ভারত প্রজাতন্ত্রে মুসলমানদের সংগ্রাম
ভারতের রিপাব্লিক হওয়া বা প্রজাতন্ত্রের পথে ভারতীয় মুসলমানদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, যা ভারতের ইতিহাসের পাতা থেকে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ যদি সেই পাতা গুলকে ভালো ভাবে লক্ষ করা হয়, তাহলে সেই পাতা আমরা আজ নিশ্চয় ফিরে পাবো। যে পাতা গুলো আসল ইতিহাসকে ভাসিয়ে তুলবে। কিছু কারণে মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্মুখীন হওয়া যুদ্ধ বা সংগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। যেমন, পশ্চিম বিভাগে অসহ্যনীয় প্রাতিষ্ঠানিক অসমতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদ্বেগ, ভূখণ্ড ভাগের দুশ্চিন্তা ইত্যাদি।
ভারত বর্ষ থেকে ব্রিটিশ শাসন কাল যখন সমাপ্ত হয়ে যায়, তার পর বিভাজিত ভারতীয় অঞ্চলে ধিরে যেমন রাজনৈতিক এবং সামাজিক অস্বস্তি শুরু হতে থাকে। ঠিক এই ভাবে এই অস্তিত্বাতীত অবস্থা উৎসাহী আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংগ্রামের চেষ্টাও বৃদ্ধি হতে থাকে। এটি সুধু মাত্র একি দিকে নির্দিষ্ট ছিলনা যে, মুসলমানদের সবাই একই দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকবে, বরং সামাজিক এবং রাজনৈতিক অসন্তোষের ফলে অনেকে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা এবং অধিকারের দিকেও মুখ ফিরিয়েছিলেন।
এই সংগ্রামে মুসলমান সম্প্রদায়ের প্রধান কার্যকারীদের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । উন্নত চিন্তামূলক কমিটমেন্ট, বিভিন্ন স্তরের সম্মতি, এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ এই সংগ্রামের সাথে যোগ দিয়েছিল। তারা রাষ্ট্রীয় অধিকারের জন্য অবলম্বন নিয়ে সামনে আসেন যা অন্যান্য গোষ্ঠী করতে পারেনি। মুসলমান সম্প্রদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতীয় প্রজাতন্ত্র বা রিপাব্লিক স্থাপন হয়। এই সংগ্রাম মুসলমান সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রীয় অধিকার এবং স্বাধীনতার একটি অন্যতম প্রতীক ছিল, যা ভারতের রিপাব্লিক হওয়ার পথে অংশ গ্রহন করে।
মুসলমান সম্প্রদাইয়ের সংগ্রাম ভারত প্রজাতন্ত্র হওয়ার জন্য আরো অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলিকে সম্মুক্ষিন করেছিল যাতে অনেকের প্রান, পরিবার ও ধন সম্মপদ হারিয়ে যায়। তাতে তাদের ক্ষতি হবে না হবেনা এবং সামনে এগিয়ে গেলে কি হবে তা নিয়ে তারা কিছু চিন্তা করেনি। তারা সুধু নিজের দেশের সুরক্ষা চেয়েছে। সেই সমস্ত চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে হল যেমন, বিভাজিত রাজনৈতিক মঞ্চ, সামাজিক অসমতা, পরস্পরের মধ্যে বিবাদ, এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। কিন্তু তারা যা চেয়েছিল তা নিয়ে ছেড়েছে। অর্থাৎ ভারত প্রজাতন্ত্র।
মুসলমান সম্প্রদায় ও অন্যান্য সম্প্রদায়গুলির মধ্যে বিভাজন হয়ে পড়া এবং এই বিভাজনের কারণে সংগ্রাম সহন করা একটি কঠিন কার্য হয়ে পড়ে। এই বিভাজনের সাথে সংগঠিত সংঘাতগুলির এবং সামাজিক আন্দোলনগুলির প্রতি সম্প্রদায় প্রতিবাদ করেছিল। যার পর মুসলমান সম্প্রদায় সফলতা লাভ করে। সামাজিক সাংঘাতিকতা, মন্দ অবস্থা, এবং বিভাজন একটি চ্যালেঞ্জ ছিল এই সম্প্রদায়িক সংঘাতের মাধ্যে। এই প্রতিক্রিয়াগুলির ফলে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং একতাবাদী রাষ্ট্র গঠনের পথে তাদেরকে যেতে হয়েছিল। তবে, এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অনেকে শান্তি এবং একতা বিস্তারিত করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এই চ্যালেঞ্জগুলির সাথে মুসলমান সম্প্রদায়ের কঠোর প্রয়াস এবং সংঘর্ষকে সহ্য করার মাধ্যমে ভারতের রিপাব্লিক তথা প্রজাতন্ত্র হওয়া সম্ভব হয়েছিল।
এই সম্প্রদায়িক চ্যালেঞ্জগুলির সাথে যুদ্ধ করার মধ্যে মুসলমান সম্প্রদায় মূলত একতার প্রতি কঠোরভাবে অবদান রেখেছিল। সামাজিক সংঘর্ষের মাধ্যমে তারা মানবিক অধিকার, সমানতা, এবং ন্যায়ের জন্য লড়েছিলেন। যার ফলাফল অবিশ্বাস্য। মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের মাধ্যে মানবিক ও সম্প্রদায়িক সহযোগিতা ও বিস্তার দেখা গিয়েছিল। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সাথে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ করা ও সমঞ্জস্যতা এবং রাষ্ট্রীয় একতার প্রতি তাদের অনুমোদন দেখা গিয়েছিল।
অবশেষে, ভারতীয় মুসলমানরা নিজের দেশের প্রতি জান, মান, প্রান, পরিবার ও ইত্যাদি হারাতে পিছু পা হয়নি। কারন তাদের ঈমান ছিলো কথর, তারা মৃত্যুকে ভয় না করে মৃত্যুর সাথে বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলত। আর তারা সুধু মেনেচলত حب الوطن من الإيمان অর্থাৎ দেশকে ভালবাশা হল ঈমানের অংশ। তারা যেকোনো জিনিসকে সম্মুক্ষিন করার জন্য প্রস্তুত থাক্ত। তা নিয়ে তারা নিজের কাজে লেগে পড়ে এবং তাতে মুসলমানরা সফলতা অর্জন করে।