হুজুর  ﷺএর জন্ম ও শৈশবকাল
মানবতার পিতা ইসলামের দাতা হযরত মুহাম্মাদ মুসতাফা ﷺএর জন্ম রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ,(২০ শে এপ্রিল, ৫৭১খৃীঃ) তথা সোমবার ঠিক ভোরের সময় হয়। হুজুর ﷺএর আব্বু জানের নাম হজরত আবদুল্লাহ এবং তিনার আম্মি জানের নাম হজরত আমিনা (রাঃ) এবং তিনার দাদা হজরত আব্দুল মুত্তালিব যিনি এই উজ্জল,অপূর্ব ছেলেটির এক অপূর্ব নাম মুহাম্মাদ রাখেন। হুজুর ﷺ আপনার  আম্মিজানের দুগ্ধ মুবারক  মাত্র ৭ দিন পান করেন। অতঃপর আল্লাহর হুকুমে আম্মি জানের দুগ্ধ না  হওয়ায় হুজুর ﷺ নিজ চাচা আবু লাহাবের দাসি সুয়াইবা নামের একটি মহিলার দুগ্ধ পান করেন। কিছু উপার্জনের জন্য নিকটেই ভূগর্ভে আসা ছেলেদের হীনুপার্জনী মায়েরা দুগ্ধ পান করানোর জন্য নিয়ে যেত; এটিই ছিল আরবের প্রথা। তেমনি এক ভাগ্গময় মায়ের কোল  শিশু নবী ﷺ কে আপনার করে নেই। সেই ভাগ্গমতি মায়ের নাম ছিল হালীমাতুস সা’দিয়া (রাঃ)। ছোট্ট মিস্টি নবীকে তিনি নিজের বাড়ী নিয়ে......।  হুজুর ﷺ যখন ৬ বছরের ছিলেন তখন হুজুর ﷺএর আম্মাজান আমিনা (রাঃ) এর ইন্তেকাল হয় । তারপর তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব হুজুর ﷺএর দেখাশোনার ভার নিয়েছিলেন । হুজুর ﷺএর বয়স যখন  ৮ বছর তখন তিনার দাদা আব্দুল মুত্তালিবেরও ইন্তেকাল হয়ে যায়। হুজুর ﷺএর দেখাশোনার জন্য চাচা আবু তালিবকে আদেশ দেন। হুজুর ﷺএর ১০ বছরে তিনি শাম দেশে ব্যাবসার জন্য বুসরা নামক একটি জায়গায় পৌঁছান সেখানে এক খ্রিষ্টান পন্ডিত ছিল। সেই পন্ডিত হুজুর ﷺকে দেখে বলে এতো সাধারণ বাচ্চা নয় এ হলো আল্লাহ তায়ালার নবী,শেষ নবী। সেই  খ্রিষ্টান পন্ডিত হুজুর ﷺএর চাচা আবু ত্তালিব কে বলল তুমি এ বাচ্চাটাকে শাম দেশে নিয়ে যেওনা।  এই কথা শুনে হুজুর ﷺএর চাচা আবু তালিব (রাঃ) হুজুর ﷺ কে ব্যাবসার জন্য তিনার সাথে নিয়ে যান নি। এই ধরনের অন্যান্য ঘটনা হুজুর ﷺ এর সাথে ঘটেছে। যেমন ,এক দিন হুজুর ﷺ ব্যাবসা করতে যান তিনার সাথে দুজন সাহাবি ছিলেন। এক জনের নাম মায়সারা (রাঃ)।আমাদের প্রীয় নবীﷺব্যাবসার সফর করতে  করতে অনেক ক্লান্ত হায়ে যান। তখন তিনি একটি বৃক্ষের নিচে বসে যান। অতপর নাস্তারা নামক এক ব্যাক্তি মায়সারা কে জিজ্ঞাসা করেন “এই ছেলেটির কি সর্বসময় চোখ লাল থাকে”?। হ্যাঁ, মায়সারা(রাঃ) উত্তর দিলেন; এই ছেলেটির সর্বসময় চোখ লাল থাকে । এই বালক কোনো সাধারন বালোক নয় । ইনি হলেন অন্তিম নাবী ও আল্লাহর রাসুল। হুজুর ﷺ এর ২৫ বছর বয়সে খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বিবাহ হয়। তখন উম্মে খাদিজা (রাঃ)এর বয়স ৪০ বছর ছিল। বিবাহ পর হুজুর ﷺ অনেক যুদ্ধ করেন । তিনার প্রথম যুদ্ধ ছিল বদর যুদ্ধ এবং শেষ যুদ্ধ হল মুতার যুদ্ধ । মুতার যুদ্ধের পর তিনি আর কোনো যুদ্ধ করেননি । কিন্তু মানুষ কে তিনি অনেক কিছু শিখিয়েছেন। যেমন একটি উদাহারণ হল হজরত মুহাম্মাদ ﷺ হজের ব্যাপারে আলৌকিত বিবারন দেন। আর প্রিয় নবী ﷺ এর সামনে ইন্তেকালের ঘটনা ।হুজুর ﷺ একদিন একটি লোকের জানাযা পড়িয়ে রাস্তায় আসছিলেন। তখন তিনার মাথায় ব্যাথা করছিল। এই ব্যাথায় অনেক দিন কেটে যায়। তিনি জানতে পেরেছিলেন তিনার ইন্তেকালের সময় এসে গেছে । এহ মাথা ব্যাথা  সমস্যার জন্য আয়েশা(রাঃ) এর ঘরে থাকতে শুরু করেন। তিনার দেখাশোনা আনাস (রাঃ) করতেন। তিনার পাশে তিনার স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) বসেছিলেন। তার পাসে হুজুর ﷺ শুয়ে থাকতেন। এবং পানিতে পিয়ারা রাখাছিল। মুহাম্মাদ ﷺ পানিতে হাত দিতেন ও মুখে লাগাতেন । তিনি সেই সময় একটি কথা বলেছিলেন । আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই মৃত্যু অনিবর্জ ভয়নকর। এই কথা বলে হুজুর ﷺ ১২ রবিউল মাসে ১১ হিজরি সালে সোমবার সকালে ইন্তেকাল করেন। তখন তিনার বয়স ৬৩ বছর ছিল। সকল মক্কা মদিনা বাসি দুঃখের কান্নায় ভেঙে পড়ে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter