েছে। তবে কি দাজ্জাল এবং সাইক্লোপস একই সত্তা, কেবল নাম ভিন্ন? এই গভীরতর বিশ্লেষণ আমার গবেষণার দ্বিতীয় পর্বে উপস্থাপিত হবে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter