হয়রত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম
যখন সমস্ত সৃষ্টি জগতে এক সময় শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই ছিলেন। তখন আসমান জমিন তথা সৃষ্টির কিছুই অস্তিত্ব ছিল না। সর্বত্র কেবল আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। এই শূন্যতার সমাপ্তি ঘটাবার জন্য তিনি আদাম (আঃ) ও বিবি হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করেন।
কিন্তু এদের আগে আল্লাহ তা'আলা তাঁর পেয়ারা হাবিব রহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন। পরিভাষায় এই নূরকে নূরে মোহাম্মদী বলা হয়।
তিনি ছিলেন সৃষ্টি জগতের সর্বপ্রথম সৃষ্টি।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন:لولاك لما خلقت الأفلاك
অর্থাৎ:হে নবী যদি আমি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আমি আদাম (আঃ) সৃষ্টি না করতাম। আমি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আসমান জমিন গাছপালা পাহাড়-পর্বত কিছুই সৃষ্টি করতাম না।
হুজুর আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আমি আদম আলাইহিস সালামের সৃষ্টির ১৪ হাজার বৎসর আগে আমার প্রভুর দরবারে একটি নুর ছিলাম।
যখন আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেন তখন সূর্য উদিত হয়নি।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার মা আমিনা এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
তিনার জন্মতে গোটা বিশ্ব জগত নূরে আলোকিত হয়ে গিয়েছিল। তিনাকে দেখে পৃথিবী আনন্দে হাসছিলো। আল্লাহ তায়ালার আরশ ও সিদরাতুল মুনতাহা তিনার সৃষ্টিতে কেঁপে উঠেছিল।
জিব্রাইল আমিন ও ফেরেশতাগণ তিনাকে ঘিরে খুশির সংবাদ দিচ্ছিলেন।
মোহাম্মদ সাঃ সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের এই পৃথিবীর মানুষ। সুদূর অতীতের কোন জগত থেকে তিনি উঠে আসেননি। তিনি ভালোবাসতেন যেমন আমরা ভালোবাসি তিনি ছিলেন এক নিপুন অশ্বারোহী।তিনি নিজেকে মানবজাতির নেতা বলে মনে করতেন কিন্তু কখনোই লোক দেখানো কোন কিছু করতেন না।
তিনার দাদা আব্দুল মুত্তালিব তিনাকে কাবা নিয়ে গিয়ে মোহাম্মদ (সাঃ) নাম রাখেন। যার মানে
চরম প্রশংসাকারি।
সময় যত এগিয়ে যায় তিনি তত বড় হন এবং আল্লাহর দিন তথা দিনে ইসলামের জন্য কাজ করতে থাকেন।