হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ)
হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) এক নেক-সৎ পুরুষ ও সাহাবিয়ে রাসুল ছিলেন, এবং তিনি ইসলামের তৃ্তীয় খালিফা ও আমিরুল মুমিনিন ছিলেন। তিনি একজন কুরেশ বংশের আমাবী গত্র থেকে ছিলেন। তিনার পিতার নাম আফফান এবং তিনার মাতার নাম আরোয়া ছিল। হযরত উসমান (রাঃ) এর বংশ এর পরস্পর নাম গুলি হল: আফফান বিন আবি আস বিন উমায়া বিন আব্দ শামস বিন আব্দুল মানাফ বিন কুসাই বিন কিলাব আল কুরাইশি।
এবং মায়ের পক্ষে পরস্পর নাম গুলি হল : ইরয়ী বিন্ত কারিয বিন্ত কারিয়া বিন হাবিব বিন আব্দ শামস বিন আব্দ মুনাফ । ইরবির মা আল বায়দা উম্মে হাকিম বিন আব্দুল মুতালেব । নবী (সাঃ)এর পিসি তিনার কাকা আব্দুল মুতালেবের নিজের বোন ছিলেন।
তিনার ছদ্ম নাম ৩টি ছিল ।
১) আবু আব্দুল্লাহ ।
২) আবু উমর ।
৩) আবু লায়লা ।
জন্ম : তিনি আসহাবউলফিল ঘটনার ৬বছর পর জন্ম নিয়েছিলেন। ৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ তাকরিক, ৪৭ হিজরি মক্কার তাইফ নগরে।
খিলাফত :( ৬৪৪ ) (৬৫৬)।
হজরত উসমান রদিয়াল্লাহু আনহু ব্যবসাহি ছিলেন ।তিনি ব্যবসা করে বেশির ভাগ সন্ধার সময় বাড়ি ফিরতেন । তিনাকে আল্লাহ তাআলা তিনার ব্যবসায়ে অনেক বরকত দিয়েছিল,এবং তিনাকে সমস্ত মানুষ ব্যবসাহি সম্রাট বলত ।এতো সব হয়েও তিনি গরিব মানুষদের সাথে সবসময় অনেক সম্পর্ক রাখতেন গরিব মানুষদের উপর রহম করতেন ।তিনি অনেক পরহেজগার ছিলেন সব সময় পাক ও পরিচ্ছিন্ন থাকতেন। তিনি নবি (সা)এর চারজন সাহাবার মধ্যে এক জন সাহাবী ছিলেন।
তিনি হজরত আবু বক্কর রদিআল্লাহু আনহুর দ্বারাই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। এখানে এটি বঝা যায় যে আবু বক্কর রদিয়াল্লাহুর সাথে ব্যবসাহের দিকে অনেক সম্পর্ক ছিল , এর মধ্যে যখন আবু বক্কর রদিয়াল্লআহু আনহু তিনাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার কথা বললেন তখন তিনি তিনার কথা শোনে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেনিয়েছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহন কারিদের মধ্য ৪ নম্বরে ছিলেন।তিনার চাল চরিত্র অনেক ভালো দেখে নবী (সঃ)তিনার মেয়ে রুকায়ার সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়।বিয়ের পর যখন কুরাইশরা মুসলমানদের উপর অত্যাচার করতে লাগলো তখন তিনি রুকায়া কে নিয়ে হাবশার দিকে হিজরত করে নিয়েছিলেন।কিছু দিন পরে আবার মক্কার দিকে ফিরে আসেন এবং যখন তিনি মদিনার দিকে হিজরত তখন তখনও রুকায়া রদিয়াল্লাহু আনহাকে সাথে নিয়ে যান। কিন্তু হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু সেই যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন না ।হজরত রুকায়া রাদিয়াল্লাহু আনহার রাওানা হওয়ার পর নবি (সঃ) তিনার দ্বিতীয় মেয়ে হজরত উম্মে কুলসুমের সাথে উসমান রদিয়াল্লাহু আনহুকে বিয়ে দিয়ে দেন ।
যুদ্ধ : নবী (সঃ)এর মৃত্যুর কিছু দিন আগে মোতা যুদ্ধের শহিদ্দের প্রতিশোধ করার জন্য একটি সেনা বাহিন্নির রুমের সাথে যুদ্ধ করার জন্য আসমা বিন জায়েদের নেতৃত্বে তৈরি করিছিলেন।কিন্তু তার মধ্যে নবি (সঃ)মৃত্যু বরন করেন। নবী (সঃ)মৃত্যু বরন করার পর হজরত আবুবক্কর রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু প্রথম কাজ এটাই করেন যে সেনাবাহিনিদের কে যুদ্ধ করার জন্য পাঠিয়েছিলেন । কিন্তু সেখানে কোন ভীষণ যুদ্ধ হয়নি তার জন্য সেনাবাহিনিরা মদিনার দিকে ফিরে চলে আসে । তাও কোন কুফফারেরা যুদ্ধ করার জন্য মগ্ন ছিল , যখন এই ফাসাদ থেকে মুক্তি পেল,তখন আরবের সেনাবাহিনিদেরকে পাটইয়ে দেন। মুসলিমরা শাম এবং ইরাককে একই সময়ে অত্যাচার করে তার পর ইরান এবং রোমের ওপর অত্যাচার করা শুরু করে দেয়। কিন্তু এমন নয় যে মুসলমানদের সেনা কুফফার দের থেকে বেশি ছিল বা তাদের থেকে সমান সমান সব সময় তাদের থেকে কম ছিল। যখন রমিদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য একটা অনেক বড়ো মাঠে নামল তখন কুরাইশ দের সংখ্যা ৫ কোটি তিনাদের থেকে একশো গুনা বেসি কিন্তু এটা কোন বড় ব্যাপার ছিল না তিনারা নির্ভয়ে নিজের দুশমনদের থেকে সবসময় বিজয় করতেন।
মৃত্যু : ১৮ জিলহিজ্জ ৩৬ হিজরি ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ।