মানবতার সামাজিক কল্যাণে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

মানুষ সামাজিক জীব, একে অপরের ওপর নির্ভর করে এই পৃথিবীতে বসবাস করে। একে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া মানুষ একদিনও চলতে পারে না। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কাজ বলতে মানুষের কল্যাণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যদি আমরা ইসলামের উপর ভিত্তি করি তাহলে জানতে পারবো ইসলাম মানুষের কল্যাণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একে অপরের কল্যাণের সাহায্যর জন্য অনুপ্রাণিত করে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন

وتعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الاثم والعدوان 

তোমরা সৎ কর্ম ও আল্লাহ ভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমা লঙ্ঘের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। (মায়েদা)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন 

والله في عون العبد ما كان العبد في عون اخيه

আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করতে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে। (মুসলিম তিরমিজি আবু দাউদ ইবনে মাজাহ)

অতএব ইসলামে সমাজ কল্যাণ ও সমাজসেবার করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে।  

আল্লাহ তাআলা বলেন

 لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ

তোমরা নিজেদের মুখ পূর্ব দিকে কর কিংবা পশ্চিম দিকে এতে কোন কল্যাণ নেই বরং কল্যাণ আছে এতে যে, কোন ব্যক্তি ঈমান আনবে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ ও নাবীগণের প্রতি এবং আল্লাহর ভালবাসার্থে ধন-সম্পদ আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম-মিসকীন, মুসাফির ও যাচ্ঞাকারীদের এবং দাসত্বজীবন হতে নিস্কৃতি দিতে দান করবে

এই ভাবে আল্লাহ তায়ালা তিনার পবিত্র কিতাব কোরআনের মধ্যে বিভিন্ন জাগাতে এই সমাজ কল্যাণ ও সমাজ সেবার ব্যাপারে বলে থাকেন।   

আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে কেন আমরা আমাদের সম্প্রদায় গুলিতে অনুষ্ঠানিক সামাজিক পরিষেবা গুলি প্রতিষ্ঠা করব। কেন আমরা তাদের কে সাহায্য করবো?  কে ও কারা সহযোগিতা পাওয়ার উত্তম অধিকারী? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সেই আয়াতটি দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।  

আল্লাহ আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন যে সাহায্য ছাড়া আমাদের ইবাদত অসম্পূর্ণ, তাই আল্লাহর বিচার দিবস, ফেরেশতা মন্ডলী, আল্লাহর কিতাব ও নবীগণের উপর ঈমান আনার পর আমাদের (ঈমান) বিশ্বাসকে জাতির সেবায় রূপান্তরিত করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে যাদের সাহায্য প্রয়োজন তাদেরকে সাহায্য ও সেবা করা। প্রত্যেক বিশ্বাসীদের দায়িত্ব যে, প্রকৃত মুসলমানকে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ সেবায় অবদান রাখতে হবে।  এবং সত্যবাদীর শহীদ এই সমাজকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে  ও প্রয়োজন কারী ব্যক্তিদের পাশে শক্ত বৃক্ষর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এই তিনটি জিনিস আমাদের সকলকে বিশ্বাসী হিসাবে সামাজিক দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে।  

কর্তব্য একজন বিশ্বাসী হিসাবে ছোট্ট ধার্মিকতা আল্লাহর ভালোবাসা। আল্লাহ তায়ালা তিনার পবিত্র কিতাব কোরআন এর মধ্যে ঘোষণা করে  

 لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ

এই আয়াতটি থেকেই বুঝতে পারবো কে আর কারা, কাদেরকে সাহায্য করবে, ইনশাআল্লাহ। প্রথম প্রশ্ন । 

কে?

কে সমাজ সেবার জন্য সর্বোত্তম ও যোগ্যবান হয়ে উঠবে? এই প্রশ্নটির উত্তর  সেই আয়াতটি  দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছে যে, তারাই সমাজ সেবায় লিপ্ত হয়ে থাকবে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, রসুলগণের প্রতি বিশ্বাসী। 

যদি মুফাসসিলের তাৎপর্যের ওপর জোর দেয় তাহলে বুঝতে পারবো সেই ব্যাক্তি সমাজ সেবার কাজে লিপ্ত থাকবে, যে ব্যাক্তি সম্পূর্ণরূপে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে ঈমান এনেছে, সে তার বিশ্বাসের দ্বারা মানবতার সেবার মাধ্যমে তাদের উপর আমল করতে বাধ্য হয় এবং এভাবে তাদের ঈমান পরিপূর্ণ হয়।

কার জন্য?

কার জন্য আমরা সাহায্য করবো?

