ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমন- ২০২২
রাশিয়া ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউত্রেুন আত্রুমন করে। এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক ভাবে আগ্রাসন হিসাবে বিবেচনা করে । এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকরের সূত্রপাত করে, ৮.৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউত্রেুনীয় দেশ ছেড়েছে,এই আত্রুমনটিকে চলমান রাশিয়া-ইউত্রেুনীয় যুদ্ধের একটি বড় বৃদ্ধি চিহ্নিত করে। রাশিয়া পরিবর্তী কালে ক্রিমিয়াকে অভিভুক্ত করে এবং রাশিয়া – সমর্থিত বিচ্ছিন্নতা বাদীরা ইউক্রেনের দক্ষিন- পূর্ব দোনবাস অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে। সেখানে যুদ্ধের সূত্রপাত করে। রাশিয়া স্বঘোশিত গনপ্রজাতন্ত্রী দোনেৎস্ক ও গনপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্ক ২০২২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি দেয়। দোনবাসের দুটি স্বঘোশিত রাষ্ট্র রাশিয়া বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পরের দিন রাশিয়া ফেডারেশন কাউন্সিল বিদেশ সামরিক শক্তি ব্যহার করার অনুমতি দেয় এবং পুতিন ২৮শে ফেব্রুয়ারি, সময় ৬ টার কিছুক্ষণ আগে ঘোষনা করেছিল তিনি একটি বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এবং পুতিন ভাষনে বলেন যে আমাদের ইউত্রেুনের ভুখন্ড দখল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। এবং তিনি ইউত্রেুনের আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার সমর্থন করেন । কার্যক্রমের উদ্দেশ্য দোনবাসে প্রধানত রুশবাসি অঞ্চলের জনগন কে রক্ষা করা এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে কিয়েভ, খারকিভ, ওডেসা ও দোনবাস অঞ্চলে আক্রমনের খবর পাওয়া গিয়েছিলো। পুতিন ইউক্রেনকে আক্রমন করার পরিকল্পনা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংন্থকে সর্তক করা হয়নি । যখন ইউক্রেনের উপর হামলা করার পরেই , ইউক্রেন জেলেনষ্কি সামরিক আইন চালু করার ঘোষনা করেছিলেন। এবং সন্ধ্যায়,তিনি ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের বয়সী সমস্ত ইউত্রেুনীয় পুরুষ একটি সাধারন সংহিত আদেশ দেওয়া হয়েছিল।২১ শে ফেব্রুয়ারী একটি বক্তৃায় রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী পুতিন ইউত্রেুনীয় রাষ্ট্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন যে ইউত্রেুন কখনই নিজের রাষ্ট্র ছিলনা। তিনি বলেন ইউত্রেুন রাশিয়ার তৈরি বলে বণর্ণা করেন। ইউত্রেুন রাষ্ট্রপতি জেলেনষ্কি ঘোষনা করেছিলেন যে ১৬ ফেব্রুয়ারী হল আত্রুমনের জন্য একটি অনুমোদিত তারিখ,এবং তিনি এমনই বলেন এইদিনটিকে ঐক্য দিবস বলে পালন করা হবে। ইউত্রেুনীয়রা বলে আমাদের জাতীয় পতাকা ঝুলিয়ে রাখতে,নীল ও হলুদ ফিতা লাগাতে এবং সারা বিশ্বের কাছে আমাদের ক্ষমতা দেখাতে হবে। এবং ১০:০০ টার সময় সর্বজননী স্থানে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। ইউত্রেুন এবং রাশিয়া যুদ্ধে ইউত্রেুনীয় মধ্যে ২৭৩৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এবং ইউএফ,এনজিইউ ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এর মধ্যে ২৮৭০ জন বাহিনী নিহত হয়েছিল,২৮ফেব্রুয়ারী থেকে ২মার্চ এর পর্যন্ত রাশিয়া সরকারের সূত্র। এবং ৩,০০০-৯০,০০০ নিহত হয়েছিল মার্ক মাকিন অনুমান সূত্র। এবং রাশিয়া সামরিক বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ইউত্রেুন ও রাশিয়ার পাশাপাশি ১২ রাষ্ট্রের অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালে ইউত্রেুন ও রাশিয়া যুদ্ধের কারনে অনেক মানবজাতির মৃত্যু হয়েছে। যেমন ইজরাইলের ৪ জনের মুত্যু হয়েছে ,ভারতের ১ জনের, বাংলাদেশের ১ জনের,এবং যুক্তরাষ্ট্রের ২ জনের এবং বেলারুশের ৩ জনের। শুত্রুবার ইস্তানবুলে চুক্তিপত্রে সই করার পরে ওডেসাতে এই ঘটনা। শস্যদানা রফতানির জন্য ওডেসার বন্দর খুব গুরুতপুর্ন,ইউত্রেুন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে অর্ধেক বিশ্ব ভূগছে। এবং ইউত্রেুনকে বলা হয় শস্যদানা। এবং ইউত্রেুনে সর্বপ্রথম বোম ফেলানো হয়েছিল,একটি এয়ার পোর্ট দ্বারা। এবং ইউত্রেুনে অনেক ক্ষতিগ্রাস্ত হয় এবং সেই যুদ্ধের কারণে ইউত্রেুনীয় তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দিয়েছে,এবং অন্য অন্য দেশ থেকে আসা ব্যক্তি সব আটকে পড়ে ইউত্রেুনের মধ্যে এবং সেখানে ভারতীয় অনেক ছাত্রছাত্রী আটকে পড়ে ইউত্রেুনে। এবং এখনো ইউত্রেুন ও রাশিয়া মধ্যে যুদ্ধ চলছে।