ইসলামে রোগী-সাক্ষাতের গুরুত্ব ও মহত্ব

ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম যা বলে এক ঈশ্বরের উপাসনা করধ্যান কর, ইত্যাদি এটি একটি সুন্দর  অতি উত্তম জীবনবিধান যেটি মানুষ কে সমাজে সঠিকভাবে চলা শেখায় সঠিকভাবে বলা শেখায় মানুষের সাথে সম্পর্ক সঠিকভাবে রাখা শেখায় আরও অনেক অনেক কিছু যা একটি মানুষকে আদর্শবান গড়ে তোলে তারই মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইয়াদাতুল মারিয  অথবা রোগীকে সাক্ষাৎ করা কারন সমাজে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে সে গরিব হোক বা ধনী সে তার আশেপাশে কাওকে না পেলে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং ভয় পেয়ে থকে সেইজন্য একটি সমাজে মানুষের উচিত তাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে বা অন্যান্য অসুবিধায় পড়ে তাহলে তার পাশে থাকা তার সাহায্য করা এইসবের সব থেকে নিম্ন পর্যায় হচ্ছে তাকে তার দুঃসময়ে সাক্ষাৎ করা তাতে তার সাহস বাড়ে আর দুঃসময়ে মানুষ একাকী হয়ে পড়লে তার ভয়  বিপদ দুইই বৃদ্ধি পায়

বুখারি শরিফে বর্ণীত হাদিসে পাকে রয়েছেআবু মুসা আল আশআরি রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণীত নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন “ক্ষুধার্তদের খাওয়াওরোগীদের সাক্ষাৎ কর এবং বন্দীদের মুক্ত কর

আরও একটি হাদিসে বর্ণিত আছেঃ

عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم حق المسلم على المسلم خمس رد السلام و عيادة المريض واتباع الجنائز واجابة الدعوة وتشميت العاطس (متفق عليه)

আবু হুরাইরা (রাঃথেকে বর্ণিত নাবি (সঃবলেনএকটি মুসলিমের অপর এক মুসলিমের উপর পাঁচটি অধিকার আছেসালামের উত্তর দেওয়ারোগীকে সাক্ষাৎ করাজানাযায় শামিল হওয়াআমন্ত্রন রক্ষা করা এবং হাঁচির উত্তর দেওয়া

এই কর্মগুলি ফারযে কিফায়া অর্থাৎ এক গ্রামের মধ্যে যদি কোন একজন ব্যাক্তিও এই কাজগুলি না করে তাহলে সবাই আল্লাহর কাছে দোষী অর্থাৎ গুনাহগার হবে এবং এর মধ্যে একটি হল রোগী সাক্ষাৎ তাই এটা অতি স্বচ্ছভাবে বঝা যায় যে ইসলামে রোগী সাক্ষাতের গুরুত্ব কত বেশী এবং ইসলামে শুধু মসজিদে ঢুকে ঘণ্টা ঘণ্টা উপাসনা করেয় ধার্মিক হওয়া যায় না সমাজও ধর্মের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ যেটাকে বাদ দিলে ধর্ম অসম্পূর্ণ থেকে যায়

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter