হজরত মুহাম্মদ (সা:): একটি ভূমিকা

শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:)। তিনি জন্ম আরবের মক্কা প্রদেশে 570 খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। নবী-র বয়স যখন মাত্র ছই বছর তখন তাঁর মাতা হজরত আমিনা (রা:) ইনতেকাল করেন। তারপর তাঁর দাদা হজরত আব্দুল মুত্তালিবও ইনতেকাল করেন। তখন তিনার চাচা আবুতালিব নবীজির দেখাশোনা ও লালন পালনের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নবীজিকে বড়ো ভালোবাসার সহিত পালন পোষণ করেন। 
চাচার সাথে আমাদের নবী-র একটি ঘটনা আছে-
নবী-র বয়স যখন বারো বছর ছিল তখন তিনি তার চাচা-র সাথে মক্কা থেকে শাম দেশে ব্যাবসার জন্য গিয়েছিলেন। বসরা নামক একটি জায়গায় পৌছালে বহীরা নামক একজন পনডিত নবীপাককে দেখলেন। বহীরা তাঁর দূরদর্শিতার জানতে পারেন  যে এই বাচ্চা ছেলেটি সাধারণ ছেলে নয় বরং ভবিষ্যত নবী। তিনি চাচা আবু তালিবকে বললেন, ওহে আবু তালিব তুমি ছেলেটিকে শাম দেশে নিয়ে যেওনা কেননা সেখানকার ইহুদিরা একে দেখলে যন্ত্রনা দিবে। তাই চাচাজি আমাদের নবী ছঃ কে সাথে করে আর শাম দেশে নিয়ে গেলেন না।
   মক্কা নগরে খাদীজা নামে একজন ধনী বিধবা মহিলা থাকতেন। তিনি নবীপাক (স:)-র সত্যবাদিতা বিষয়ে বহুত কিছু শুনে রেখেছিলেন। এই জন্যই তিনি নবীপাক (স:)-কে তার পরিচালনা করার জন্য বারবার আবেদন করতেন। হুজুর (স:) খাদীজা (রাঃ)র ক্রীতদাস মাইসারার সাথে ব্যবসার জন্য শাম দেশের দিকে চলে গেলেন। এই ছফরটা নবীপাক (স:)র দ্বিতীয় ব্যবসায়ী সফর ছিলো। 
  তিনি শাম দেশে পৌঁছানোর পর সেখানে একটি গাছের তলায় বসে পড়লেন। সেখানকার একজন জ্ঞানী নাস্তরা সাহেব বললেন, "এখন এই গাছের তলায় যিনি বসে আছেন তিনি একজন নবী।" এবং নাস্তরা মায়সারাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "এই ব্যক্তির চোখে দুটি কি লাল?" মায়সারা বলল, "হ্যাঁ, তাঁর চোখ দুটো সবসময় লাল থাকে।" নাস্তরা বলল তাহালে তিনি অবশ্যই একজন নবী এবং শেষ নবী।"
   'নবী'  আরবী শব্দ। অর্থ হল অবতার। অবতার সংস্কৃত, হিন্দি ও বাংলা ভাষা। শেষ নবীকে বেদ গ্রন্থে 'অন্তিম ঋষি' বলা হয়েছে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter