হাজরত বিবি হাজেরা (রাঃ)
আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করে ছিলেন এমন কয়েকটি মহিলা তাদের মধ্যে একজন হলেন হজরত ইব্রাহিম (আঃ) এর বিবি ও ইস্মাইলহ (আঃ) এর আম্মা জান হজরত বিবি হাজেরা রাদিয়াল্লাআনহা তিনি আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দি হবার পূর্বে যে সমস্ত কঠিন পরিক্ষর সম্মুখ হয়ে ছিলেন তা আমরা সকলেই জানি তা ছাড়া আমার মনে হয় যে পৃথিবীতে ইনার ব্য়াপারে না জানা মানুষ বধয় বিরল।আল্লাহ তায়ালা প্রিয় বান্দি হাবার জন্য যে কঠিন পরিশ্রম করতে ও কত বলিদান দিতে হয় তার একমাত্র জলযান্ত প্রমান ইনার জিবন থেকে আমরা আবলঙ্গন করতে পারি অনেক ঐতিহাসকেরা নিজের বইতে লিখেছেন যে হজরত বিবি হাজেরার জন্ম হয় মিসরের এক ছোট্ট মুসলিম পরিবারে, তিনার বাবা ছিলেন জুলাইন জিনি হজরত নুহ (আঃ)এর উম্মাত ছিলেন। ততকালিন জুগে যখন মিসরে পাপাত্তা জালিম বাদশা সাদুনের পাপ এর হাওয়া বয়ছিল চারিদিকে ব্যাবিচার জেনা লুট হত্যা চলছিল তখন এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নায় এই মহামানাবি। তিনারা বড় গরিব ছিলেন খেয়ে না খেয়ে আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতে দিন কাটিয়ে দিত । এবং সেই যুগে জালিম বাদসাহর বিরুধে কথাবলার মত মিসরের কোনো মানুষের ক্ষমতা ছিলনা। এবং বিবি হাজেরা বাল্য কাল ভালই কটেছিল পিতা মাতা ধর্মানুরাগি ও খোদা ভিরু বাবা মা এবং মেয়েও ধর্মানুরাগি হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মনো নিবেশ করল। দিন কাল বেশ ভালই কাটছিল বিবি হাজেরা আস্তে আস্ত বড় হতে লাগল এবং বিবি হাজেরা বাল্য কাল পার করে যৌবন কালে পদরপন করিল। বাবার মার আরও চিন্তা বাড়তে থাকল হটাৎ এক ঝড় বয়ে গেল বিবি হাজেরার জিবনে। হজরত বিবি হাজেরা (রাঃ) আর আব্বু যান মহান আল্লহ পাকের ইচ্ছায় পরলোক গমন করিলেন এবং মা মেয়ে দুজনে খুব দুঃখ পেল ।সেই জুগে মিসরে প্রতি বছরে একটি বিশাল মেলা বসত, হাজেরা বিবি তখন ছোট এবং মায়ের সঙ্গে এক দারকারি কাজে সেই মেলাতে যায়।সেই মেলাতে রাজা সাদুক (যাকে অনেকে ফেরাউ বলেছেন, আসলে মিসরের প্রতেক বাদশাদের ফিরাউন বলা হত,এটা তদের উপাধী ছিল)দেখে মা মেয়ে দুজনে খুব আত্মকিত হল। যদি বাদশার কনো লোকের চোখে পড়ে যায় তাহলে দুই মা মেয়ে দুজনকে কে মরতে হবে। এই কথা ভাবতে ভাবতে যেটা হবার নয় সেটা ঘটল , হটাৎ জালিম বাদসা ও তার সঙ্গি দের চোখে পড়ল, বাদশা বিবি হাজেরা কে দেখে তার শয়তানি একদম সেউরে উঠল এবং মা মেয়ে ছুটতে ছুটতে বাড়ি পৌঁছে গেল, তখন তো বাচল কিন্তু শেষ মেস ধরা পড়তে হল। এবংবিবি হাজরার মা জালিমের হাতে মারা গেলেন, হজরত বিবি হাজেরার পৃথিবীতে কেউ থাকল না । বাদসা প্রর্তেক দিন অন্য অন্য মেয়ের সঙ্গে রাত কাটা বার জন্য এক নতুন সাজ সজ্জিত ঘর ছিল ,সেই ঘর টা জালিম বাদসা সেই দিন ভাল করে সুসজ্জিত করারা হুকুম দিল। সেই ঘরে বিবি হাজেরা কে রাখা হল। বিবি হাজেরা দাসি দের জিগাসা করে খবর পেলেন যে মা আর এই দুনিয়ায় নেই। আর ভেঙ্গে পড়লেন এবং বাদশা সাদুকের কাছ থেকে আল্লাহর কাছে দুয়া করে বাঁচলেন। সে অনেক বড় কাহানি। সেই পথে আসছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আঃ) তার সঙ্গে এক বিবি থাকায় তিনাকে সেই মহলে আটক করা হল কিন্তু হজরত বিবি সারা (রাঃ) একজন আল্লাহ ভক্ত ছিলেন তাই জালিম বাদসা এক শিক্ষা পেয়ে হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কে মুক্তি করে এক দাসি উপহার দিলেন যেটা ছিলেন হজরত হাজেরা (রাদিআল্লাহুয়ানহা) বেশ শুখে ছিল হটাৎ এক সন্তান এর আসায় হজরত বিবি ছারা (রাঃ)নিজের শামি হজরত ইব্রাহিম (আঃ) এর সঙ্গে বিবি হাজেরার বিয়ে দিল। এর পর হজরত সারা (রাঃ) বিবি হাজেরার উপর বিবি সারার হিংসা বেড়ে গেল, আগে যে রকম ব্যবহার করত তার উলটো হয়ে গেল, বিবি হাজেরার অসজ্ঞ হয়ে গেল তিনি না সামি কে কিছু বলতে পারতেন না সারা বিবি কে কিছু বলতে পারতেন। এক দিন হজরত বিবি সারা হজরত ইব্রাহিম নবীর কাছে এক বাইনা করে বসল যে বিবি হাজেরাকে এক অন্ন্য যায়গায় রেখে আস্তে হবে হজরত, ইব্রাহিম (আঃ) প্রথমে কোন মতে রাজি হলেন না। যে এই কাজ করলে আল্লহ আমাকে কনও দিন ক্ষমা করবেন না। এমন সময় আল্লাহ নিকট থেকে ওহি আসে যে বিবি হাজেরাকে এমন এক যায়গায় রেখে এসো যেখানে কোন মানুস থাকেনা নির্জন মরুভুমি, এই কথা শুনে হজরত ইব্রাহিম (আঃ) অনেক চিন্তিত হলেন এবং খুব কষ্ট হলেও আল্লাহর ইচ্ছা কি এর আমান্য করা যাই, এবং আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন যে তুমি এক উট তার পিঠে বিবি হাজেরাকে চাপিয়ে দাও তার পর উট যেখানে থেমে যাবে সেটাই মহান আল্লাহর ইচ্ছা আর তুমি তাকে সেই খানে রেখে দিয়ে আসবে। শহর গ্রাম পার হতেই থাকে উট চলতে থাকল, এক নির্জন মরুভূমিতে উট থামল বিবি হাজেরা কিছুই জানেনা তিনি সরল কণ্ঠে বলল সামি এটা কোন যায়গা? তিনি বললেন প্রাণের হাজেরা এটা মহান আল্লাহর উপদেশ যে তোমাকে এই খানে রেখে যাই এটাই মহান আল্লাহ চান , বিবি হাজেরা ভাবল যে এটাই যদি মহান আল্লাহর তবে আমি রাজি, তবে আপনিও আমার সঙ্গে থাকেন এটা আমি চাই, কিন্তু আল্লহর এটা আদেশ ছিল না তাই তিনি প্রাণের বিবি কে ছেড়ে চলে আসলেন । এই থেকে ছিল এর পর আমরা সকলে জানি যে হজরত ইস্মাইল (আঃ) জন্ম ইব্রাহিম (আঃ) সপ্ন।জিবন যুদ্ধ জয় হয়ে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভ করে ছিলেন। আমরা যদি মহা পুরুষ দের জিবনি পড়ি তাহলে তাদের অনেক বলি দান দিতে হয়েছে আল্লাহ তায়ালা কোরান শরিফেবলে ছেন যে যারা আল্লাহর
নৈকট্য় লাভ করে নিয়েছে তাদের কনো ভয় ডর নাই । অথাৎ আল্লাহর অলি দের কোন ভয় ও দুঃখ নাই।