ইসলামে ভ্রমণের তাৎপর্য
ইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অনেক। আল্লাহ তাআলার নিদর্শন এবং পূর্ববর্তী জাতিসমূহের পরিণাম দর্শন করতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা ভ্রমনের তাৎপর্য বর্ণনা করে বলেন: 
"তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, কীভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন।" 
মহানবী (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়া ভ্রমণ করেছেন। তাঁর সাহাবি ইসলামের দাওয়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা-দীক্ষার উদ্দেশ্যে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষা, ব্যবসা, চিকিৎসা কিংবা বিনোদন—ভ্রমণ যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, ইসলামের বিধিবিধান সম্মত হলে সেটাও এক পুণ্যের কর্ম। 
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে ভ্রমণ করার আদেশ দিয়েছেন। ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ না করার ক্ষেত্রে কোনো কোনো আয়াতে তিরস্কারের বাক্যও এসেছে। এসব আয়াতের মাধ্যমে তিনি মানুষকে তাঁর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা, গবেষণা করার আদেশ দিয়েছেন। ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্ব, অবাধ্য জাতিগুলোর পরিণাম , পরকালের অনন্ত জীবনের প্রতি বিশ্বাস এবং মহানবী (সা.)-এর আনুগত্য ইত্যাদি মৌলিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে অগাধ উপলব্ধি পাওয়া যায়। 
কিছু সম্পর্কিত আয়াতসমূহ
"এরপর আল্লাহ ফের সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।" (সুরা আনকাবুত: ২০) 
অন্য আয়াতে তিনি বলেন: "এরা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে দেখত এদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। পৃথিবীতে তারা ছিল এদের অপেক্ষা শক্তিতে ও কীর্তিতে প্রবলতর। এরপর আল্লাহ তাদের কৃত অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছিলেন। আল্লাহর শাস্তি থেকে তাদের রক্ষার কেউ ছিল না।" (সুরা মু'মিন) 
আরও ইরশাদ অবতীর্ন হয়: "তবে কি তারা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে না, যাতে তাদের অন্তর অনুধাবন করতে পারত এবং তাদের কানে শুনে নিত?" (সুরা হজ)  

Related Posts

Leave A Comment

1 Comments

Voting Poll

Get Newsletter