আসলে নারী স্বাধীনতা কোথায়?
আজ ৮'ই মার্চ। সবার স্ট্যাটাস শুধু আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছায় ভরে উঠেছে। কেউ মাকে তো কেউ কোনো প্রিয়তমাকে বা অন্য কোনো নারীসত্তাকে লক্ষ্য করে স্ট্যাটাসগুলি শেয়ার করেছে। লক্ষ্য যায় হক কোনো বিষয়ের সঙ্গে বিশেষ দিবস যুক্ত হলে উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। অনুরূপ নারী দিবসেরও নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য আছে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি পরিলক্ষিত উদ্দেশ্যটি হল জেন্ডার ইকুয়ালিটি বা লিঙ্গ সমতা।
কিন্তু এক দিন পূর্বে এই সমতাকে স্বাগতম জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের সরকার। সেখানকার প্রশাসন সাধারণ রেফেরান্ডম চালিয়ে দেশীয় নারীদের ধর্মীয় বুর্কা বা হিজাব পরিধান করা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হায়! সৈচ্ছায় পোশাক পরিধানের সাধিনতাও নাকি পাবেনা মহিলারা? এ আবার কেমন নারী আন্দোলনের ভূমিকা? নারী দিবসে বার বার হাঁক দেওয়া হচ্ছে মহিলা অধিকারের, কিন্তু রাজনৈতিক বিদ্বেষের কারণে ধর্মকে দোষারোপ করে সেই অধিকার আবার খর্ব করা হচ্ছে। কাউকে ঘরে নিমন্ত্রণ দিয়ে আবার তাকে ধাক্কা মেরে বার করে দেওয়ার মত ব্যাপার এটা।
সমতা বলে চিৎকার করে শুধু কর্মস্থানে ডাকলে হবেনা, বরং একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, ব্যাক্তিগত ভাবনাকেও সম্মান করতে হবে। তবেই সঠিক মানে নারী দিবস উদযাপিত হবে। নচেৎ, ওইসব চিৎকার শুধু লোকদেখানো ছাড়া কিছু হবেনা, হবে বৃথা এক উদ্যোগ।
সম্পর্কিত আর একটি বাস্তবতা সামনে উন্থিত হওয়া উচিত। নারী স্বাধীনতা নিয়ে আজ যত অভিযোগ ইসলামের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করা হচ্ছে তার ভিত্তি হল শত্রুতা, হিংসাত্মক মনোভাব ও বিদ্বেষমূলক মমস্কৃতি। আর তা না হলে নিকাব সন্ত্রাসের ও মাস্ক কোরোনা লড়ায়ের অস্ত্র এই থেওরিটি কিছু পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীদের মস্তিষ্কে গোচর হতো না।
ইসলাম ধর্ম নারী সম্প্রদায়কে তার নিজের সত্রার শনাক্তকরণের মার্কা দিয়েছে। তাদের ব্যালান্সড ইকুয়ালিটি প্রদান করে তাদের একটি সুন্দর পরিবার ও সমাজের স্তম্ভ বানিয়েছে।
নারী সন্তান যখন ভূমিষ্ট হয়, সে তার পিতামাতার জন্য সর্গে যাওয়ার একটি কারণ হিসেবে পরিচয় দেয়, যখন সে বিয়ে করে, সে তার স্বামীর ঈমানের পূর্ণাঙ্গতা প্রদান করে এবং সেই মহিলা যখন কারও মা হয় তখন তার পদ যুগলে জান্নাত লুকিয়ে রাখে। ইসলামিক সমাজে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সম্মান ও যত্নের সঙ্গে পালিত হয় একটি নারী জীবন।