বর্তমান যুগে মুসলিম উম্মাহর অবস্থা ও অধঃপতন।
আজ বিশ্বে চারিদিকে শুধু শোনা যাচ্ছে যে মসজিদ ভাঙার কান্ড।
মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। মসজিদের আজান বন্ধ মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ। আর কতোই না অত্যাচার করবে এই কাফেরেরা মুসলিম উম্মাহর উপর।
হাই কি আফশোস ! মুসলিমরা যদি আজ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেও আদেশ কে মেনে চলতো তাহলে তাদের আজকে এই অবস্থায় পরতে হতো না।
প্রথমেই দেখা যাক বিশ্বের মানুষের অবস্থা: ইরানের সরকারের আইনে সমস্ত নারীকে হিজাব পড়া অপরিহার্য তা না হলে তার প্রতি কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেই সময় মাশা আমিনি নামক এক ২২ বছরের মহিলা ইরানের রাজধানী তেহরানের দিকে ফিরে যাচ্ছিল। ইরানের নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ মাসা আমিনের গাড়ি আটক করে এবং দেখে যে তিনি ঠিক ভাবে হিজাব পরিধান করেননি। তাই তারা মাথা আমিনিকে হিজাব আইন ভাঙ্গার অভিযোগে গ্রেফতার করেন এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয় তাকে মারধর করা হয়। কিছুদিন পর কার মৃত্যু হয়। এই খবর সারা বিশ্বে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষোভ শুরু হয়।
এর অন্যদিকে যদি আমরা ভারতে দেখি তবে কর্ণাটকেরএকটি ঘটনা যেখানে মুসকান খান নামক এক ছাত্রী সে হিজাব পড়ে তার কলেজে যায় কিন্তু তাকে কলেজের ঢুকতে দেওয়া হয় না তার বিপক্ষে কিছু হিন্দু ছাত্র গেরুয়া রঙের গামছা গলায় ঝুলিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে।
কিন্তু সেই বাহাদুর মেয়েটি কোনরকম ভয় না করে সে আল্লাহু আকবারের নারা লাগাতে লাগাতে স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করে।
এই ঘটনার পর কর্ণাটকে হিজাব বন্ধ করা হয়।
মুসলমানের ওপর বহু অত্যাচার চালানো হচ্ছে কখনো বাবরি মসজিদ তো কখনো জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে। আমাদের অবস্থা খুব খারাপ।
মুসলিম উম্মাহর অধঃপত:
মুসলমানদের রয়েছে সোনালি অতীত। মুসলমানরা শ্রেষ্ঠ জাতি, বীরের জাতি, বিজয়ী জাতি। একসময় বিশ্বের বড় বড় সব পরাশক্তি মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, মুসলিম উম্মাহ পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে নির্যাতিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত ও পরাজিত হচ্ছে। এর কারণ কী? মুসলিম জাতির এমন অধঃপতন কিভাবে হলো?
এর একটি উত্তর হলো যে ইসলাম ও ইসলামের পরিধি থেকে বেরিয়ে পড়া। আজ আমরা ভুলে গেছি ইসলামের এক মূল বিষয় সেটি হল নিজেদের মধ্যে একতা ও ভাতৃত্ববোধ। মুসলিম ভাইয়ের মধ্যে একতা হওয়া দরকার।
এই বিষয়ের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং সূরা আল ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে: واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا
অর্থাৎ: তোমরা খোদার রঞ্জুকে শক্ত করে ধারণ কর ও দলাদলিতে পড়িও না। এই আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আর দিন তথা দিলে ইসলামকে সংবদ্ধ হয়ে থাকার আদেশ দিয়েছেন।
ইতিহাস আমরা মুসলিম সমাজ নিজেদের মধ্যে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধক গড়ে তুলি এবং ইসলামের সাধ্যের জন্য কাজ করে চলি তবে অবশ্যই দুনিয়ার কোন শক্তি আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না এবং সমস্ত শক্তি আমাদের পদোন্নত হবে আর যদি আমরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি মারামারি ফাসাদ দাঙ্গা লিপ্ত হয়ে থাকি তবে আমরা সবার কাছে পদনত হবো।
আমাদের প্রতিশ্রুতি নিতে হবে যে আমরা নিজেদের মধ্যে একতা ও ভাতৃত্ববোধের বীজ রোপন করব এবং কারো সঙ্গে মারামারি করবো না। এবং ইসলামের জন্য একসঙ্গে মিলে সংঘর্ষ করে জলব। ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আমরা কামিয়াব হব।