শাহজালালুদ্দিন(রহঃ)

হয়রত শাহজালালুদ্দি (রহঃ) এক বিখ্যত কামেল অলি ছিলেন। কুরাইশ কাবিলার এক জন শিক্ষা-দিক্ষাই বজ্ঞ উল্লেখযোগ্য বাক্তি, তিনার নাম শাইখ মাহমুদ (রহঃ) -এর পুত্র জালালুদ্দিন (রহঃ) ছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল, তুরুস্কের “কনিয়া” নামক এক ক্ষুদ্রতম শহরে। শাইখ মাহমুদ (রহঃ) প্রথম প্রথম বিবাহিত সময় কোন সন্তান-সন্ততি ছিল না। পরে আল্লাহর দরবারে দোয়াপ্রাপ্তর অসিলাতে একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন, তিনার নাম শাহজালাল (রহঃ) তিনার মা ছিলেন একজন কুরাইশ বংশের খাতুন থাকাই তিনি একজ নানাগুণে বিভূষিত ছিলেন। সততা, সত্তবাদিতা, পবিত্রতা,ছিলেন. 
জন্মের পর

       মাহমুদ-পত্নি চন্দ্রতুল্ল পুত্র পাইয়া খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়াছিলেন ও আল্লাহর ক্রিতজ্ঞতায় অনেক দান-খাইরাত করিলেন এবং গরিব মানুষদের সুমনে ভোজন করাইলেন। এবং তাদে্র মুখে হাসি ফোটালেন। আপন ছেলেকে সমস্ত স্নেহ ওনিজের হ্রিদয়ের কাছে তাকে আদর করিলেন। এর কারনে এতদিনের দুঃখ তা শান্তি

বা খুশিতে পরিণত হয়ে গেল। তারা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক ভাবনাই বা চিন্তাই পরে গেলেন যে তার ছেলের ভবিষ্যৎ কি হবে তারা কিছুই অবগত ছিলেননা। অবশেষে তার নাম আদর করে জালালুদ্দিন রাখলেন। এখন তার বয়স তিনমাস অতিক্রম করলেন। হঠাৎ তার মার তৃতীয় মাসের একুশের সকাল থেকে অনেক মাথা যন্ত্রণা হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে কাশি, জর, ঠাণ্ডা লেগে তিনি তার আদরের পুত্রকে ছেড়ে দুনিয়া হতে পরলোকগমন করেন। তারপর সময় বহিয়া যাইতেছিল। তার বয়স পাঁচবছর অতিক্রম করিল। সে সময় কুনিয়ায় অমুসলিম ও মুশরিকিনদের আবির্ভাব হয়ে সেখানে তারা তাদের উপর অতি অত্যাচার করিতে লাগিল। সে সময় শাইখ মাহমুদ (রহঃ) সিক্ষা-দিক্ষার সঙ্গে যদ্ধ-বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। তাই সে মুশরিকিনদের সঙ্গে জিহাদ করার জন্য আদরের প্রিয় ছেলে জালালুদ্দিন (রহঃ) কে ঘরে রেখে মুসলমানদের সঙ্গে বের হয়ে গেলেন। সেই যুদ্ধে মুসলিমরা সফলতা হাসিল করলেন। এবং অনেক মুসলিমগন শহিদ হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধে শাইখ মাহমুদ (রহঃ) জিহাদি বাক্তিদেরকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি শহিদ হয়ে যান। এবং সমস্ত মুসলিম নিজের নিজের ঘরে এলেন কিন্তু শাহজালালুদ্দিন (রহঃ)-এর বাবা ফিরে এলেন না। তাই সে ঘর ঘর জিজ্ঞাসা করতে লাগিল, “আমার বাবা কোথাই” তারা বলল তোমার বাবা যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হয়ে গিয়েছেন। তখন সে অনেক কান্না-কাটি করতে শুরু করল এখন তাকে কে দেখবে।

মাতুল আহমাদ কবির (রহঃ)- এর কোলে

      শাহজালালুদ্দিন (রহঃ)- এর পরিবারসহ সমস্ত মানুষ কনিয়াই চলে এলো। তখন জালালুদ্দিন (রহঃ)- এর মামা মাতুল সৈয়দ আহমাদ (রহঃ) তার বোনের মৃত্যুর খবর পেলেন। তখন সে তুরকির পাশে একটি শহরে বসবাস করাকালিন সে সেখান থেকে কুনিয়াই চলে আসে। এবং তার ভাগনা জালালুদ্দিন (রহঃ) কে মন, যান, ভালবাসা দিয়ে তাকে দেখাশোনা করতে লাগল। ঠিক তেমনি হল যেমন নবি (সা) এর পিতা ইন্তেকাল করার পর তিনার ভারপোষণ তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব (রা) নিয়েছিল ঠিক তেমনি ইনার সঙ্গে হইল। তার মামা তাকে এমনভাবে লালিত পালিত করলেন তিনার মা যেমন তাকে যেমনটি করেছিল তার থেকেও বেশি। তাকারনে তার মার মৃত্যুর কথা ভুলেই গেলেন এবং মামা-ভাগনা একই সঙ্গে জীবন যাপন করতে লাগল।

বাল্যকাল শিক্ষা-দিক্ষা

        আহমাদ কবির (রহঃ) জনক-জননিনি হারা ভাগিনাটিকে একটি প্রকৃত বালক হয়ে গড়ে তুলবার দায়িত্ব নিলেন। সে যেন মাতা ও পিতার অভাব কোণও দিক দিয়ে বুঝতে না পারে সেই সর্ব রকম সে তাকে খুশি দিতেই থাকত। মাতুল কবির (রহঃ) সর্বপ্রথম তাকে আরবী ভাষায় সবক দিলেন। জালালুদ্দিন (রহঃ) জন্ম সুত্রেই পিতার সমস্তু গুণ তার ভিতরে ছিলেন। তিনি জ্গাবাক্তির সাথে সাথে তিনি একজন ধিশক্তিসালিসম্পুন্ন ছিলেন। তিনার স্মরণশক্তি অনেক তীক্ষ্ণ এবং অনেক মেধাবী ছিলেন। যে কোন সবক একবারের বেশি দ্বিতীয় বার পড়তেই হত না। তিনি তার মামার কাছ থেকে জাহিরি ইল্মের সঙ্গে সঙ্গে সে বাতিনি ইল্ম শিখত। এবং সে ষোল বছর বয়সে ইল্ম-তারিকাত এবং ইল্ম-মারেফাত সিখেছিলেন। সে তাতেও খুশি ছিলনা। এরকারনে তার মামা এইবার তাকে এমন এক ইল্ম শিখালেন যা একটি ভষ্ট মানুষকে বা একটি বোকা মানুষকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসতে পারে এই ইল্ম পরে শাহজালালুদ্দিন (রহঃ) অলিয়ে কামিল অর্থাৎ পরিপূর্ণ অলি হয়ে গেলেন। এবং বেলায়েতের আসন লাভ করলেন। একবার তিনি এক ঘটনাই খাজা খিজির (আঃ) তার জন্য দুয়াও করেছিলেন।

কারামত সমূহ

       শাজালুদ্দিন (রহ) এর জীবনে অনেক কারামত দেখতে পাওয়া যায়। তার প্রথম কারামতিই ছিল অনেক আশ্চর্যজনক । একদা এক সময় একটি হরিনের বাচ্চাকে একটি বাঘ খেয়ে নেওয়ার কারনে সেই হরিনটি আহমাদ কবীর (রাঃ) কে নালিশ জানালেন । তখন আহমাদ কবীর (রাঃ) তার ভাগিনা শাহজালাল (রাঃ) কে তার সঙ্গে পাঠালেন। তার পর সে সেখানে গিয়ে বাঘের সঙ্গে কথা বললেন যে,এমন  ছোটো ছোটো বাচ্চাদের কে মারা ঠিক নয় তাই জন্য তুমি এইরকম কাম হতে দূরে থাকো । আমাদের জানা দরকার যে আল্লহর অলিগনেরা পশুপাখিদের ব্যথা ও বেদনা বুঝতে পারেন  এবং পশু পাখির ভাষা বুঝতে পারে।এরকমি শাহজালালুদ্দিন (রহ:) বাঘের সঙ্গে কথা বললেন ।   

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter