আল্লাহকে পেতে হলেকরতে হবেনিজেরসঙ্গেলড়াই!

প্রত্যেকমুসলিমেরস্বপ্নহচ্ছেআল্লাহরনৈকট্য লাভকরা, কিন্তুআল্লাহরনৈকট্য লাভ করাকি খুবসহজ নাকি অত্যান্ত কঠিনঅবশ্যকঠিনকিন্তুযেআল্লাহ তাআলাকেমন দিয়ে ভালোবেসেপরিশ্রমকরবে তারপরিশ্রমনিশ্চয়কোনোদিনবিফলে যাবেনা।যেহেতু আল্লাহতাআলানিজেরপবিত্রবাণীতেঅত্যান্তপরিষ্কারভাবেবলে দিয়েছেন, “যারাআমারজন্যচেষ্টাসাধনাকরে, তাদেরকেআমি আমারপথদেখাব।আর আল্লাহনিশ্চয়ইসৎকর্মশীলদেরলোকদের সাথে রয়েছেন”। (সূরা আল- আনকাবুত ৬৯)

অর্থাৎএই দ্বারা আল্লাহরস্পষ্টবাণীবোঝা যাচ্ছেযে আল্লাহ তাআলাসৎকর্মশীলএবংতার জন্য সাধনাকারীদেরসঙ্গে রয়েছেন আল্লাহ তাআলাআরোবলেন, “তুমিতোমাররবেরইবাদতকর সেই মুহূর্ত পর্যন্ত যা তোমারনিকটসুনিশ্চিতভাবেআসবে।“ (সূরা আল- হিজির,৯৯)এই আয়াতপাকদ্বারা আল্লাহ তাআলাবান্দাদের প্রতিএই বার্তা দিলেন যেতোমাদেরকেসেইমুহূর্তঅর্থাৎমৃত্যুপর্যন্তইবাদতকরতে হবে যা তোমাদেরকাছেসুনিশ্চিতভাবে আসবে।অর্থাৎআল্লাহ তাআলাকেপাওয়ারজন্যমৃত্যুঅবধিইবাদতকরতে হবে ওসাধনা করতেহবে তবেইতাকে পাওয়া যাবে।

আল্লাহ তাআলাআরওবলেন,“তুমি তোমার রবেরনামস্মরণকরতেথাকো এবংসবারসম্পর্কছিন্ন করে একমাত্রতারইদিকেমনোনিবেশকর।“ (সূরা আল- মূজ্জাম্মিল, ৯) অর্থাৎআল্লাহর নৈকট্যপাওয়ার জন্যশুধু চেষ্টাসাধনাইযথেষ্টনয়বরংসেইসাধনাএত নিখুঁতভাবেহওয়াচায়যে অন্যসমস্তসম্পর্কছিন্ন করে শুধুতারইসাধনায়মগ্নহতে হবে।এগুলোকষ্টকরমনেহলেওতাদেরকাছেএগুলোকিছুই নাযারাতাদেরসমস্ত কিছুআল্লাহকেদিয়েদিয়েছেন।

এই বিষয়েপ্রিয়নবী সাঃএর বাণী: আবুহুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “আল্লাহ বলেনযে ব্যক্তিআমারবন্ধুকে কষ্ট দেয়,আমি তারবিরুদ্ধেলড়াইয়েরঘোষণাদিই।আমার বান্দা আমারআরোপিতফরযকাজেরমাধ্যমে যা আমার নিকটপ্রিয় এবংনফলকাজের মাধ্যমেসর্বদাআমারনৈকট্য লাভকরতেথাকে।এভাবে আমিতাকে ভালোবাসতেথাকি।আর যখনআমি তাকেভালোবাসি তখনআমি তার কানহয়েযাইযা দিয়েসে শোনে,তার চোখহয়ে যাই যা দিয়ে সেদেখে, তারহাতহয়ে যাই যা দিয়ে সেধরেএবং তারপাহয়ে যাই যা দিয়ে সেচলাফেরা করে।যদিসে আমারনিকটকিছুচায়,আমি তাকেদিই এবংযদিআমারনিকটআশ্রয়চায় তাহলেআমি তাকে আশ্রয়দিই। (বুখারী)

এই হাদীসটিরবিশ্লেষণহল এই যেআল্লাহ্তাআলাবলছেনকেউযদিআমারবন্ধুকে কষ্ট দেয়তাহলে আমি তারসঙ্গেযুদ্ধঘোষণাকরিএইখানে আল্লাহরবন্ধুবলতেবোঝানোহয়েছে সেই সব ব্যক্তিগণকেযারাঅনেকসাধ্যসাধনা করেআল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছেনঅর্থাৎতাদেরকেকেওকষ্টদিলেআল্লাহ্তাআলাতাদেরকেরক্ষাকরেন।আর পরেআল্লাহ্বলেনযে আমারবান্দাফরযওনফলপড়েআমার নৈকট্য লাভকরেআমিতাদেরহাত,পা এবংচোখওকান হয়ে যাই, এর অর্থহলআল্লাহ্তাআলাতাদের হাত পাচোখইত্যাদিরক্ষমতাকেঅস্বাভাবিকভাবেবৃদ্ধিপ্রদানকরেন।এবংতাদেরহাত পা চোখদ্বারাকোনোপ্রকারখারাপএবংঅসৎকাজঘটতেদেননা।

এইপ্রসঙ্গেহজরতআনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুপ্রিয় নবী সাঃহইতেবর্ণনা করেন যে “মহান আল্লাহ্ তাআলাবলেন, বান্দাআধহাতআমার দিকেএগিয়েএলে,আমিতারদিকেএকহাতএগিয়েযাই।আরযখনসে আমার দিকেএক হাত এগিয়েআসে,আমি তারদিকেদুই হাত এগিয়ে যাই।আরযখন সেআমারদিকেহেঁটেআসে,আমি তার দিকেদৌড়েযাই।“ (বুখারী)এই হাদীসটিরসারমর্ম হলযে বান্দাআল্লাহরদিকেযতবেশিনিকটব্তী হয়আল্লাহ্ তাআলাতারদিকেদ্বিগুণবেশিনিকটব্তী হয়।এইহাদিসটিদ্বারা আল্লাহরঅন্তহীনদয়ারএবংকরুণারপরিষ্কারভাবেপ্রকাশপাচ্ছে।যে বান্দাযদিএকগুনআগেহয়আল্লাহ্ তাআলাতার দিকেদ্বিগুণএগিয়েআসে।

এই প্রসঙ্গেআরেকটিঅতিবিখ্যাতএকটিহাদিস, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।“নবী সাঃরাতে এতবেশি ইবাদতকরতেন যে,তাতেএমনকি তার পাদুখানা ফুলেফেটেযেত।আমিতাকে বললামইয়ারাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম!আপনিএরূপকরছেনকেন,আপনারঅতীত ওভবিষ্যতের সমস্তগুনাহ্তোআল্লাহ্ তাআলামাফ করেদিয়েছেন?তিনিবলেন,আমিকি আল্লাহরকৃতজ্ঞ বান্দা হওয়াপছন্দকরবনা?” (বুখারী ও মুসলিম)এইহাদিসটিএতটাপরিষ্কারযে বিশ্লেষণেরপ্রয়োজনইনেই।স্পষ্টবোঝা যাচ্ছেহাদিসটি দ্বারাযে প্রিয় নবী সাঃকতগুরুত্বদিয়েছেনআল্লাহরসাধনাকেযে তাঁরআগেরওপরেরসমস্তগুনাহকেক্ষমাকরেদেওয়ারপরেওতিনিঐরকমভাবেইবাদতকরেছেন।এবংএই প্রসঙ্গেজিজ্ঞেসকরা হলে তিনিউত্তরদেনআমি আল্লাহরকৃতজ্ঞ বান্দা হওয়া পছন্দ করবনা?

অবশেষেআরেকটিগুরুত্বপূর্নহাদিসএইপ্রবন্ধেযোগকরছি।সেটি হল ইবনুলআব্বাসরাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনিবলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দুটি নিয়ামতযারব্যাপারে বহুলোক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেসাস্থ্য ও অবসর সময়।“ (বুখারী) পাঠকেরমনেপ্রশ্ন জাগতে পারে এইহাদীসটিরএই প্রসঙ্গেকি সম্পর্ক।সম্পর্কহল এই যে যখনআমরাযৌবনকালেথাকিতখনআমাদেরকাছেসাস্থ্য ওঅবসরসময়দুইইথাকেতবুওআমরাতাব্যাবহারআল্লাহররাস্তায়না করেক্ষতিগ্রস্তহই।তাইআমাদেরউচিতআমরাযৌবনকালটাকেসঠিকভাবে ব্যবহারকরেউপকৃতহইওআল্লাহর নৈকট্য লাভকরি।আল্লাহ্তাআলাতৌফিক প্রদানকরুন।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter