মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মুসলিম শিক্ষা উন্নয়নে অবদান
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নামটি শুনলে যেন মনে পরে শিক্ষার এক ঢেউ যা ১৯৪৭ সালে শিক্ষার
বিশেষ দায়িত্ব পাওয়ার পর সারা ভারতকে শিক্ষার সমুদ্র তৈরির প্রতিশ্রুতি নেন। সে মুসলিম শিক্ষা
উন্নয়নার্থে নিজের সারা জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন।তিনি হিন্দু-মুসলিমকে ঐক্যের জন্য গান্ধীজির হাতে
হাত দেন।আর তিনার এই সিদ্ধান্ত মাইন করিয়ে দেয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের কবিতার পঙক্তিটি:
মোরা একই বৃন্তে দুটী কুসুম
হিন্দু-মুসলমান।
মুসলিম তার নয়ন-মণি,
হিন্দু তাহার প্রাণ।
শৈশব কাল :
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ১৮৮৮ সালের ১১ই নভেম্বর সৌদি আরবের মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন
যেটি তখন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। তাঁর আসল নাম ছিল সৈয়দ গুলাম মুহিউদ্দিন আহমেদ
বিন খায়েরুদ্দিন আল হুসায়নি, কিন্তু তিনি সময়ের আবর্তনে মওলানা আবুল কালাম আজাদ নামে পরিচিত
হন। আজাদের পিতা দিল্লীতে বসবাসকারী একজন আলেম ছিলেন যিনি তার মাতামহের সাথে থাকতেন,
কারণ তার পিতা অনেক কম বয়সে মারা যান। তার শৈশব কাটে কিছুটা অসহায়ত্বের মধ্যে। ১৮৫৭ সালের
সিপাহী বিদ্রোহের সময় আজাদের পিতা খায়েরউদ্দীন মক্কায় চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে
থাকেন। সেখানেই সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন। ১৮৮৮ সালের ১১ নভেম্বর
সেখানে আজাদের জন্ম হয়।তিনার জীবন বাংলার সাথেও অনেকটা সম্পর্কযুক্ত কারণ ১৮৯০ সালে তাঁর
পিতা সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন। পিতা কলকাতায় মৃত্যুবরণ করার পর থেকে আজাদের পরিবার
এখানেই স্থায়ী হয়।
শিক্ষার ময়দানে তিনি:
তিনার স্মরণার্থে প্রতি বছর ভারতবর্ষে ১১ই নভেম্বর তিনার জন্ম দিনকে ‘জাতীয় শিক্ষা দিবস’
হিসেবে পালিত হয়। মাওলানা প্রাক-স্বাধীন এবং পরবর্তী ভারতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একজন ছিলেন।
একজন বিশিষ্ট মুসলিম নেতা হিসেবে, তিনি সর্বদা হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য লড়াই করেছেন এবং
রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক উভয় ভিত্তিতেই ভারত ভাগের বিরোধিতা করেছেন। যদিও তার খুব বেশি
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না, তবে তিনি উর্দু, হিন্দি, আরবি এবং ফার্সি সহ বেশ কয়েকটি ভাষায় দক্ষতা
অর্জন করেছিলেন। তিনি গণিত, বিশ্ব ইতিহাস, দর্শন এবং বিজ্ঞান বিষয়েও তার পিতার দ্বারা নির্বাচিত
কিছু শিক্ষকের দ্বারা প্রশিক্ষিত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই, তিনি সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ
দেখিয়েছিলেন এবং আল-মিসবাহ নামে একটি সাপ্তাহিক সম্পাদনা করেন এবং লিসান-উস-সিদক নামে
একটি মাসিক পত্রিকাও শুরু করেন। তিনি গুরুতর ব্যক্তিগত অধ্যয়নের মাধ্যমে ইংরেজি শিখেছিলেন এবং
ইতিহাস, সমসাময়িক রাজনীতি এবং পাশ্চাত্য দর্শনে পারদর্শী হয়েছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় ইতিহাসে আজাদ ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক
বিজ্ঞানে তার শেখা ও প্রশিক্ষণ এবং তার দৃঢ় বুদ্ধি তাকে তার সমসাময়িকদের মধ্যেও বিশিষ্টতা
অর্জন করেছিল। তিনি সাংবাদিক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং অনেক বিষয়ে গভীর দৃষ্টি
দিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি বিষয় ছিল শিক্ষা। তিনি বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দেন, যা
তিনি শত শত বছর ধরে উপনিবেশিত ও শোষিত দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন।
মাওলানা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানসম্পন্ন একজন অত্যন্ত দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠেন। যদিও তিনি
এটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তিনি পুরানো এবং ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি
যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রবল সমর্থক ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়াগুলি
মানুষকে পুরানো এবং কুসংস্কার থেকে মুক্তি দেবে। আধুনিকতার প্রতি তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এই ধারণা থেকে
উদ্ভূত হয়েছিল যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং যৌক্তিকতা ভারতের মতো দেশে অনেক মন্দকে দূর করতে
সক্ষম হবে।
মাওলানা সাহেব ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তি প্রক্রিয়ার
প্রবল সমর্থক। দেশের বেশিরভাগ অংশে প্রচলিত গোঁড়ামির কারণে তিনি অনেক জটিল ত্রুটি দেখেছিলেন।
পণ্ডিতদের মধ্যে একটি মতামত রয়েছে যে মাওলানার ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার সাথে খুব বেশি কিছু করার
ছিল না এবং নেহেরুই তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে নেহেরু ও গান্ধীর পীড়াপীড়িতে আজাদ দায়িত্ব
গ্রহণ করেছিলেন। যাইহোক, তিনি একই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তারা
সচেতন ছিল যে মাওলানা শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য গভীরভাবে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার কাজে কিছু ভুল ও সীমাবদ্ধতা থাকলে নেহেরু সবসময় ইতিবাচকভাবে সেগুলির যত্ন
নিতে এগিয়ে আসতেন। যদিও মাওলানা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং গান্ধীর মতো পেশাদার শিক্ষাবিদ
ছিলেন না, তবুও শিক্ষার উপর তার প্রভাব ব্যাপক ছিল। সদ্য স্বাধীন ভারতে এমন একজন ব্যক্তির
প্রয়োজন ছিল যাঁর অগাধ দৃষ্টি ও চরিত্র ছিল এবং যিনি পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে বিচার করতে পারতেন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর,যখন তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন, যার মধ্যে বিজ্ঞান
ও সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত ছিল, তিনি এক দশক ধরে এই মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্ব করেন। মাওলানার কাছে
শিক্ষা মানেই ধর্ম ও মানবতাবাদ থেকে উদ্ভূত মানুষের সত্তা ও হয়ে ওঠার চেয়ে কম কিছু নয়। শিক্ষার
কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন:
আমাদের স্বপ্নের নতুন ভারত তৈরিতে শিক্ষা,বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতির একটি অনন্য ভূমিকা রয়েছে, এর
সমৃদ্ধ যৌগিক সংস্কৃতি,মূল্যবান বৈচিত্র্যের মধ্যে এর মূল্যবান ঐক্য, এর সামগ্রিক জাতীয়
অখণ্ডতা,সত্য,ন্যায় ও সহনশীলতার চিরন্তন মূল্যবোধ। এবং আমাদের জীবনের গুণমানকে সমৃদ্ধ করার
জন্য অগ্রগতির নতুন পথের আগ্রহের সাথে সাথে প্রাচ্য এবং পশ্চিমের সংস্কৃতিকে একটি নতুন এবং
সৃজনশীল সংমিশ্রণে সংশ্লেষণ করার অনন্য ক্ষমতা যা সর্বোত্তম অংশটিকে সংরক্ষণ করে। আসুন
আমরা সবাই মিলে নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতা,অলসতা ও দারিদ্র্য দূর করার জন্য কাজ করি, যাতে আমাদের
দেশ জাতিসমাজে একটি ন্যায়সঙ্গত স্থান নিতে পারে
আজাদ বুঝতে পেরেছিলেন যে শিক্ষার একটি জাতীয় কর্মসূচির জন্য প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার
প্রবর্তনের জন্য নাগরিকত্বের অধিকার ও কর্তব্য এবং জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণের ক্ষমতার উপর
জোর দেওয়া উচিত। স্বাধীন ভারতের নাগরিক এবং বিদেশী শাসনের ঔপনিবেশিক প্রজাদের মধ্যে
পার্থক্য থাকা উচিত। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি তার
প্রথম পদক্ষেপগুলির একটি হিসাবে সামাজিক শিক্ষার একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আজাদ জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকার ওপর জোর দেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশে
অনুপ্রাণিত করেন। 1951 সালের আগস্টে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়গপুরে
একটি উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেছিলেন:
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিলাম তার মধ্যে একটি হলো
আমাদের দেশে উচ্চ কারিগরি শিক্ষার সুযোগ-সুবিধাগুলোকে এতটা উন্নত করতে হবে যে আমরা নিজেরাই
আমাদের বেশিরভাগ চাহিদা পূরণ করতে পারব। আমাদের যে বিপুল সংখ্যক তরুণ উচ্চতর প্রশিক্ষণের
জন্য বিদেশে যাচ্ছেন তারা দেশেই এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেতে পারতেন। সত্যিই আমি সেই দিনের
অপেক্ষায় ছিলাম যেদিন ভারতে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা এমন হবে যে বিদেশ থেকে লোকেরা
উচ্চতর বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে আসবে।
সত্যি মাওলানা আবুল কালাম আজাদের কথা গুলো যেন ছিল এক মধুর যা আজ দুনিয়ার সব থেকে বড়ো
টেকনোলোজি কোম্পানির সিইও এই সেই আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র।
মাওলানা নারী শিক্ষার ওপর বিশেষ করে জোর দেন। ১৯৪৯ সালে কেন্দ্রীয় সমাবেশে তিনি বলেছিলেন,
জাতীয় শিক্ষার কোনও কর্মসূচিই উপযুক্ত হতে পারে না যদি এটি সমাজের অর্ধেক নারীর শিক্ষা ও
অগ্রগতির প্রতি পূর্ণ বিবেচনা না করে।" নারী শিক্ষার বিষয়ে আরও কথা বলতে গিয়ে আজাদ যুক্তি
দিয়েছিলেন যে এটি দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ: প্রথমত, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে নারীদের শিক্ষা
প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, তাদের শিক্ষা তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করার কাজকে সহজ করে তোলে।
শিক্ষার প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে মাওলানা একটি অনন্য অবদান রেখেছিলেন এবং দেশে শিক্ষাগত
সুবিধার দ্রুত, সর্বাত্মক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি এবং নীতিগুলি শুরু করার
প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি ভারতের মুসলিম ও বিভিন্ন সমাজের মধ্যবিত্ত ও গরিব
জনগণের শিক্ষা সহজ করতে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ডের সভায় তিনি
বলেছিলেন, জাতীয় সরকারের প্রথম এবং প্রধান কাজ হল সকলের জন্য বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক
মৌলিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা। মাওলানা সাহেব মনে করতেন দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত,
স্কুলগামী বয়সের সকল শিশুদের জন্য মৌলিক শিক্ষার একটি দেশব্যাপী ব্যবস্থা তৈরি করা। দ্বিতীয়ত,
কারিগরি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধরনের শিক্ষার সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা।
মুসলিম সমাজের উচ্চ শিক্ষার্থে তারা যেন অনায়াসে শিক্ষা লাভ করে তাই ১৯২৫ খ্রি: মাওলানা আবুল
কালাম আজাদ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গী হয়ে দিল্লীতে জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া কেন্দ্রীয়
বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে নিযুক্ত করেন।
১৯৪৭ সালের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগদানের পর, মাওলানা সাহেব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও
সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য তার উত্তরাধিকার রেখে যান। তিনি ১৯৪৮ সালে
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন এবং ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন নিযুক্ত করেন। তিনি কারিগরি
শিক্ষার জন্য অল-ইন্ডিয়া কাউন্সিলকে স্বীকৃতি দেন, ১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশন এবং
দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স প্রতিষ্ঠা করেন। ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক
সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি উন্নত
প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা পরিচালনার জন্য, একটি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত
হয়। মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য, একটি সর্বভারতীয় মাধ্যমিক শিক্ষা
পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। একটি কেন্দ্রীয় পাঠ্যপুস্তক গবেষণা ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয়। গবেষণা ও
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রচারের জন্য, একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক নির্দেশনা ব্যুরো
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গ্রামীণ উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি জাতীয় কাউন্সিল ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিল। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উন্নতির জন্য, সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে লাইব্রেরি সেবা সম্প্রসারিত হয়েছে।
দেশের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হল শিক্ষাগত বিনিয়োগ ও সুযোগের ক্ষেত্রে নগর-গ্রামীণ
বিভাজন দূর করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে, মেয়েদের শিক্ষার সুবিধা সম্পর্কে সম্প্রদায় ও পরিবারকে
শিক্ষিত করে এবং মেয়েদের স্কুলে ভর্তি ও ধরে রাখার জন্য প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষায়
লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করাও প্রয়োজন। স্বাধীন ভারতের প্রথম
শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে মৌলানা আজাদ যা শুরু করেছিলেন তা অর্জনের জন্য ভারতের যা প্রয়োজন তা হল
একটি জাতীয় প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
আজাদ স্মৃতিসৌধ:
সরকার এমএএম পিজি কলেজ, জম্মু
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ
মাওলানা আবুল কালাম হায়দ্রাবাদ সুজলা সারাবন্তী প্রকল্প
মৌলানা আজাদ কলেজ
মৌলানা আজাদ কলা ও বিজ্ঞান কলেজ
মৌলানা আজাদ কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
মৌলানা আজাদ শিক্ষা ফাউন্ডেশন
মৌলানা আজাদ লাইব্রেরী
মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ
মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি
মৌলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়
মৌলানা আজাদ স্টেডিয়াম
মৌলানা আব্দুল কালাম আজাদ বৃত্তি