ভালোবাসা সকলের জন্য, ঘৃণা কাউকে নয়: হজরত খাজা নিযামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)-এর কালজয়ী বার্তা

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অনেক মহান সুফি আছেন, যারা তাদের পবিত্র জীবন, সুন্দর চরিত্র এবং ভালোবাসায় ভরা শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা এবং সহনশীলতার আলো জ্বালিয়েছেন। এই মহান সুফি আউলিয়াদের মধ্যে একজন বিশেষ নাম হল হজরত খাজা নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ.যাদের সবাই মহবুবে ইলাহী নামে চেনে।তিনি শুধুমাত্র চিশতিয়া সিলসিলার নেতা ছিলেন না, বরং ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষার,আধ্যাত্মিক চিন্তার,মানবতার সেবার এবং ভালোবাসার উজ্জ্বল এক দীপ।আজও তার জীবন মানুষের হৃদয়ে আলোকসজ্জা হিসেবে বিরাজমান।

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এমন বহু সুফি সাধক এসেছেন, যারা তাঁদের পবিত্র জীবন, সুন্দর চরিত্র এবং ভালোবাসায় ভরা শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা আর সহনশীলতার প্রদীপ জ্বেলেছেন। এই মহান সুফি আউলিয়াদের মধ্যে অন্যতম হলেন হজরত খাজা নিযামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.), যিনি 'মহবুবে ইলাহী' নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি কেবল চিশতিয়া সিলসিলার একজন প্রধান নেতা ছিলেন না, বরং ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা, আধ্যাত্মিক চিন্তা, মানবসেবা এবং ভালোবাসার এক উজ্জ্বল মূর্ত প্রতীক। তাঁর জীবন আজও অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে বিরাজমান, যা অগণিত মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেখাচ্ছে।

শৈশব ও পারিবারিক পটভূমি:
হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ.-এর আসল নাম ছিল মুহাম্মদ বিন আহমদ বিন আলী বদায়ুনি। তিনি 1238 খ্রিষ্টাব্দে (635 হিজরী) ভারতীয় উপমহাদেশের বদায়ু-তে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার জ্ঞান এবং ধর্মের প্রতি গভীর বিশ্বাসী ও মর্যাদাশীল ছিল।
তার পিতা, হজরত সৈয়দ আবদুল্লাহ বিন আহমদ হুসাইনী বদায়ুনি, ছিলেন খুব ধনী মন, জ্ঞানপ্রিয় এবং আল্লাহভীরু। তার মাতা, বিবি জলিখা, ছিলেন ইবাদতপ্রিয়, ধৈর্যশীল এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট। তিনি হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ.-এর স্নেহপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক রঙে সম্পূর্ণভাবে লালন পালন করেছেন।শৈশব থেকেই তিনি ইবাদত, বিনয়, নম্রতা এবং মানবসেবার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তার মা ধৈর্য ধরে তাকে লালন করেছেন এবং জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছেন।

শিক্ষা ও লালন-পালন:

তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা বদায়ুতে গ্রহণ করেছিলেন। কোরআন, হাদিস, ফিকাহ এবং তাফসীরের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তি ও দর্শনও শিখেছেন। পরে তিনি দিল্লিতে আসেন, যা তখন জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র ছিল। সেখানে তার সাক্ষাৎ হয় হজরত বাবা ফ্রীদুদ্দিন গঞ্জ শকর রহ.-এর সঙ্গে। তিনি তাদের হাতে বায়ত নেন এবং চিশতিয়া সিলসিলায় যুক্ত হন। এই মুহূর্তটি তার আধ্যাত্মিক জীবন পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, যা তাকে পৃথিবীর সুখ-সুখ থেকে দূরে আধ্যাত্মিকতার পথে নিয়ে যায়।শিক্ষালাভ ও আধ্যাত্মিক দীক্ষা:

তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা বদায়ুতে সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকাহ এবং তাফসীরের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। এর পাশাপাশি তিনি যুক্তি ও দর্শনেও পারদর্শী হয়ে ওঠেন, যা তাকে একটি সুসংহত বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি প্রদান করে। পরবর্তীতে তিনি তৎকালীন জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র দিল্লিতে আগমন করেন।

দিল্লিতে থাকাকালীন তার সাক্ষাৎ হয় প্রখ্যাত সুফি সাধক হজরত বাবা ফরীদুদ্দিন গঞ্জ শকর রহমাতুল্লাহি আলাইহির সঙ্গে। এই সাক্ষাৎ তার জীবনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসে। তিনি বাবা ফরীদুদ্দিন গঞ্জ শকর রহ.-এর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং চিশতিয়া সিলসিলায় যুক্ত হন। এই মুহূর্তটি তার আধ্যাত্মিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। এর ফলে তিনি পার্থিব সুখ ও ভোগ-বিলাস থেকে মুখ ফিরিয়ে সম্পূর্ণভাবে আধ্যাত্মিকতার পথে ধাবিত হন, যা তাকে গভীর আত্মিক প্রশান্তি ও খোদার সান্নিধ্যের দিকে পরিচালিত করে। চিশতিয়া তরিকার অনুসারী হিসেবে তিনি কঠোর আত্মসংযম, জিকির এবং মানবসেবায় নিবেদিত হন।

চিশতিয়া সিলসিলা এবং আধ্যাত্মিক মর্যাদা : 

চিশতিয়া সিলসিলার সূচনা হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি আসমেরি রহ.-এর মাধ্যমে হয়। পরে এটি হজরত কুতবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি, হজরত বাবা ফ্রীদ, এবং সর্বশেষে হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ.-এর মাধ্যমে প্রসারিত হয়। চিশতিয়া সিলসিলার বিশেষত্ব হলো এখানে ভালোবাসা, মানবসেবা, সরলতা এবং সেবাকর্মকে ভিত্তি হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এই সিলসিলার বড়রা সাধারণত শাসক ও ক্ষমতাশালীদের কাছ থেকে দূরে থাকতেন যেন তাদের খানকাহ পৃথিবীর লোভ থেকে মুক্ত থাকে। হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ. এই প্রথা বজায় রেখেছেন।চিশতিয়া সিলসিলা এবং আধ্যাত্মিক মর্যাদা :

চিশতিয়া সিলসিলা (Chishtiyya Order) হলো সুফিবাদের অন্যতম প্রধান একটি ধারা, যা বিশ্বে আধ্যাত্মিকতা ও মানবপ্রেমের শিক্ষা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মূল ভিত্তি হলো আল্লাহ্‌র প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা, মানবসেবা, সরল জীবনযাপন এবং আত্মিক পবিত্রতা অর্জন। এই সিলসিলার অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে, স্রষ্টাকে পাওয়ার পথ হলো সৃষ্টির সেবা করা এবং নিজ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা।

এই সিলসিলার সূচনা হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি আজমেরি রহ.-এর মাধ্যমে হয়। তিনি দ্বাদশ শতাব্দীতে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে আসেন এবং আজমিরে তার খানকাহ (আধ্যাত্মিক কেন্দ্র) স্থাপন করেন। তার আগমনের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে সুফিবাদ এক নতুন মাত্রা লাভ করে। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞা, উদারতা এবং অগণিত মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি ‘সুলতানুল হিন্দ’ বা ভারতের আধ্যাত্মিক রাজা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এই সিলসিলা পরবর্তীকালে তার যোগ্য উত্তরসূরিদের দ্বারা আরও বিস্তৃত হয়।

তার প্রধান খলিফাদের মধ্যে রয়েছেন:

  1. হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.): তিনি দিল্লির কুতুব মিনারের কাছে তার আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন এবং তার নামে কুতুব মিনার নির্মিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। তিনি ছিলেন ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক এবং তার উদারতা ছিল অতুলনীয়।
  2. হজরত বাবা ফরীদউদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.): তিনি পাঞ্জাবের পাকপাট্টনে তার খানকাহ স্থাপন করেন এবং তার মাধ্যমে চিশতিয়া সিলসিলা আরও গভীরতা লাভ করে। তার কবিতা ও বাণী শিখ ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবেও স্থান পেয়েছে, যা তার সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।
  3. হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.): তিনি দিল্লির অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার জীবদ্দশায় তিনি এত বেশি মানুষকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান দান করেছেন যে তাকে ‘মাহবুব-ই-ইলাহি’ বা আল্লাহর প্রিয়পাত্র বলা হতো। তার খানকাহ ছিল সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের জন্য উন্মুক্ত।

চিশতিয়া সিলসিলার বিশেষত্ব হলো এখানে ভালোবাসা, মানবসেবা, সরলতা এবং সেবাকর্মকে ভিত্তি হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এই সিলসিলার বড়রা সাধারণত শাসক ও ক্ষমতাশালীদের কাছ থেকে দূরে থাকতেন যেন তাদের খানকাহ পৃথিবীর লোভ থেকে মুক্ত থাকে। তারা মনে করতেন, ক্ষমতা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে আধ্যাত্মিক লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ. এই প্রথা বজায় রেখেছেন। তিনি কখনো কোনো শাসকের দরবারে যাননি এবং জনগণের সেবাকেই প্রধান কর্তব্য মনে করতেন।

এই সিলসিলার অনুসারীরা আধ্যাত্মিক সঙ্গীত (কাওয়ালি), জিকির (আল্লাহর নাম স্মরণ) এবং মোরাকাবা (ধ্যান) এর মাধ্যমে আত্মিক উন্নতি সাধন করেন। চিশতিয়া সিলসিলা শুধু একটি ধর্মীয় ধারা নয়, এটি একটি জীবনবিধান যা শান্তি, প্রেম এবং সহাবস্থানের বার্তা বহন করে। আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই সিলসিলার খানকাহগুলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করছে।

হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার শিক্ষাসমূহ: 

    1. ভালোবাসা ও সহনশীলতা: আপনার প্রধান শিক্ষা ছিল ভালোবাসা। আপনি বলেছেন যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি হলো যে তার সৃষ্টি করা মানুষদের ভালোবাসে। আপনি কখনো কাউকে ধর্ম, জাত বা রঙের কারণে ছোট মনে করতেন না। আপনার খানকাহতে হিন্দু-মুসলিম, ধনী-গরীব সকলেই সমান ছিলেন। এই শিক্ষার ছোঁয়া পরে হজরত আমীর খুস্রুর রচনায়ও প্রতিফলিত হয়।

  • সেবা ও মানবকল্যাণ: আপনি বলেছেন যে আল্লাহর কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ পথ হলো তার সৃষ্টির সেবা করা। আপনি গরীব, অনাথ ও দরিদ্রদের সাহায্যকে ইবাদত মনে করতেন। আপনার খানকাহতে প্রতিদিন শত শত মানুষকে খাবার দেওয়া হতো। আপনি বলতেন: “যদি আমার কাছে দুই রুটি থাকে, একটিতে আমি খাব, আরেকটি একজন ক্ষুধার্তকে দেব।” এই মানবসেবার মনোভাব চিশতিয়া সিলসিলার পরিচিতি হয়ে ওঠে।
  • পৃথিবীর সৌন্দর্য ও লোভ থেকে দূরে থাকা: আপনি সর্বদা ধন, সম্পদ এবং খ্যাতি থেকে দূরে ছিলেন। যখন সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি আপনাকে দরবারে ডাকে, আপনি বলেছেন: “একটি হৃদয়ে দুই দরজা থাকতে পারে না — যদি হৃদয়ে আল্লাহর দরজা থাকে, পৃথিবীর দরজার জন্য জায়গা নেই।”
  • ভরসা ও ধৈর্য: আপনি সর্বদা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং ধৈর্যের শিক্ষা দিতেন। আপনি বলতেন যে যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে, সে কখনো বঞ্চিত হয় না। যারা খানকাহতে সাহায্য চাইতে আসতো, আপনি তাদের ধৈর্য, দোয়া এবং বিশ্বাসের পরামর্শ দিতেন।
  • জ্ঞান ও আলোকিত হৃদয়: আপনি বলেছেন: “সেরা জ্ঞান হলো যে হৃদয়কে আলোকিত করে, অহংকার সৃষ্টি করে না।” আপনার মতে, জ্ঞান অর্জনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কেবল তথ্য জানা নয়, বরং চরিত্র গঠন ও হৃদয় পবিত্র করা।
  • নম্রতা ও বিনয়: আপনি সর্বদা নম্রতা প্রদর্শন করতেন। আপনি বলেছেন: “যার হৃদয়ে অহংকার আছে, সে আল্লাহর আলো পেতে পারে না।” তাই আপনার খানকাহ সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিল। 
  • ইবাদত ও দুরুদ: আপনার রাতগুলো ইবাদত, দোয়া এবং আল্লাহর নাম স্মরণে কেটে যেত। হজরত আমীর খুসরু লিখেছেন যে আপনি প্রায়ই রাতভর জাগতেন এবং ভোরের আগে কোরআন তিলাওয়াত করতেন।
  • সামাজিক সেবা:  আপনি সেই সময়ে ভালোবাসা, শান্তি এবং সমতার বার্তা ছড়িয়েছেন, যখন সমাজ জাতি ও ধর্মের ভেদে বিভক্ত ছিল। আপনার খানকাহতে প্রতিটি মানুষকে সম্মান দেওয়া হতো, ধর্ম বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে। আপনি বলেছেন: “মানুষের পরিচয় তার চরিত্র দিয়ে নির্ধারিত হয়, ধর্ম দিয়ে নয়।” এই শিক্ষাগুলো পরে ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে যায়।

রাজনৈতিক শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক: 

আপনি রাজাদের দরবারে না গেলেও, রাজারা আপনার প্রতি সম্মান দেখাতেন। সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি, কুতুবুদ্দিন মুবারক শাহ এবং গিয়াসউদ্দিন তুঘলক সবাই আপনার আধ্যাত্মিক মর্যাদা স্বীকার করতেন। আপনি বলেছেন, “ফকির রাজা থেকে উপরে থাকে, কারণ সে মানুষের হৃদয় শাসন করে।”

খানকাহর সামাজিক ব্যবস্থা: 

আপনার খানকাহ কেবল ইবাদতের স্থান ছিল না, এটি একটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্র ছিল।

এখানে লঙ্গর চলে, জ্ঞান শেখানো হতো, গরীবদের কাপড় দেওয়া হতো এবং অসুস্থদের চিকিৎসা করা হতো।

এটি প্রকৃতপক্ষে ভালোবাসা, সেবা, চরিত্র শিক্ষা এবং আল্লাহর নিকটতার একটি কার্যকরী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।

স্বাস্থ্য ও মাজার: 

হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়া রহ. ৩ এপ্রিল ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে (১৮ রবিউল আখির ৭২৫ হিজরী) ইহালোক ত্যাগ করেন। আপনার মাজার দিল্লিতে অবস্থিত, যা আজও প্রতিটি ধর্মের মানুষের জন্য বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র। মাজারটি কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি একটি জীবন্ত আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য, যা প্রতিটি যুগে ভালোবাসা, মানবতা এবং শান্তির বার্তা দেয়। হজরত নিযামুদ্দিন আউলিয়ার রহ.-এর শিক্ষাগুলো আমাদের শেখায় যে যদি আমরা আজকের হিংসা ও বিভাজনপূর্ণ সময়ে তার জীবন অনুসরণ করি, আমাদের সমাজ আবার ভালোবাসা, শান্তি এবং সমৃদ্ধির কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। আপনার জীবন মানবতা, ভালোবাসা এবং সেবার উজ্জ্বল উদাহরণ।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter