কুরআন আমাদের জন্য রহমত

আমাদের নাবী সাল্লাহু আালাইহি ওয়াসাল্লামের উপর একটি কিতাব/বই নাযিল হয় কুরআন। এটি হল একটি আসমানি কিতাব। এই আসমানি কিতাব যেটি আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জন্য অবতীর্ণ করেছেন যাতে তারা খারাপ ও কুকর্ম থেকে দূরে থাকে। আল্লাহ তায়ালা আর কিছু আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন  যেমন তাওরাত হযরত মুসা আলাইহিসালামের উপর। তেমনই ইনযিল আসমানি কিতাব যেটা হযরত ইসা আলাইহিসালামের  উপর নাযিল হয়েছে। যাবুর আসমানি কিতাব যেটা হযরত দাউদ আলাইহিসালামের  উপর নাযিল হয়েছে। তেমনই আল্লাহ তায়ালা কুরআন আমাদের নাবী সাল্লাহু আালাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। কোন মানুষ এই কুরআনের একটি হুরুফ কোন দিন  কেউ পরিবর্তন পরিবর্তন করতে পারেনি  এবং ভবিষ্যতে আর কোন দিনও পরিবর্তন করিতে পারবে না। এটি জিবরাঈল আলাইহিসালামের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম উপর নাযিল করেছেন। এই কুরআন-এর মত একটি কিতাব কোন দিন হয়নি, এবং ভবিষ্যতে আর কোন দিন হবেনা। 

কুরআনের ফজিলতঃ 

আমরা সবাই জানি এই দুইয়াতে অনেক মানুষ বসবাস করে তাদের মধ্যে অনেক মানুষ জ্ঞানী এবং অনেক মানুষ অজ্ঞানী। অর্থাৎ মানে অনেক মানুষ আছে যারা শিক্ষা জানে, এবং অনেক মানুষ আছে যারা শিক্ষা জানে না। কিন্তু আমাদের শিক্ষা জানা অনেক প্রয়োজন। যেহেতু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা  কুরআন পড়তে জানে না তবুও তারা কুরআন পড়ার চেষ্টা করে এবং নেকি অর্জন করে। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা  কুরআন পড়তে জানে এবং বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করে। এই কুরআনের যদি আমরা একটি হুরুফ পড়ি তাহলে আমরা  সেই একটি হুরুফের বদলে দশ নেকি করে অর্জন করিতে পারি। যেমন আমরা যদি কুরআন পড়তে যায় তবে আমরা সর্ব প্রথম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ি। তাহলে আমরা এই বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে আমরা একশত ওর বেশি নেকি অর্জন করতে পারি। সূরা বাকারার প্রথম আয়াত আলিফ, লাম, মিম এই তিনটি হুরুফ পড়ে আমরা তিরিশটি নেকি অর্জন করতে পারি। তাহলে আমরা কেন  বেশি বেশি কুরআনকে পড়ার চেষ্টা করতে পারিনা। তাহলে আমরা এখান থেকে বুঝতে পারলাম যে আমাদের বেশি বেশি কুরআন পড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং আমাদের বেশি বেশি নেকি অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।  এই কুরআনে সমস্ত কিছুর বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। যাতে এই কুরআন নিয়ে মানুষের মধ্যে বিবাদ না হয়। আমরা সবাই জানি যে এই কুরআন আমাদের মধ্যে সব থেকে ফজিলতময় কিতাব।

কুরআন আমাদের জন্য রহমতঃ এই কুরআনটি শারিয়াতের এবং দ্বীনে ইসলামের জন্যে নাযিল করা হয়েছে। এই কুরআনটি মানুষের হেদায়াত এবং সৎ পথ দেখার জন্যে নাযিল করা হয়েছে। যারা অন্ধকার রাস্তায় এবং পাপের সাগরের মধ্যে ডুবে রয়েছে তাদের কে  এই কুরআন সেই পাপের সাগরের তুলে নেকির পাহাড়ে পরিণত করে দেয়। এই কুরআনটি যে বাক্তি তেলায়াত করল সেই বাক্তির তেলায়াতের ফলে  কেয়ামতের দিনে সেই বাক্তির জন্যে শাফায়াত চায়বে। সেই বাক্তি এই কুরআন যত পরিমাণ তেলায়াত করবে জান্নাতে সেই বাক্তি এই কুরআন থেকে তত পরিমাণ শাফায়াত পাইবে। এই কুরআন হল মানুষের সবথেকে উত্তম ঔষধ। আল্লাহ তায়ালা এই কুরআনে বলে দিয়েছেনঃ

 ننزل من القرآن ما هو شفاء ورحمة للمؤمنين

অর্থাৎঃ এই কুরআনকে নাযিল করা হয়েছে মুমিনদের শিফা এবং রহমতের জন্যে। এবং আল্লাহ তায়ালা এই কুরআনে আরও বলে দিয়েছেনঃ

قل هو للذين آمنوا هدى  وشفاء

অর্থাৎঃ এই কুরআন মুমিনদের জন্যে সৎ পথ এবং শিফা দেয়।

তাহলে আমরা এখান থেকে বুঝতে পারলাম আমাদের এই কুরআনকে বেশি বেশি করে তেলায়াত করা উচিত।

কুরআন থেকে হেদায়াত পেয়েছে তার একটি উদাহরণঃ জাহিলিয়াতের যুগে  হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন কাফিরদের সর্দার। হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার জন্যে বাড়ি থেকে বার হলেন‘ যাবার পথে একটি মানুষের সাথে দেখা হয়। সেই মানুষটি জিজ্ঞাসা করলেন হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কোথায় যাচ্ছেন।  হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন: আমি  নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার জন্যে বাড়ি থেকে বার হয়েছি। তখন সেই মানুষটি  হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে বললেন: আগে তোমার বোনের বাড়ি গিয়ে দেখো তারপর তুমি নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার জন্যে যাবে। হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার বোনের বাড়ি গিয়ে দেখেন একটি সুন্দর সুর তার বোনের বাড়ি থেকে আসছে। সে তার বোনের বাড়ি গিয়ে দেখে তার বোন কুরআন তেলায়াত করছে এবং ইসলাম গ্রহন করে নিয়েছে। তখন সে নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহন করলেন।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter