তিন মাছ ও এক বিষাক্ত গাছ

       একসময় একটা নদীতে তিন মাছ বসবাস করত।
এর মধ্যে দুজন মাছ খুব ভালো স্বভাবের ও তারা দুজন খুব ভালো বন্ধু ছিল। একজনের নাম ছিল রাইকা ও অপরজনের নাম ছিল সাইনি। তারা যেখান যেত একসঙ্গে যেতো এদের গায়ের রং একটু কালো বলে মিনি  একটা হিংসুটে মাছ তাদের পছন্দ করতো না ।কারণ তাকে দেখতে খুব সুন্দর ছিল সে চাইতো প্রতিমুহূর্তে  রাইকাও সাইনিকে অপমান করতে সে সেই সুযোগই সব সময় খুঁজে বেড়াতো। রাইকাও সাইনি তাদের এক বন্ধুর বাড়ি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাই ।সেখানে তারা খুব আনন্দ করছিল যেখানে মিনি ও উপস্থিত ছিল তাদের এত আনন্দ করতে দেখে তারসহ্য হচ্ছিল না। সে মনে মনে খুব বিরক্তিবোধ করল এবং তাদেরকে অপমান করতে লাগলো তাদের উপর চেঁচামেচি করতে লাগলো। এই সব দেখে অনুষ্ঠানে যারা যারা উপস্থিত ছিল তারা সবাই মিনিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিল । কিছুদিন পর যখন সে নদীর চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন সে একটা অদ্ভুত ধরনের গাছ দেখতে পেল।সে যখন গাছটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন একটা বৃদ্ধ মাছ তাকে গাছটি ছুঁতে বারণ করে তখন মিনি বলে কেন আমি এই গাছটিকে ছবনা এটা কত সুন্দর দেখতে। বৃদ্ধ মাসটি বলল এটা একটি খুবই বিষাক্ত গাছ এই গাছের সঙ্গে যদি কোন মাছের ছোঁয়া লাগে তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে । মিনি আমি তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি আমি কিছু করতে পারবো না । তুমি কিছু একটা করে গাছটা তুলে ফেলার ব্যবস্থা কর । মিনি এই কথার কোন মূল্য দিল না এবং সেখান থেকে চলে গেল এইভাবে কিছু বছর কেটে গেল গাছটাও অনেক বড় ও ঝাপড়া হয়ে গেল । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিনি আরো রাগী ও অহংকারী হয়ে উঠল । একদিন রাইকা সাইনীকে বলল চল বন্ধু আমরা আজ নদীর ঐদিকটা থেকে একটু ঘুরে আসি। সাইনি রাজি হয়ে গেল তখন সেখানে মিনি লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের সমস্ত কথা শুনছিল । সে তাদের আগেই সেই জায়গাটিতে চলে গেল এদিকে রাইকা ও সাইনি যখন ঘুরতে ঘুরতে সেই জায়গাটিতে এসে পৌঁছালো। তারা সেখানে ওই সুন্দর গাছটিকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল।কেননা তারা এত সুন্দর গাছ কখনো দেখেনি কিন্তু তারা এটাও জানতো না যে গাছটা এত বিষাক্ত রায়কা ওসাইনি যখন গাছটির দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো তখন তাদের সামনে মিনি চলে আসে এবং সে তাদের অহংকারের শহীদ বলতে থাকে তোমাদের এই গাছটির কাছে আসার কোন যোগ্যতা নেই। নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেছ কোনদিন এই বলে সে নিজেই গাছটির কাছে চলে যায় । সে ভুলেই গেছিল যে এইটা একটা বিষাক্ত গাছ গাছটি কে ও স্পর্শ করতেই সানি ছটপট করতে করতে মারা যায়। এইসব দেখে রায়কা ও সাইনি খুব ভয় পেয়ে যায় ও  তারা একটা উপায় খুঁজতে থাকে গাছটিকে কাটার জন্য তখনই তাদের মাথায় একটা উপায় আসে।  তারা একটা মানুষ বিজ্ঞানী কে চেনে যে খুবই দয়ালু প্রকৃতির মানুষ একদিন তাদের এক জেলের হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিল এবং বলেছিল ভবিষ্যতে যদি কোন সাহায্যের দরকার হয় তবে সেই বিজ্ঞানী অবশ্যই তাদের সাহায্য করবে । তখনই রাইকা ও সাইনি সেই বিজ্ঞানীর বাড়ির উদ্দেশ্যে নদীপথে রওনা দেয় যখন মাছ দুটো নদী পথে যাচ্ছিল তখন তারা দেখে ওই বিজ্ঞানীটা নদীর ধারে একটা গাছের নিচে বসে  ভাবছে নতুন কিছু গবেষনা করার বিষয়ে। তখন রাইকা ও সাইনি সেখানে থেমে গিয়ে বিজ্ঞানী কে সেই গাছটির কথা সব খুলে বলে এবং তাদের সাহায্য করার কথা বলে। বিজ্ঞানীর এইসব কথা শুনে খুব দয়া হোলো। তার সঙ্গে সঙ্গে সে একটি নতুন কিছু গবেষণা করতে পারবে এই ভেবে আনন্দিত হলো। সে সেই মাছদের সাহায্য করতে তাদেরসঙ্গে অনেক যন্ত্রপাতি নিয়ে নদীতে সেই জায়গাটিতে যাই। এবং বিজ্ঞানী তার যন্ত্রপাতি দিয়ে গাছতিকে কেটে ফেলে যেহেতু বিজ্ঞানী একজন মানুষ সেইজন্য তার কোনো ক্ষতি হলো না। এবং রাইকা  ও সাইনির কাছে বিদায় নিয়ে ফিরে যাই। এদিকে রাইকা ও সাইনিকে আর কেউ অপমান ও করেনা। তারা দুই বন্ধু একসঙ্গে আনন্দে থাকতে লাগলো ।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter