স্বাধীনতায় ভারতীয় মুসলমানের ভূমিকা
তবে কি তাদের নাম ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে?
তারা কি ব্রিটিশদের বিপক্ষে নিজের প্রান কে বিশর্জন দেননি?
আজকে শুধু বয়ে আসছে হিন্দু জাতীর কয়েক স্বাধীনকারি দের নাম। কোথায় গেল সেই মুসলিম স্বাধিনকারি দের নাম। সর্বপরি আমি বলে রাখি যে, এবার পালিত হলো ৭৫তম স্বাধিনতাদিবস। কিন্তু ভারতে স্বাধীনতা সত্যেও ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদের স্বাধীনতা নেয়। চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে এই মুসলিমকে, সেই বন্ধীত ঘরে একের পর এক অত্যাচার করা হচ্ছে, নানান ভাবে মাছের জ্বালে ফাসানো হচ্ছে ও পশুর মতো বোবা বানানো হচ্ছে; আমাদের একজন সরদার একান্তরিক প্রোয়জন। আমাদেরকে সেই স্বাধীনকারির মতো এগিয়ে আসতে হবে যেমনঃ
১-হাকিম আজমাল খানঃ নিজের জীবনের দিকে না তাকিয়ে তিনি এসেছিলেন স্বাধীন কারির দলে। তিনি হলেন সেই যুগের বিখ্যাত ডাক্তার; প্রতেক্য রোগির প্রতি ১০০০ টাকা ছিল তার বেতন। কিন্তু তিনি কোনো রোগির কাছে এক পয়সাও নিতেন না। এবং চলে এলেন স্বাধীনতা অর্জন করার মাঠে।
আজ পুরো বিশ্বজুরে মহাত্মা গান্ধীর গুনগান চলছে। কিন্তু আমরা ওই ব্যাক্তিকে ভুলে ফেলেছি, যেই ব্যাক্তির নিমিষে মহাত্মা গান্ধীর নিজের গান্ধী উপাধি পায়। তিনি হলেন এই হাকিম আজমল খান।
২-আব্দুল্লাহ খানঃ সেই যুগে এমন এক ব্যাক্তি ছিলেন, তিনার মাথামন্ডু কেটে আনার জন্য ৫০০০০ হাজার টাকা পুরুষ্কার রাখা হয়েছিল। ওই কালে টাকার মূল্য ছিল আগুনের চেয়েও বেশি গরম কিন্তু তা সত্যেও আব্দুল্লাহ খান কে ধরার জন্য এত বেশি পরিমানে পুরুষ্কার রাখা হয়েছিল।
৩-শেরে আলিঃ ব্রিটিশরা তখন খুব বেষি পরিমানে ভারতীয় মানবদের কাড়াগারে বন্ধি করতো, ফলে ব্রিটিশ রাজা সপ্তাহে একবার জেল দর্শন করত। ঠিক সেই রকম এক দিন রাজা জেল ভ্রমন করতে যায়। ক্ষুদিরাম বসু এই অত্যাচারিকে মারার ভিষন চেষ্টা করেন কিন্তু তিনার চেষ্টায় অসাফলতা অর্জন করে।কিন্তু সর্ব শেষে সেই অত্যাচারিকে এই দুনিয়া থেকে বিদায় করে এই শেরে-আলি।
আরো এমন অনেক অনেক ব্যাক্তি রয়েছে যারা দেশ স্বাধীন করতে দুবার ভাবেননি, নিজের পরিবারের কথা মনে করেনি, শুধু মাত্র ভেবেছিল ভারত বাসীর কথা। আমরা যদি ইতিহাসের পাতা খুলে দেখি ভালো করে বুঝতে পারবো কেমন ছিল আমাদের এই ভারতবর্ষ দেশ। তিনাদের মানবিকতার কথা ভেবে দরকার। তিনাদের মানিষ্কতার ইতিহাস খুলে দেখা প্রয়োজন। আমাদের প্রয়োজন যে, আমরা যেন তিনাদের কথা সর্বদা বুকে আটকে রাখতে পারি।