এতিম ও আত্মীয়

সমাজের সবচেয়ে অসহায় অবহেলিত লজ্জিত ও নিরাপত্তাহীন এতিম শিশু তাই সমাজ কল্যাণে সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রথম স্থান আছে এতিম। এছাড়াও আল্লাহতালা তার পবিত্র কুরআনে এতিম সম্পর্কে বলে থাকে

لا تعبدون إلا الله وبالوالدين احسانا وذلك ربى واليتامى والمساكين

তোমরা আল্লাহর ব্যতীত কারো দাসত্ব করবে না এবং পিতা মাতা আত্মীয়স্বজন এতিম ও অভাবগ্রস্তদের সাথে শব্দ ব্যবহার করবে

আর একটি আয়াতে বলেন

يسألونك ماذا ينفقون قل ما أنفقتم من خير فللوالدين والأقربين واليتامى والمساكين السبيل

তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা কী ব্যয় করবে? বল, ‘তোমরা যে সম্পদ ব্যয় করবে, তা পিতা-মাতা, আত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য। আর যে কোন ভাল কাজ তোমরা কর, নিশ্চয় সে ব্যাপারে আল্লাহ সুপরিজ্ঞাত’। (আল-বায়ান) (সূরা বাকারা, আয়াত ২১৫) 

মুমিনদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তারা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট লাভের অর্জনের জন্য নিঃস্ব দরিদ্র ও এতিমদেরকে খাদ্য দান করা। যার ব্যাপারে  আল্লাহ তা'আলা বলেন

ويطعمون الطعام على حبه مسكينا ويتيما واسيرا انما نطعمكم لوجه الله لا نريد منكم جزاء ولا شكورا

তারা আল্লাহর মহব্বতে অভাবগ্রস্ত এতিম ও বন্দীদের আহার্য প্রদান করা। তারা বলে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য আমরা তোমাদের খাদ্য দান করি আর আমরা তোমাদের নিকট থেকে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না। 

জান্নাতিরা জাহান্নামীদেরকে জিজ্ঞাসা করবে?

مَا سَلَكَكُمْ فِي سَقَرَ* قَالُوا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّينَ* وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِينَ

কোন বস্তু তোমাদেরকে সাকারে প্রবেশ করালো। তারা বলবে আমরা মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না আমরা অভাবগ্রস্তকে আজও দিতাম না। 

রোগীর সেবা করা!

রোগীর সেবা করা বা রোগীকে দেখতে যাওয়া একটি সমাজ সেবার মধ্যে অন্যতম সমাজসেবা। রোগীকে দেখতে যাবার নির্দেশ দিয়ে বলেন যে

عن أبي موسى رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : عُودُوا المريضَ، وأطْعِمُوا الجَائِعَ، وفُكُّوا العَانِي

আবি মুসা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্ষুধার্তকে খাবার দাও অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাও এবং বন্দিকে মুক্ত কর। (সহি হাদীস)

অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে বা সেবা না করলে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তায়ালার সামনে জবাব দিতে হবে কারণ অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবা করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।

عن أبي هريرة رضي الله عنه قَال: قَالَ رسولُ الله صلى الله عليه وسلم : "إنَّ اللهَ عز وجل يَقُولُ يَومَ القِيَامَةِ: يَا ابْنَ آدَمَ، مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدنِي! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أعُودُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ؟!، قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّ عَبْدِي فُلاَناً مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَني عِنْدَهُ

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ আয্যা অজাল্ল কিয়ামতের দিন বলবেন, ’হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি।’ সে বলবে, ’হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনাকে দেখতে যাব, আপনি তো সারা জাহানের পালনকর্তা?’ তিনি বলবেন, ’তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে অবশ্যই তুমি আমাকে তার কাছে পেতে?

আরো অনেকে রয়েছে যারা এই সমাজের সহায়তা পাওয়া উপযোগ্য। 

আত্মীয়-স্বজন: এটি রক্ত বা বিবাহ দ্বারা সম্পর্কিত যে কেউ হবে। আমাদের মধ্যে অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে যিনারা তাদের প্রয়োজনীয়তা পর্যাপ্তভাবে পূরণ করতে পারেনা তাদেরকে এছাড়াও অনেকে রয়েছে যাদের সাহায্যর প্রয়োজন যেমন অভাবী, পথিক

যারা জিজ্ঞাসা ইত্যাদি।  

বিধবাকে সহায়তা দান 

সমাজে আরেক এক অসহায় রয়েছে বিধবা। বিধবারা এই সমাজে লঞ্চিত হয়ে থাকে। সমাজ তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দেই। এমন বিধবাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করাকে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম নেকির কাজ হিসেবে আখ্যাত করেছেন। এবং তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য তিনি আদেশ ও দিয়েছেন 

عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعًا: السَّاعِي على الأَرْمَلَةِ والمِسْكِينِ، كالمُجَاهِدِ في سبيل الله. وأَحْسَبُهُ قال: وكالقائم الذي لا يَفْتُرُ، وكالصائم الذي لا يُفْطِرُ

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, যে ব্যক্তি বিধবা ও মিসকিনের সমস্যা সমাধানের জন্য ছোটাছুটি করে সে যেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে লিপ্ত। বুখারী মুসলিম বর্ণনাকারী বলেন আমার মনে হয় রাসুল সালাম সালাম একথা বলেছেন যে যেন ওই ব্যক্তির ন্যায় সে সারা রাত সালাত আদায় করে এবং সারা বছরই সিয়াম রোজা পালন করে।  

 বিশ্ব দরিদ্র ও ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান

আমাদের এই সমাজে অনেকেই রয়েছে যাদের কোনো সাহারা নেই, তিনারা অসহায় হয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়ায় সামান্য খাদ্যের ও সহায়তা পাওয়ার জন্য। 

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻰ ﺣَﺎﺟَﺔِ ﺃَﺧِﻴﻪِ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓِﻰْ ﺣَﺎﺟَﺘِﻪِ، ﻭَﻣَﻦْ ﻓَﺮَّﺝَ ﻋَﻦْ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻓَﺮَّﺝَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻛُﺮْﺑَﺔً ﻣِﻦْ ﻛُﺮُﺑَﺎﺕِ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ، ﻭَﻣَﻦْ ﺳَﺘَﺮَ ﻣُﺴْﻠِﻤًﺎ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ

‘আর যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকবে, আল্লাহ তার সাহায্যে থাকবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিনের বিপদ সমূহের একটি বড় বিপদ দূর করে দিবেন’। (বুখারি, হাদিস : ২৪৪২; মুসলিম, হাদিস : ২৫৮০)

কিভাবে?

যখন আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমরা কিভাবে সমাজ কল্যাণের উদ্দেশ্য গুলি অর্জন করতে পারব। তখন কোরআন সেই আয়াতের মাধ্যমে বর্ণনা করে বুঝিয়ে দেয় যাতে আমরা এই  সমাজ কল্যাণের উদ্দেশ্যগুলি অর্জন করতে পারি।

 নামাজে অটল থাকা

অন্যদের সাহায্য করার জন্য একজন মুসলিমের প্রয়োজন যে সে তার নামাজে অটল থাকা।  আমরা নিয়মিত তোমারি ইবাদত করি একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই। একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের সামাজিক কাজের জন্য এই মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। 

 দুই নিয়মিত দান করা

এটি এমন একটি অভ্যাস যার ফলে মানুষের প্রতি সহানুভূতিকে উৎসাহিত করে এবং অসহায় ব্যক্তিদেরকে সাহায্যর জন্য উত্তজিত করে তোলে। 

চুক্তি পূরণ করুন: সামাজিক পরিষেবার ক্ষেত্রে কাজ করা মুসলমানদের অবশ্যই দরকার, সৎ এবং তাদের ক্লায়েন্টদের প্রতি তাদের কর্তব্যের প্রতি সচেতন হতে হওয়া উচিত। আমরা যখন একটি অঙ্গীকার করি তখন আমরা তা সম্মান করি যখন আমরা একটি প্রতিশ্রুতি করি তখন আমরা তা পালন করি এবং যখন আমরা নিজেদেরকে সাহায্যকারী হিসাবে মেনে নেয়   তখন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই কাজটি সম্পন্ন করি।

বেদনা, কষ্ট, প্রতিকূলতা ও আতঙ্কে ধৈর্য ধারণ করা: এগুলি এমন বৈশিষ্ট্য যা মুসলিম সমাজকর্মী, পরামর্শদাতা, ইমাম এবং নেতাদের জন্য অপরিহার্য। সমাজ সেবার উন্নতির জন্য যখন আমরা কাজে নেমে পড়ি সেই সময় বিভিন্ন ধরনের সম্মাস্যার সমুখীন হতে হয়, এই সমস্ত জিনিস থেকে আমাদেরকে ধর্য ধারণ করতে হবে।   

সত্যর পথে চলা: আমাদের কে প্রতি মুহর্তে সত্যর হাত ধরে চলতে হবে।  

খোদাভীতি: যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে এবং সর্বদা তার স্রষ্টার প্রতি তার কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন, সে কখনই তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা লোকদের ক্ষতি বা ক্ষতি করতে পারে না। সেই জন্য সর্বদা মহান আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে সমাজ কল্যাণের কাজে এগিয়ে আস্তে হবে।  

 উপসংহার 

ইসলাম এই সমাজ সেবার ওপর বিশেষ গুরুপ্ত দেয় সেটা আমরা হাদীস ও কোরআন এর আয়াতকে উপলদ্ধি করে জানতে পারি এবং এই সমাজ সেবার যে ফজিলত রয়েছে সেটাও আমাদের সামনে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে পড়েছে। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সকল মুসলমান ভাইদের কে এই সমাজ সেবা করার জন্য তৌফিক দান করে। (আমীন)

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter