আল্লাহর বান্দিগণের জন্য পর্দা ও হিজাবের বর্ণনা
আজ আমরা জানব পর্দা ও হিজাবের ব্যাপারে সংক্রান্ত কিছু তথ্য।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করে দিয়েছেন যে ولا تبرّجن تبرّج الجاهلية الاولى অর্থাৎ প্রাচীণ জাহেলি যুগের মত নিজেদেরকে দেখিয়ে বেড়াবে না । হজরত মুজাহিদ (রাঃ ) বলেন , জাহিলিয়াতের জামানায় মহিলারা পুরুষদের সম্মুখ দিয়ে অনমনীয় হয়ে কনও কিছুর পরোওয়ানা না করে চলাফেরা করতো ।
মেয়েদের জন্য অচেনা পুরুষের সামনে পাতলা কাপড় পরে যাওয়া হারাম, ভিন-পুরুষের সামনে মাথা খোলাও হারাম । কিন্তু আজ মেয়েরা জানেনা যে তাদের ইস্কুলের সামনে রাস্তা বাজারে যে মস্তানদের উৎপাত দেখা যায় তার মূল কারণ বোনেদের বেপর্দা থাকা । তারা সেজে মাথার চুল , পেট ,পিট গলা বাহির করে হাঁটবে আর যুবকরা তা দেখে উত্তেজিত হবে না এটা কি হয় ? আল্লাহর নাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি আসাল্লাম বলেন , পরপুরুষের খারাপ দৃস্টিটা পর নারীর উপর পতিত হয় । উহা শয়তানের তীরের চেয়ে জঘন্য , তাতে চেহারার লাবন্নতা নষ্ট হয়ে যায় ।
আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের সহধর্মিণীদেরকে আদব কায়দা ও ভদ্রতা শিক্ষা দিয়েছেন । যারা সমস্ত মহিলাদের জন্য এক প্রজ্জ্বলিত আদর্শ । সুতরাং এ সমস্ত নির্দেশাবলী মুসলিম নারীর জন্যই প্রযোজ্য । তাই তো আল্লাহ তাআলা , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের সহধর্মিণীদেরকে উল্লেখ করে বলেছেন- হে নবী পত্নীরা তোমরা অন্যান্য সাধারণ স্ত্রিদের মতো নও , তাদের তুলনায় তোমাদের মর্যদা অনেক বেশি ।
فلا تخضعن بالقول فيطمع الّذى فى قلبه مرض অর্থাৎ যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তাহলে পরপুরুষদের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না যাতে অন্তরের সাথে যে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয় । অর্থাৎ যারা মাহারাম নয় তাদের সাথে মোলায়েম স্বরে কথা বলা যাবে না ।আর কোনো মহিলারই অমাহরাম লোকের সাথে নরম ভাবে কথা বলা উচিত নয় । وقرن فى بيوتكنّ অর্থাৎ তোমরা বাড়িতে থাকবে এবং কোনো জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবে না । যেমন- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেছেন , আল্লাহর বান্দিদের আল্লাহর মসজিদে যেতে বাঁধা প্রদান করো না । কিন্তু তারা যেন সুগন্ধি ব্যবহার না করে । অন্য রেওয়াতে আছে যে মহিলাদের জন্য বাড়িই উত্তম ।
হজরত মুকাতিল বিন হিব্বান (রাঃ) বলেন , تبرّجহল সেই নারী যারা তাদের মাথাই খিমার রাখে কিন্তু তা যথাযথভাবে শক্ত করে বাঁধে না । সুতরাং তার গলার হার কানের দুল ঘার ইত্যাদি সব কিছুই দেখা যাই । প্রিয় বোনেরা যদি আল্লাহ পাকের আজাব হইতে বাঁচতে চান এবং বেহেশতে যাওয়ার আশা রাখেন তাহলে বেপর্দা ঘুরবেন না , মনে দোষ থাকুক আর না থাকুক কথা বার্তা বলা বা দেখা সাক্ষাত করা হারাম । বকরির লেজ চার আঙুল দিয়ে লজ্জ্বা স্থান ঢাকিয়ে রাখে আর কুকুরের লেজ এক হাত লম্বা তা দিয়ে লজ্জ্বা স্থান ঢাকতে জানেনা । কারণ তার লজ্জ্বা নেই , এই জন্য আমাদের নবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের কলীজার টুকরা মা (রাঃ) আনহা বলেন , লজ্জ্বা শরম হল নারীদের সব থেকে বড়ো অলংকার । তো আমাদের দরকার যে আমদের সমাজে যতগুলো নারী আছে বোন , কিংবা সমাজে যতগুলো নারী আছে তাদের বাড়ি থেকে না বেরনোর জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর তৌফিক দান করুন এবং আমাদের জরুরি তাদেরকে পর্দাই থাকা , এবং জাহেলি যুগের নারীদের থেকে দূর থাকা এবং ভিন পুরুষের কাছ থেকে, তো আমাদের দরকার বোনদেরকে খারাপ থেকে দূর রাখা এবং আল্লাহ তাআলা আল্লাহর কথা মেনে চলার জন্য আমাদের উপর তৌফিক দান করুন।(আমিন)