তাসাউফের তাৎপর্য ও উদ্দেশ্য
 ইসলামে একত্বতাই আসল পরিচয় :-

নিজেকে একত্বতাই রাখা  দুনিয়া থেকে দূরত্ব বোধ হওয়া এটা কোন সুফীগণদের প্রতিষ্ঠাতা আমল নয় অথচ এর নথিপত্র নবী পাক (সাঃএর জীবন যাপন থেকে প্রমাণিত

নবী পাক (সাঃ) -এর নবুয়াত প্রচার করার পূর্বে থেকেই তিনি হিরা গুহায় বিরল সময়

এবাদতে খরচ করতেন। প্রত্যেক বছর রমজান মাসে তিনি হিরা গুহায় ইতেকাফ করতেন  হিরা গুহার সমন্ধে লিখা রয়েছে যে নবী পাক (সাঃ)  -এর নবুয়াত পাওয়ার পূর্বে সেখানে ফেরেস্তাদের দিওয়ান স্থির হতনবুয়াতের পরে আওলিয়াগনদের দিওয়ান স্থাপিত হয়

 থেকে জানা যায় যে, নিজেকে একা রাখা নিজের পরিবার স্ত্রী ছেলে মেয়েদের ত্যাগ করে মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের এবাদতে মগ্ন হওয়া হচ্ছে একটি সুন্নাত  শুভ আমল হাদিস শরীফে এরশাদ করেছেন:- 

হজরত আয়েশা  (রাঃহতে বর্ণিত যেহুজুর (সাঃ)  -এর উপর ওহী নাজিল হওয়া আরাম্ভ হয় এক সুন্দরময় স্বপ্নের মাধ্যমে যেই স্বপ্ন হুজুর দেখতেন সেই স্বপ্নের প্রভাব শুভ সকালের আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে বিস্তারিত হত  তারপর থেকেই নবী পাক (সাঃএকত্বতাই মগ্ন হয়ে যান এবং হিরা গুহায় কা আল্লাহর এবাদতে মগ্ন থাকতে

মুতাসাইফ :-

অঙ্ক বা ইজতিহাদের মাধ্যমে ওই জাগার অনুসন্ধান করা, যার দ্বারাই ওই জাগার মূল  সত্যতা অৰ্জন করা যায়

মুসতাওসীফ :-

আধুনিকতা  ধন দাওলাত থেকে নিজেকে এমন দুরুত্ব রাখা যেন তিনার কাছে নিজের সম্পত্তির উপর কোনো চাহিদা বা খবর না থাকা

প্রথম সুফী :-

আম্বিয়াগন, মুরসালীনগনসাহাবা   তাবেয়ীনদের পরে শিক্ষা  আদব কায়দার বিদ্যাকে এক নতুন নামে চিহ্নিত করা হয়  যা সুফী শব্দটি আরম্ভ হয়  তাসাউফ কর্ম রূপে প্রথম থেকেই অবস্থিত কিন্তু নবী পাক (সাঃ) -এর যুগ থেকে কোন সাহাবী কাওকে সুফী নামে উল্লেখ করতেন না কেননা সাহাবীতাবেয়ীনতাবেয়ী তাবেয়ীনদের মতো উচ্ছাসিত  উজ্জলিত মন  হওয়া সত্ত্বেও এদের সুফী বলে অবহিত করা -এর কোনো মতলবি ছিল না এর পরে হিজরীর দ্বিতীয় বর্ষে হজরত আবু হাশিম ১৫০ হিজরিতে সুফী বলে অবহিত করা হয় 

তাসাউফের উপর প্রথম বই :-

তৃতীয় বর্ষে তাসাউফ নিয়ে লেখা লিখি সিলসিলা শুরু হয় ইহয়া বিন মুয়াজ রাজি (২০৮মতিনি লিখেছিলেন "কিতাবুল মুরিদীন "

তাসাউফের স্থাপন  বা বুনিয়াদ :-

হজরত গাউসে আজমমাহবুবে সুবহানীকুতুবে রাব্বানীগওসু সামাদনিশাইখ আব্দুল কাদের জিলান

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter