ইসলামের দৃষ্টিতে পণপ্রথা
প্রথমত আমাদের জানতে হবে পণ কি এবং কোথা থেকে আসল। পণ শব্দের অর্থ
হলো প্রতিজ্ঞা এবং পরিভাষায় বিবাহকালীন পাত্রীর পক্ষ বর পক্ষকে যৌতুক হিসেবে
যা কিছু দিয়ে থাকে তা হল পণ এবং যে সমাজে প্রচলন থাকে তাহলে প্রথা।
আল্লাহু বলেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদিগকে মোহর মনের সন্তোষ সহকারে আদায় কর।
অবশ্যই তাহারা নিজেরা যদি স্বেচ্ছায় কিছু অংশ তোমাদের মাফ করে দেয় তবে
তাহা তোমরা সানন্দে খাইতে পার। কিন্তু আমরা আজকে তার উল্টো কাজ করছি।
জাহিলিয়াতের যুগে যদি কোন মেয়ে জন্মগ্রহণ করে তাহলে তাকে হত্যা করে দিত।
আজও বর্তমানে যে মেয়ে জন্মগ্রহণ করছে তাহলে তাকে ওষুধের দ্বারায়
ইনজেকশনের মাধ্যমে হত্যা করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ মহাপ্রলয়ের দিন জিজ্ঞাসা
করবেন কি কারনে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিন কি আমাদের জবাব দিহি
হতে হবে না।
আজ যে ছেলের জন্ম দেয় সে যেন নবাবের ঘরের লাট সাহেব এবং যে মেয়ের জন্ম
দেয় সে যেন কাঠগড়ার আসামী। তাই একজন কবি বলেন
জিসকে ঘরমে লারকি হোতিহে
এক বাড়ি মুসিবত হোতিহে
বুড়ি মা বাপকে কালিজে পার
এক ভরি চাট্টান হোতিহে।
যার যুবতী মেয়ে থাকে তার আত্মা মহাবিপদে থাকে এবং বৃদ্ধ পিতামাতার ওপর যেন
ভারী বোঝা চেপে যায়। এর একমাত্র কারণ ।
এবার আমাদের জানতে হবে পণ কি এবং কোথা থেকে আসল। কোন শব্দের অর্থ হল
প্রতিজ্ঞা এবং পরিভাষায় বিবাহকালীন পাত্রীপক্ষ বর পক্ষকে যৌতুক হিসেবে যা কিছু
দিয়ে থাকে তা হল পণ এবং সমাজে প্রচলন থাকে তাহলে প্রথা। আজ থেকে ৪০
বছর পূর্বে এই প্রথা মুসলিম সমাজে ছিল না।। এটি হলো হিন্দু ধর্মের প্রথা। হিন্দু
সাস্ত্রের বাপের সম্পত্তিতে মেয়ের কোন অধিকার থাকে না। তাই পিতা কিছু টাকা
দিয়ে মেয়েকে বিদায় করে দিত। আজ সেই প্রথা মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করে গেছে
যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।। এই সম্বন্ধে এক প্রশ্নের জবাবে উপমহাদেশের খ্যাতিমান
আলেম ও হাদিস শাস্ত্রবিদ পন্ডিত মির আতুল মাফাতীহ এর লেখক আল্লামা
ওবায়দুল্লাহ মোবারকপুরী বলেন, বিয়ে ঠিক করার সময় পাত্রপক্ষ পাত্রী পক্ষের নিকট
কোন জিনিসের দাবি করা এবং উক্ত দাবি পূরণে বিয়ের শর্ত রাখা শরীয়তের দৃষ্টিতে
হারাম ও অবৈধ। অথবা পাত্রী থেকেও আগে বেড়ে পাত্রপক্ষকে কিছু দেওয়ার ওয়াদা
করা প্রলভন দেখানো হারাম। তিনি বলেন বিয়েতে নেওয়া দেওয়া যার নাম পণ,
ডিমান্ড, প্রেজেন্টেশন, যৌতুক যাই রাখা হোক না কেন তাহা সমস্তই হারাম অবৈধ।
সমাজে একশ্রেণীর লোক আছে যারা বলে থাকে যে নবী (সঃ) আলী(রঃ) কে
যৌতুক রূপে কিছু বস্তু দিয়েছিলেন। তারা এই ঘটনাকে পণ নেওয়ার দলিল হিসেবে
রাখে তা ঠিক নয়। কারণ নবী (সঃ) এর এটা কর্তব্য ছিল আলী ও ফাতেমার
পিতা হিসাবে যেহেতু আলী নবী (সঃ) এর কাছে মানুষ হয়েছিলেন। এবং বিয়ে
দেওয়ার পর তাদের তো হাকিয়ে দেওয়া যায় না। বাপ যদি বিয়ে দিয়ে হাতিয়ে দেয়
তাহলে হুকুকুল আওলাদ হলো না। এই কারণে দেখতে পাওয়া যায় সামান্য কয়েকটা
জিনিস দিয়েছিলেন। যেমন একটি জায়নামাজ, দুটি মাটির কলসি, দুটি খেজুর
পাতার বালিশ ও দুটি সুতির চাদর। এছাড়া নবী (সঃ) অন্য তিন মেয়েকে দেননি,
শুধু ফাতেমাকে দিয়েছিলেন। তাহলে নবী (সঃ) কি জালেম ! নাউজুবিল্লাহ ! কখনো
নয়। নবী (সঃ) কখনোই জালেম নন। বরং নবী(সঃ) নিজ কর্তব্য পালন
করেছেন।ওহে যুবকের দল যে নারী তোমার চির জীবনের সঙ্গিনী হবে সুখে দুঃখে
তোমার পার্শ্বে থাকবে, জীবনের অন্তিম সময়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় তোমার সেবা
করবে। সেই নারীকে গ্রহণ করতে কেন এত টাকার পণ। ছিঃ ছিঃ তোমার লজ্জা করে
না, তোমার বাপের চুষে পেট ভরলো না পরের বাপের চুষে কি পেট ভরবে? এই বুঝি
তোমার বিবেকের দৌড় উচ্চ শিক্ষার সার্থকতা মানবতার বাহাদুরি। আজ এই পণপ্রথা
কেন্দ্র করে ন্যাশনাল ক্রাইম রিসার্চ বুড়োর দশ বছর পূর্বের এক সমীক্ষায় জানা যায়।
প্রতি ১২০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘন্টাতে একজন নারী পণের কারণে খুন হয়।পণ প্রথার
ফলে স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের চরম
অনাহা দেখা দেয়। হত্যা, অ্যাসিড নিক্ষেপ, নির্যাতন, বিবাহ বিচ্ছেদ সংঘটিত হওয়ার
মতো জঘন্য পাপ ও অপরাধ সাধারণ স্বামীর অমানবিক অত্যাচার হাজার হাজার
নারী আত্মহত্যা করে জীবনের জ্বালা মিটাচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার
গল্পগুচ্ছ গ্রন্থের দেনা পাওনা গল্পটি আমাদের দেশের বিবাহ এবং বরং পণ্য কে কেন্দ্র
করে বর পণের যে নিষ্ঠুর ও কুৎসিত আচরণ আছে তা তুলে ধরেছেন। সেই দেন
পাওনা গল্পের নিরুপমার শেষ পরিণতি হয়েছিল মৃত্যু। শুধু এই পণের কারণে। এই
প্রথা বিবাহের পক্ষে বিবাহের সার্থকতার পক্ষে জ্বলন্ত অভিশাপ। আজও সমাজে বহু
মানুষ আছে যারা পণের কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেনা। তখন যৌন ক্ষমতা
কন্ট্রোল না করতে পেরে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে সমাজকে দূষিত করে সমাজে মুখ না
দেখাতে পেরে ফাঁসির মঞ্চে আত্মহত্যা করে। এই প্রথা দূর করতে হলে সজাগ হয়ে
উঠতে হবে সর্দার, আলেম, যুবক ও নারীদেরকে, অর্থাৎ কোন বিয়ে যদি পণ নিয়ে হয়
তাহলে সর্দারের কর্তব্য সেই বিয়েতে বাধা দেওয়া এবং আলেমের কর্তব্য হবে এটাই
যে, যদি পণ নিয়ে বিয়ে হয় তাহলে সে বিয়ে যেন না পড়ান এবং নারীদের স্বীকার
করতে হবে যারা পণ নিয়ে বিয়ে করবে তাদের আমরা স্বামী রূপে গ্রহণ করব না
বরং তাদের আমরা বলির পাঠা রূপে গ্রহণ করব। এছাড়া যুবকদের কেউ স্বীকার
করতে হবে যে আমরা পণ নেবো না পণ নিতে দেব না তাহলে আমাদের পরিবেশ
সুষ্ঠ, শান্তিময় হয়ে উঠবে। তাহলে আমরা প্রকৃত মুসলমান হতে পারব।
হলো প্রতিজ্ঞা এবং পরিভাষায় বিবাহকালীন পাত্রীর পক্ষ বর পক্ষকে যৌতুক হিসেবে
যা কিছু দিয়ে থাকে তা হল পণ এবং যে সমাজে প্রচলন থাকে তাহলে প্রথা।
আল্লাহু বলেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদিগকে মোহর মনের সন্তোষ সহকারে আদায় কর।
অবশ্যই তাহারা নিজেরা যদি স্বেচ্ছায় কিছু অংশ তোমাদের মাফ করে দেয় তবে
তাহা তোমরা সানন্দে খাইতে পার। কিন্তু আমরা আজকে তার উল্টো কাজ করছি।
জাহিলিয়াতের যুগে যদি কোন মেয়ে জন্মগ্রহণ করে তাহলে তাকে হত্যা করে দিত।
আজও বর্তমানে যে মেয়ে জন্মগ্রহণ করছে তাহলে তাকে ওষুধের দ্বারায়
ইনজেকশনের মাধ্যমে হত্যা করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ মহাপ্রলয়ের দিন জিজ্ঞাসা
করবেন কি কারনে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিন কি আমাদের জবাব দিহি
হতে হবে না।
আজ যে ছেলের জন্ম দেয় সে যেন নবাবের ঘরের লাট সাহেব এবং যে মেয়ের জন্ম
দেয় সে যেন কাঠগড়ার আসামী। তাই একজন কবি বলেন
জিসকে ঘরমে লারকি হোতিহে
এক বাড়ি মুসিবত হোতিহে
বুড়ি মা বাপকে কালিজে পার
এক ভরি চাট্টান হোতিহে।
যার যুবতী মেয়ে থাকে তার আত্মা মহাবিপদে থাকে এবং বৃদ্ধ পিতামাতার ওপর যেন
ভারী বোঝা চেপে যায়। এর একমাত্র কারণ ।
এবার আমাদের জানতে হবে পণ কি এবং কোথা থেকে আসল। কোন শব্দের অর্থ হল
প্রতিজ্ঞা এবং পরিভাষায় বিবাহকালীন পাত্রীপক্ষ বর পক্ষকে যৌতুক হিসেবে যা কিছু
দিয়ে থাকে তা হল পণ এবং সমাজে প্রচলন থাকে তাহলে প্রথা। আজ থেকে ৪০
বছর পূর্বে এই প্রথা মুসলিম সমাজে ছিল না।। এটি হলো হিন্দু ধর্মের প্রথা। হিন্দু
সাস্ত্রের বাপের সম্পত্তিতে মেয়ের কোন অধিকার থাকে না। তাই পিতা কিছু টাকা
দিয়ে মেয়েকে বিদায় করে দিত। আজ সেই প্রথা মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করে গেছে
যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।। এই সম্বন্ধে এক প্রশ্নের জবাবে উপমহাদেশের খ্যাতিমান
আলেম ও হাদিস শাস্ত্রবিদ পন্ডিত মির আতুল মাফাতীহ এর লেখক আল্লামা
ওবায়দুল্লাহ মোবারকপুরী বলেন, বিয়ে ঠিক করার সময় পাত্রপক্ষ পাত্রী পক্ষের নিকট
কোন জিনিসের দাবি করা এবং উক্ত দাবি পূরণে বিয়ের শর্ত রাখা শরীয়তের দৃষ্টিতে
হারাম ও অবৈধ। অথবা পাত্রী থেকেও আগে বেড়ে পাত্রপক্ষকে কিছু দেওয়ার ওয়াদা
করা প্রলভন দেখানো হারাম। তিনি বলেন বিয়েতে নেওয়া দেওয়া যার নাম পণ,
ডিমান্ড, প্রেজেন্টেশন, যৌতুক যাই রাখা হোক না কেন তাহা সমস্তই হারাম অবৈধ।
সমাজে একশ্রেণীর লোক আছে যারা বলে থাকে যে নবী (সঃ) আলী(রঃ) কে
যৌতুক রূপে কিছু বস্তু দিয়েছিলেন। তারা এই ঘটনাকে পণ নেওয়ার দলিল হিসেবে
রাখে তা ঠিক নয়। কারণ নবী (সঃ) এর এটা কর্তব্য ছিল আলী ও ফাতেমার
পিতা হিসাবে যেহেতু আলী নবী (সঃ) এর কাছে মানুষ হয়েছিলেন। এবং বিয়ে
দেওয়ার পর তাদের তো হাকিয়ে দেওয়া যায় না। বাপ যদি বিয়ে দিয়ে হাতিয়ে দেয়
তাহলে হুকুকুল আওলাদ হলো না। এই কারণে দেখতে পাওয়া যায় সামান্য কয়েকটা
জিনিস দিয়েছিলেন। যেমন একটি জায়নামাজ, দুটি মাটির কলসি, দুটি খেজুর
পাতার বালিশ ও দুটি সুতির চাদর। এছাড়া নবী (সঃ) অন্য তিন মেয়েকে দেননি,
শুধু ফাতেমাকে দিয়েছিলেন। তাহলে নবী (সঃ) কি জালেম ! নাউজুবিল্লাহ ! কখনো
নয়। নবী (সঃ) কখনোই জালেম নন। বরং নবী(সঃ) নিজ কর্তব্য পালন
করেছেন।ওহে যুবকের দল যে নারী তোমার চির জীবনের সঙ্গিনী হবে সুখে দুঃখে
তোমার পার্শ্বে থাকবে, জীবনের অন্তিম সময়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় তোমার সেবা
করবে। সেই নারীকে গ্রহণ করতে কেন এত টাকার পণ। ছিঃ ছিঃ তোমার লজ্জা করে
না, তোমার বাপের চুষে পেট ভরলো না পরের বাপের চুষে কি পেট ভরবে? এই বুঝি
তোমার বিবেকের দৌড় উচ্চ শিক্ষার সার্থকতা মানবতার বাহাদুরি। আজ এই পণপ্রথা
কেন্দ্র করে ন্যাশনাল ক্রাইম রিসার্চ বুড়োর দশ বছর পূর্বের এক সমীক্ষায় জানা যায়।
প্রতি ১২০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘন্টাতে একজন নারী পণের কারণে খুন হয়।পণ প্রথার
ফলে স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নের চরম
অনাহা দেখা দেয়। হত্যা, অ্যাসিড নিক্ষেপ, নির্যাতন, বিবাহ বিচ্ছেদ সংঘটিত হওয়ার
মতো জঘন্য পাপ ও অপরাধ সাধারণ স্বামীর অমানবিক অত্যাচার হাজার হাজার
নারী আত্মহত্যা করে জীবনের জ্বালা মিটাচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার
গল্পগুচ্ছ গ্রন্থের দেনা পাওনা গল্পটি আমাদের দেশের বিবাহ এবং বরং পণ্য কে কেন্দ্র
করে বর পণের যে নিষ্ঠুর ও কুৎসিত আচরণ আছে তা তুলে ধরেছেন। সেই দেন
পাওনা গল্পের নিরুপমার শেষ পরিণতি হয়েছিল মৃত্যু। শুধু এই পণের কারণে। এই
প্রথা বিবাহের পক্ষে বিবাহের সার্থকতার পক্ষে জ্বলন্ত অভিশাপ। আজও সমাজে বহু
মানুষ আছে যারা পণের কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেনা। তখন যৌন ক্ষমতা
কন্ট্রোল না করতে পেরে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে সমাজকে দূষিত করে সমাজে মুখ না
দেখাতে পেরে ফাঁসির মঞ্চে আত্মহত্যা করে। এই প্রথা দূর করতে হলে সজাগ হয়ে
উঠতে হবে সর্দার, আলেম, যুবক ও নারীদেরকে, অর্থাৎ কোন বিয়ে যদি পণ নিয়ে হয়
তাহলে সর্দারের কর্তব্য সেই বিয়েতে বাধা দেওয়া এবং আলেমের কর্তব্য হবে এটাই
যে, যদি পণ নিয়ে বিয়ে হয় তাহলে সে বিয়ে যেন না পড়ান এবং নারীদের স্বীকার
করতে হবে যারা পণ নিয়ে বিয়ে করবে তাদের আমরা স্বামী রূপে গ্রহণ করব না
বরং তাদের আমরা বলির পাঠা রূপে গ্রহণ করব। এছাড়া যুবকদের কেউ স্বীকার
করতে হবে যে আমরা পণ নেবো না পণ নিতে দেব না তাহলে আমাদের পরিবেশ
সুষ্ঠ, শান্তিময় হয়ে উঠবে। তাহলে আমরা প্রকৃত মুসলমান হতে পারব।