ইসলামে নারীদের মর্যাদানাম
আজ থেকে প্রায় সারে ১৪০০ বছর আগে এক অন্ধকার যুগে ইসলাম কে অনেক খারাপ বলে মনে করতো ।নারীদের কে জীবন্ত কবর দিয়ে দিত।সেই যুগে এমন ছিল যে যদি কোন ব্যক্তির নারী জন্ম হয় তাহলে তাকে জীবিত কবর দিয়ে দেওয়া হতো ।এবং যদি স্বামী মারা জায় তাহলে তিনার স্ত্রীকে আগুনে পুরিয়ে মেরে ফেলা হবে ।কিন্তু যুগে যুগে যেখানে নারীরা পদতলিত ও নিগ্রহের শিকার সেখানে ইসলামই তাদের মর্যাদা ও যোগ্যতানুযায়ী দান করেছে ও মূল্যয়ন করেছে ।এই প্রিথিবিতে যদি নারীদের কে সৃষ্টি না করা হত তা হলে পরুষরা পশুর চেও খারাপ হয়ে যেত ।পুশুর মতন ব্যাবহার করতো । কিন্তু দুঃখিত যে ইসলাম ধর্মের আগে কোন ধর্ম নারীকে তার মর্যাদা দান করেনি ।
ولهنّ مثل الّذي عليهنّ باالمعروف.وللرجال عليهنّ درجة. আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন - আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে। তেমনই স্ত্রীদের ও অধিকার রয়েছে ,পুরুষদের উপর নিয়মানুযায়ী।
এবং এইখান থেকে শুরু হল নারীদের মর্যাদা ,নারী কেবল ক্রীতদাসী বা বাজারের পণ্য হয়ে জন্ম গ্রহণ করেনি ।বরং তাদের ও মর্যাদা বা অধিকার রয়েছে ।আল্লাহ তায়ালা নারীদের ভালোর জন্য সৃষ্টি করেছেন ,সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য পরিবারের কাজ কর্ম করার জন্য সান্তনার উৎসর জন্য ।পবিত্র কুরআন শরীফে এক জন নারী কে তিনার স্বামীর উপর পোশাকের মতো গণ্য করেছে-
هنّ لباسٌ لَكم وانتم لباسٌ لّهنْ
অর্থাৎ-তারা তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাক স্বরূপ ।
সূরা নিসাতে নারীদের আধিকার বর্ণনা করেছে ।
একজন নারী যখন স্ত্রী হয়ে একজন পুরুষের কাছে আসবে তখন পুরুষদের এক্তা কথা মনে রাখা দরকার যে’ সে তার মতোই একজন মানুষ ।এবং স্ত্রী ক্রয়ক্ত দাসী নই যে তার সাথে খারাপ আচরণকরবে ।
তাই আল্লাহ তায়ালা কুরআন শরীফে বলেছেন - وعاشروهنّ بالمعروف
অর্থাৎ -তোমরা তোমাদের স্ত্রীর সঙ্গে ভাল ব্যাবহার করো ।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে স্ত্রীদের সাথে কেমন ব্যাবহার করতে হবে সব কিছু কুরআনে উল্লেখ করা আছে । একজন পুরুষের সামনে নারীর অবস্থান কোথায় তা নবী কারীম ﷺ জানিয়ে দিয়েছেন ।তিরমিজি শরীফে আছে যে নবি কারীম ﷺ এরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্য উত্তম পুরুষ সে, যে পুরুষ তার পরিবার ও স্ত্রীদের কাছে উত্তম । আর আমি আমার স্ত্রীদের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম ।ইসলামে ভালো ভাবে নারীদের আধিকার কে সুনিশ্চিত ভাবে বিবৃত করেছে ।তায় যদি কোনো ব্যক্তি এই সব আমল করতে পারে তাহলে এতিই তার নাজাতের জন্য যথেষ্ট ।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – তোমরা নারীদের সাথে সৎব্যাবহার করবে এবং ভালো ভাবে জীবন যাপন করবে ।যদি তোমরা তাদের কে পছন্দ না কর বা তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করো তাহলে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা যাতে পছন্দ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ “।
নবী ﷺ নারীদের কে রাব্বাতুল বাইত হিসেবে অবিহিত করেছেন । নারীদের কে তাদের সম্মান দিয়েছে এবং তাদের মর্যাদা দান করেছে , নবী ﷺ বলেছেন “ একজন ধার্মিক নারীই কারো জন্য সর্বশ্রষ্ঠ উপহার ।এবং যখন হাশরের মাইদানে সবাইকে এক সাথে উপস্থিত করা হবে তখন আল্লাল তায়ালা পুরুষ ও নারীদের সাথে সমান ভাগে বিচার করবে । আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই সবচেয়ে সম্মানিত হবে , যার ঈমান বেশি ,যার তাকওয়া বেশি ,সে নারী হোক বা পুরুষ । এবং নবী ﷺ য়ের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি ছিল” আয়েশা (রাঃ) । (বুখারি শরীফ).
কিন্তু এমন ও কিছু লোক আছে যারা অধীনস্থ নারীদের জিবন্ত কবর দেয় , এবং ধর্ষণ ও করে ফেলে ।
আমরা যদি নবী ﷺ য়ের হাদিস পরি তাহলে বুঝতে পারব যে নবী ﷺ নারীদের কে কতটা মর্যাদা দান করেছেন, নবী ﷺ নিজে স্ত্রীদের সঙ্গে সৎ ব্যাবহার করেছেন এবং আন্তরিক্তার সাথে জীবন যাপন করেছেন ।
 
  
             
            
                     
            
                     
            
                                             
            
                                             
            
                                             
            
                                             
            
                                             
            
                                             
            
             
            
             
            
             
            
            