সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বন্ধু না শত্রু
আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেক উপকার জিনিস পায় ও নানা ধরনের জিনিস দেখতে পায়। যেমনঃ বিভিন্ন ধরনের খবর, নিউস, কোন জায়গায় কি ঘটতে চলেছে। আমরা যদি কোন কিছুর মানে জানিনা তবে তা সার্চ করে পেয়ে যায়। আমরা যখন স্কুলে পড়া শোনা করতে জায় এবং শিক্ষক কিছু পড়ান তখন যদি আমাদের কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তবে আমরা তখন ইন্টারনেটে কোন সন্ধানের মাধ্যমে আমরা সে সংশয় দূর করি।
গত দুই বছর পূর্বে লকডাউনে সমস্ত ইস্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিভারসিটি ও মিশন ইত্যাদি বন্দ ছিল, তার কারণে ছাত্র ছাত্রী ইস্কুল যেতে পারেনি। তার পর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস হতে আরম্ভ করে এবং সাত মাস অনলাইন ক্লাস হয়। যদি এই সোশ্যাল মিডিয়া না হত তাহলে গত দুই বছর পূর্বের পড়া পুনরায় শুনা সম্ভব হতো না।
সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা আমরা ইনকাম করতে পারি যেমনঃ ইউটিউব চ্যানেল, ইন্সতারগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি ব্যাবহার করে। আজ ধুরভ রাঠি, ইন্ডিয়ান হ্যাকার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করছে, তারা কোন খারাপ কাজ করে না তারা দেশের ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা আমাদের জানাচ্ছেন। ইন্ডিয়ান হ্যাকার তিনিও কোন খারাপ কাজ করেনা তিনি নানা ধরনের সাইন্সের ব্যাপারে ভিডিও আপলোড করেন। আমরা যদি সেই সব ভিডিওগুলি দেখি তাহলে আমাদের আর স্কুলের প্রয়োজন থাকবেনা, আমরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পারব।
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা একে অপরের সঙ্গে বন্ধু করতে পারি। যেমন ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের পরিচয় রাখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা জিনিস যে যত রকমের নিউজ চ্যানেল আছে তাদের পূর্বে আমাদের খবর জানিয়ে দিবে। সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা আমরা একে অপরের সঙ্গে চ্যাট করতে পারব। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা নিজের গ্রাম, অঞ্চল শহর সম্পর্কে জানতে পারি।
ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে দূর দূরান্তের খবর জানতে পারি। শিক্ষাগত বিভিন্ন আপডেট সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জন্য উপকার। এর অনেকগুলি উপকারিতা আমরা জানতে পারলাম। আমাদের প্রয়োজন সেগুলো যেন সঠিক পথে ব্যবহার করে এবং তা থেকে লাভও দিতে হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের শত্রু :
এবার সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিকগুলি দেখা হোক। সোশ্যাল মিডিয়া আসার পর মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে, যার দ্বারা ছেলে-মেয়েরা খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেলে মেয়েরা ভিডিও আপলোড করছে যা দেখে বাকি দর্শকদের মধ্যে খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ছে, ও এসব দেখে ছেলেরা মেয়েদের উপরে খারাপ নজর ছড়াচ্ছে। ফলে তারা একে অপরের সঙ্গে খারাপ কথা বলছে ও ভাবছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ডিস্ট্রাকশনের ফলে দেখা যাচ্ছে যে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা পিছিয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই বিভিন্ন ভিডিও দেখছে বসতে ফলে আমাদের মধ্যে শিক্ষার চাহিদা কমে যাচ্ছে।
যদি এমন দেখা যায় যে কোন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। যদি সেই ভিডিও খারাপ হয় সেটাও একই ভাবে ছড়িয়ে যায় ফলে অনেক সামাজিক অসুবিধা দেখা যাচ্ছে।
আমাদের ছেলে-মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও দেখে সারা রাত জাগছে যার ফলে তাদের ঘুমে বাঁধা পড়ছে এবং তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে যেহেতু ঘুম শরীরের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানের কিছু ছেলে মেয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত মোবাইল চালিয়ে রাত কাটিয়ে দিচ্ছে কিন্তু সকালে যখন তাদের কোচিং থাকে তারা সেই কোচিং যাচ্ছে না, তারা কলেজ যাচ্ছে না যার ফলে আজ ছেলে মেয়েরা পড়াশোনাই পিছিয়ে যাচ্ছে। তাদের মা বাপ তাদেরকে কিছু বলছে না।
আমরা যদি এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করা না ছাড়তে পারি তাহলে আমাদের অনেক কিছু চুরি হয়ে যেতে পারে এবং কিছু জিনিস হ্যাকও হতে পারে। সবাইকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্রেন্ড করা উচিত নয়, কারণ এই ফ্রেন্ড করার ফলে আপনার সমস্ত জিনিস হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তার জন্য আমাদের ভাবা যে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের শত্রু।
আজ কাল অনেকই অত্যন্ত মোবাইল ব্যাবহার করছে, তারা মোবাইলে গেম খেলছে, প্রনগ্রাফি দেখছে। এমনও ছেলে-মেয়ে আছে যাদের হাতে মোবাইল নেই, কারণ তার বাবা মা তাকে ভাল পথ দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পরে তারা তাদের মা বাবাকে হুমকি দিচ্ছে মোবাইলের জন্য।
এ সকল জিনিস থেকে স্পষ্ট হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া শেষ করে ছেলে মেয়েদের জন্য কত বড় শত্রু। আমাদের সতর্কতার সতর্কতার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হওয়া উচিত।