করোনা ভাইরাস: মানব প্রজাতির ইনভিজিবল এনিমি
কথিত আছে যে যারা বিজ্ঞানকে মহান বলে তারা এক রাত মশার সঙ্গে ঘুমায়নি। অনুরূপ, করোনা ভাইরাসের সমপক্ষে পুরো পৃথিবীকে প্রকৃতির সামনে এক মহত্ত শূন্য বোঝায়।
আজ চার মাস পেরিয়ে গেলো। তবুও মনে হচ্ছে চলমান পৃথিবী মানুষের স্থিতিশীলতায় এখন অচল।
সেই উহান শহর থেকে বেরিয়ে অতি দুর্ভেদ্য চিন প্রাচীর ভেদ করে আন্তর্জাতিক সীমা লংঘন করে প্রত্যেক দেশের শহরে শহরে করোনার প্রহার। কি আশ্চর্য! একেবারে অদৃশ্য শত্রু বা ইনভিজিবল এনিমি!
যাকে নিশ্চিহ্ন করার আবশ্যিক তাগিদে সারা বিশ্বের বিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা ব্যাস্ত, সহকর্মিরা জীবন মরণের রণক্ষেত্রে অবরহিত এবং জনসাধারণ তাদের সহযোগিতায় ঘরে আবদ্ধ। কি শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রক্রিয়া! তবুও সেই অদৃশ্য করোনা অনিয়ন্ত্রিত!
করোনার উৎপত্তি
করোনা ভাইরাস এখন মহামারী স্তরে পৌঁছে সারা পৃথিবীতে তাণ্ডব মাচাচ্ছে, তবুও এর উৎপত্তি সন্ধান দ্বিসিদ্ধান্তমুলক; প্রথমত প্রাকৃতিক এবং দ্বিতীয়ত কৃতিম।
কিছু আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান অনুসারে মহামারী কোভিড'19-এর উৎপত্তি হল ভাইরাস বাহক হরশু বাদুর। যেহেতু করোনা ভাইরাস এবং সাম্প্রতিক জন্তু বা পশু বাহিত ভাইরাস যেমন SARS এবং MERS একই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
অন্য মতানুযায়ী, করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হল চীনের উহান শহরে অবস্থিত উহান ইনস্টিটিউট অব ভিরোলজি (WIH)। যুক্তরাষ্টের ডিপ্লোম্যাসিতে এই সিদ্ধান্ত স্থান পায়। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।
করোনার বিশ্বব্যাপী প্রভাব
এই বিষয়ে বিস্তর লেখনী দরকার। তবুও সংক্ষেপে বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা চলে। সর্বপ্রথম আসে প্রাণনাশের কথা। মারক করোনা ভারাসের প্রকোপে প্রতিদিন চরম পরিমাণে মানুষ মারা যাচ্ছে। এখানে তার নির্দিষ্ট পরিমাণ অউল্লেখিত থাকল।
দ্বিতীয়ত আসে অর্থনৈতিক সংকট। বিভিন্ন দেশ করোনা দাপটে অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে। প্রায় সমস্ত দেশেরই জিডিপি নিম্নে নেমে আসছে।
করোনা ছুয়াচে হওয়াই এবং আজ পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাকসিন না পাওয়াই এর জ্ঞাত চিকিৎসা হল সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। ফলে দেশজুড়ে লোকডাউন জারি। যেহুতু এক বড়ো শতাংশ মানুষ ঘর ছাড়া কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত। তাই তারা এখন কর্মহীন। এক বিরাট সমস্যা। তাছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাও এক বড়ো অসুবিধা।
এ সমস্ত যাই কিছু হোক না কেনো, এটা একটা বড়ো ইঙ্গিত যে প্রকৃতির সামনে মানব সংসারের ক্ষমতা শূন্য।