মাজলুমের আত্মরক্ষার কুরআনিক দৃষ্টিভঙ্গি: একটি সমাজচিন্তামূলক বিশ্লেষণ

যার ওপর জুলুম করা হয় তাকে বলা হয় মাজলুম, আর যে জুলুম করে সে হয় জালিম। শব্দ দুটি অর্থ ও আচরণে একে অপরের বিপরীত। জালিম আত্মস্বার্থে অন্ধ, সে ন্যায়ের তোয়াক্কা না করে ছলচাতুরী ও কূটকৌশলের অস্ত্র হাতে নেয়। স্বভাবতই সে হয় স্বার্থপর, লোভী ও হিংসুক। মিথ্যা তার চরিত্রে গাঁথা থাকে এবং নিজের হীন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সে এমন কোনো নীচ কাজ নেই যা করতে দ্বিধা করে। এই নীচতা ও নির্লজ্জতার অভ্যাসে সে ক্রমে হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ বেহায়া। এই বেহায়াপনার কারণে তার চরিত্রে সৌজন্যবোধ ও শিষ্টাচারের লেশমাত্র থাকে না। আর এই দুইয়ের অভাবে তার অন্তর ধীরে ধীরে এমন এক কৃষ্ণতা ধারণ করে যে, সেখানে আর কোনো নৈতিকতার আলো প্রবেশ করতে পারে না। তার হৃদয় ও মনন হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ অস্পর্শকাতর। তার চোখেমুখে, কথাবার্তায় ও আচার-আচরণে সৌন্দর্যহীন নিষ্ঠুরতার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তার আচরণে একটি অব্যক্ত হিংস্রতা সর্বদা প্রকাশ পায়, যেন সে সদা দুর্বল কাউকে শিকার করার অপেক্ষায় আছে। সংক্ষেপে বলা যায়— অভ্যস্ত জালিমের চেহারায় ফুটে ওঠে হিংস্র হায়না বা বাঘের প্রতিরূপ।

মাজলুমের মনোভাব ও দুর্বলতার কারণ

মাজলুমের মানসিক অবস্থা কেমন হয়? প্রকৃতপক্ষে, দুর্বল, হীনমন্য মানুষই সাধারণত শোষিত হয়, অত্যাচারিত হয়। এই হীনমন্যতার উৎস শিক্ষার অভাব, জ্ঞানের অভাব, সম্পদের অভাব এবং শক্তি ও সাহসের অভাব। আবার এই অভাবগুলো জন্ম নেয় উদাসীনতা, অচেতনতা, দায়িত্বহীনতা ও কর্মবিমুখতার কারণে। এইসব কারণে মানুষ স্বনির্ভর হতে পারে না, হয়ে ওঠে পরনির্ভরশীল। তারা ভাগ্যের উপর অতি মাত্রায় নির্ভর করে এবং সংগ্রামী চেতনা তাদের মন ও মনন থেকে হারিয়ে যায়। ফলে তারা হয়ে পড়ে পরাধীন, পরাশ্রিত এবং আত্মসম্মানহীন। আত্মসম্মান হারানো মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন— ধূর্ত, শক্তিশালী কেউ না কেউ তাকে নিশ্চয়ই গ্রাস করবে। হয় ধূর্ততায়, নয় শক্তি প্রয়োগে কিংবা কোনো কৌশলের মাধ্যমে।

পৃথিবীর প্রতিটি যুগেই এই শোষণ ও শোষিত হওয়ার ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আমি সেই জাতির অবস্থা পরিবর্তন করি না, যারা নিজের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নিজে সচেষ্ট হয় না।” এটি কেবল মুখের কথা নয়, বরং ইসলামের অন্যতম মূলনীতি। আর এই কথার সত্যতা ইতিহাস দ্বারা সমর্থিত।

সংখ্যালঘু হওয়া কোনোভাবেই হীনমন্যতার কারণ হতে পারে না— ইতিহাসে তার বহুপ্রমাণ রয়েছে। পৃথিবীতে আগত প্রতিটি নবীকেই প্রথমে স্বল্পসংখ্যক অনুসারী নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়েছে এবং সংখ্যাগুরু অস্বীকারকারীদের দ্বারা তারা নিদারুণ অত্যাচারিত হয়েছেন। অনেক সময় তাঁদের নিজভূমি থেকেও বিতাড়িত হতে হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কখনোই সংখ্যাগুরু বাতিলপন্থীদের সম্মুখে নত হননি। হকের পথ ত্যাগ করেননি, ধৈর্য হারাননি, আল্লাহর করুণার ওপর আস্থা হারাননি এবং দুঃখ-কষ্টের মাঝেও দ্বীনদারিতা থেকে একচুল সরেননি। বরং তাঁরা আরও বেশি করে দুআ, ইবাদত এবং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় মনোনিবেশ করেছেন। তাঁদের বিশ্বাস ছিল— সংখ্যালঘুতা শক্তির অভাব নয়; প্রকৃত দুর্বলতা হলো আল্লাহ বিমুখতা। তাঁরা জানতেন, খাঁটি ঈমানদারগণ সংখ্যায় অল্প হলেও আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয়, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ঈমানের মতো শ্রেষ্ঠ শক্তি।

ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মরক্ষা ও সংগ্রাম

ইসলাম আত্মরক্ষা ও সংগ্রামকে একান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করে। খাঁটি ঈমানদারদের অভিভাবক স্বয়ং আল্লাহ। তিনি চাইলে ফেরেশতাদের মাধ্যমে সাহায্য পাঠাতে পারেন, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটিয়ে অহংকারী জালিমদের ধ্বংস করে দিতে পারেন। তাই মুমিনের কখনো হতাশ হয়ে বসে থাকার অবকাশ নেই, মনোবল হারিয়ে নিরাশ হওয়ার সুযোগ নেই। বরং প্রয়োজন কেবল সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং মুমিনসুলভ গুণাবলিতে নিজেকে বলীয়ান করে তোলা।

ঐক্য, সংগ্রাম ও বিজয়

যত বাধাই আসুক, যত সমস্যা মাথার ওপর ভিড় করুক, খাঁটি মুমিন বান্দারা সংগ্রামের ময়দান ছেড়ে যায় না, স্বগোত্রীয় ঐক্য ত্যাগ করে না এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে এক মুহূর্তের জন্যও পিছিয়ে পড়ে না। হক-বাতিলের লড়াইয়ের ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই, সংখ্যায় অল্প হলেও শেষপর্যন্ত বিজয় হয়েছে হকপন্থীদেরই। জালিমরা ছিল ধন-সম্পদ, শক্তি ও জনবলসম্পন্ন— তবু তাদের পতন হয়েছে। ফিরআউন, নমরুদ, হামান— এদের নাম ইতিহাসে ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে। পক্ষান্তরে হযরত মূসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীরা শেষ পর্যন্ত পরাজিত হননি। নীলনদের বুকে যারা ডুবে মরেছিল, তারা ছিল জনশক্তি, ধনশক্তি ও রণশক্তিতে বলীয়ান। তবু জয় হয়েছে ঈমান ও নেক আমলের।

আত্মবিশ্বাসের সংকট ও ঈমানের দুর্বলতা

যখন কোনো জনগোষ্ঠী অজ্ঞতা, উদাসীনতা, অশিক্ষা বা কুশিক্ষার কারণে দীর্ঘদিন হীনমন্যতায় ভোগে, তখন তারা আত্মবিশ্বাস হারায়। তাদের মন থেকে সাহস ও দৃঢ়তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখনই তারা হকের পক্ষে কথা বলার বা হকের ওপর দৃঢ় থাকার সাহস হারিয়ে ফেলে। ধনশক্তি ও বাহুবলের মিথ্যা ভয় তাদের মনকে গ্রাস করে এবং তারা সংখ্যালঘু বিবেচনায় দায়িত্ববিমুখ হয়ে পড়ে।

কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, “আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।”— এই আহ্বান এসেছে মুমিন বান্দাদের উদ্দেশ্যে। আরও বলা হয়েছে, “আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া মুমিনদের লক্ষণ নয়।” তাই কেউ যদি মনমরা ও নিরাশ হয়ে পড়ে, তবে বুঝে নিতে হবে তার ঈমান দুর্বল হয়ে গেছে। না হলে সে কখনোই সাহস হারাত না। ঈমানদারের হিম্মৎহীনতা ও হতাশাই কুফরের লক্ষণ।  পবিত্র কুরআনের সূরা ইউসুফে মহান আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন:

وَلَا تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ، إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ
— “আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই কাফের সম্প্রদায় ছাড়া আর কেউ তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।” (সূরা ইউসুফ, ১২:৮৭)

এই আয়াত আমাদের শেখায়—নিরাশা কেবল তাদেরই চরিত্রের অংশ, যাদের অন্তর ঈমানশূন্য। কিন্তু আজকের মুসলিম সমাজে, বিশেষত: আমাদের মতো মাজলুমদের মধ্যে এই নিরাশার ছায়া ভর করেছে ভয়াবহভাবে।

পরিতাপের বিষয় এই যে, যুগের জালিমরা যেমন তাদের ষড়যন্ত্র, কৌশল, ধনবল, জনবল ও আত্মশক্তিতে অগাধ আস্থা রাখে, তেমনি আমাদের ঈমানদার পরিচয়ধারী অনেকে নিজেদের ঈমান, দুআ ও আল্লাহর কুদরতের ওপর ততটা ভরসা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে সমাজে আমরা হয়ে পড়ছি দ্বিধাগ্রস্ত, ছিন্নবিচ্ছিন্ন, ঐক্যচ্যুত এবং আত্মনির্ভরতাহীন। আত্মরক্ষার প্রকৃত তদবীরকে উপেক্ষা করে কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করছে তাবিজ, মাজার ও অলৌকিকতা নির্ভর কল্পিত শক্তির সামনে।

দ্বীনদারির নামে ছড়িয়ে পড়েছে বিদআত, শির্ক ও কুসংস্কার। অনেকে জালিমদের প্রকাশ্য প্রশংসা করে কিংবা তাদের সঙ্গে আঁতাত করে লিপ্ত হচ্ছে চামচামিতে। অন্যদিকে, যারা ঈমান ও দায়িত্ববোধ নিয়ে সত্যের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন, তাঁরাও বিভাজিত মত ও মনোভাবের কারণে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছেন না। এই বিভক্তি ও মতানৈক্যই সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের কারণ। মুমিন ও মুজাহিদদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের ঘাটতি একটি চরম অভিশাপ।

আত্মরক্ষার উপায় কী?

এই অবস্থায় প্রশ্ন জাগে— আমরা কী করব? হিজরত? আত্মসমর্পণ? নিস্ক্রিয়তা?— এর কোনোটিই এই দেশের সংবিধান বা বাস্তবতায় পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয়। তকদীরের অজুহাত দিয়ে সব দায়িত্ব এড়িয়ে চলাও ইসলামসম্মত নয়। বরং প্রয়োজন— দায়িত্বশীল, সুপরিকল্পিত ও সম্মিলিত উদ্যোগ।

এ দেশে এখন গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মতলববাজরা নতুন সংজ্ঞা চাপিয়ে দিচ্ছে। মক্তব-মাদ্রাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান, জাতীয় সংগীত, সূর্যপ্রণাম, গোরক্ষা কিংবা পূজোর চাঁদা— এসব অজুহাতে দুর্বলদের ওপর নিরবিচারে জুলুম বাড়ছে। ভবিষ্যতে এর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে—এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ছত্রভঙ্গ হয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক আত্মরক্ষার চেষ্টা কখনোই প্রকৃত সমাধান হতে পারে না। মুসলিমদের বিভক্তি সর্বদা অভিশপ্ত।

সহাবস্থানের বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি

উল্লেখ্য, শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ই এ দেশে শোষিত বা উপেক্ষিত নয়। দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে দুর্বল, পিছিয়ে পড়া এবং বঞ্চিত। তাঁরা দীর্ঘকাল যাবৎ নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত থেকেছেন। মুসলিম সমাজের উচিত হবে—এই সকল অনগ্রসর গোষ্ঠীর সঙ্গে, বিশেষত তাঁদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী সুবিচারক নেতৃত্বের সঙ্গে, ঐক্য ও সহানুভূতির ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলা, স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেই।

জাত-ধর্ম ও সংস্কৃতির পরিচয়ে যারা গর্বিত, তাদের মধ্যেও অনেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। কুরআন বলেছে, যারা মুসলিমদের স্বদেশ থেকে বহিষ্কারে আগ্রহী নয় এবং ধর্মচর্চায় বাধা দেয় না, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা ও সম্ভাব বজায় রাখা হিকমতের অংশ। সংখ্যালঘু বলতে শুধু মুসলিমই নয়—এ দেশে রয়েছে বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টানরাও। তাদের সঙ্গেও সদ্ব্যবহার, সম্মান এবং প্রয়োজনীয় ঐক্য গড়ে তোলা সময়ের দাবি।

সার্বিকভাবে এই দেশের সংবিধান একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতীক—‘সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়।’ অতএব, সেই সংবিধানের সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই হিকমত ও দূরদর্শিতার সঙ্গে বেঁচে থাকাই হবে বর্তমান মুসলিম সমাজের জন্য সর্বোত্তম কৌশল।

দ্বীনদারিই আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায়

তবুও শেষ কথা এটাই— উম্মতে মুহাম্মাদীর আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায় নিহিত রয়েছে খাঁটি দ্বীনদারীতেই। দ্বীনের মৌলিক শিক্ষা ও নীতিকে বাদ দিয়ে আত্মরক্ষার উপায় খোঁজা মরীচিকার পেছনে ছুটার নামান্তর।

প্রকৃত মুমিনের গুণাবলি অর্জনের প্রচেষ্টা ও সাধনাই আমাদের সম্মান, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার একমাত্র অবলম্বন। কেবলমাত্র ইসলামের আলোকে পরিচালিত অন্তর, হকপন্থী চরিত্র এবং আখিরাতমুখী কর্মতৎপরতাই পারে এই সংকটকালীন সময়ে মাজলুম মুসলমানদের আত্মরক্ষার পথ দেখাতে।

আল্লাহ তাআলার স্পষ্ট ঘোষণা আমাদের চেতনায় গেঁথে রাখতে হবে:

وَالْعَصْرِ، إِنَّ الْإِنْسَانَ لَفِي خُسْرٍ، إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ، وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ، وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
— “সময়ের শপথ, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে। তবে তারা নয়—যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং ধৈর্যের শিক্ষা দেয়।” (সূরা আল-আসর)

এই আয়াতই আমাদের জন্য পথনির্দেশ। হক ও সবরের পথে যাত্রা করেই উম্মতে মুসলিমা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া মুমিনের কাজ নয়। বরং ঈমান, ইখলাস, হিকমত ও ঐক্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি এবং অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে দাঁড়াতে পারি। অতএব, মাজলুমের আত্মরক্ষার প্রকৃত উপায় হলো— জ্ঞান, আত্মবিশ্বাস, সংহতি ও আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা। হীনমন্যতা নয়, বরং ঈমান ও আমলের বলেই সত্যিকার শক্তির উৎস। যে মুমিন এই শক্তিকে ধারণ করে, সে কখনোই জালিমের মুখোমুখি হয়ে ভয় পায় না, বরং দৃঢ়চেতায় প্রতিরোধ করে— জানে যে, একমাত্র আল্লাহর সাহায্যই সর্বোচ্চ শক্তি।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter