ইসলাম যখন সীমানা অতিক্রম করে: উরুগুয়ের চুইতে ইসলামী ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি
ভূমিকা
সীমান্ত মানেই কি শুধু একপাশে কাঁটাতার, অন্যপাশে কাগজ-পত্রের হিসাব? নাকি এর বাইরেও কিছু থাকে মন, বিশ্বাস আর সংস্কৃতির নিঃশব্দ হাহাকার? ব্রাজিল-উরুগুয়ে সীমান্তের ঠিক মাঝখানে ছোট্ট শহর চুই, সেখানেই দেখা মেলে এমন এক ইসলামি গল্পের, যা শব্দে নয় জীবনে বাজে।
চুই শহরে ইসলাম যেন আছে নিঃশব্দে, কিন্তু দারুণ গেঁথে গেছে মাটির গভীরে। কেউ বুঝুক আর না বুঝুক এই শহরের গন্ধে, ভাষায়, দোকানে, মুখে মুখে ইসলাম টের পাওয়া যায়। যারা ভাবে, মুসলমান মানেই সংখ্যায় অনেক, তাদের জন্য চুই এক শক্ত জবাব। এই শহরে মাত্র কয়েকশো মুসলমান, কিন্তু তারা আপন ধর্ম-সংস্কৃতি বুকে আগলে রেখেছে যত্নে, শ্রদ্ধায়, সাহসে।
এই শহরের রোজকার সকাল-সন্ধ্যায় যখন আজান ভেসে আসে, মনে হয় সীমান্ত কোনো বাধা না, বরং একটা সেতু। মুসলমানেরা এখানকার মাটি, মানুষ আর সমাজের সাথে এমনভাবে মিশে গেছে, যেন তারা যুগ যুগ ধরেই এখানকার বাসিন্দা।
এই লেখাটায় আমরা খুঁজে দেখব চুই শহরের এই মুসলমান সম্প্রদায় কিভাবে গড়ে তুলেছে তাদের ছোট্ট কিন্তু দৃঢ় ইসলামি জগৎ, কিভাবে টিকিয়ে রেখেছে নিজেদের পরিচয়, আর কিভাবে ইসলাম এখানকার মাটি আর মন ছুঁয়ে ফেলেছে আপন ছায়ার মতো।
চুই শহর: একটা সীমানা, এক বিশ্বাসের সেতু
চুই শহরটা এক আজব জায়গা। কাঁটাতারে কাটা, কিন্তু মন দিয়ে জোড়া লাগানো। উরুগুয়ের রোচা বিভাগের এই শহরের অর্ধেক ব্রাজিলের ভেতর, আর অর্ধেক উরুগুয়ের। যেন এক পায়ে পর্তুগিজ ভাষা আর ক্যাথলিক চার্চ, আর অন্য পায়ে স্প্যানিশ সংস্কৃতি আর স্বাধীন চিন্তা। কিন্তু মাঝখানে? মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ইসলাম, একেবারে চুপচাপ, কিন্তু দৃঢ়ভাবে।
চুইতে যে মুসলিম পরিবারগুলা আছে, তারা বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফিলিস্তিনি আর লেবানিজ বংশের। অনেক আগেই তারা এদেশে থিতু হয়েছে। এখন আর তারা কেবল "বিদেশি" না, বরং এই মাটিরই এক মজবুত শিকড়। ব্যবসা-বাণিজ্যে মুসলমানদের দখল চোখে পড়ার মতো চুইর সীমান্ত বাজারে মুসলিম চালিত দোকান, কাপড়ের ব্যবসা আর ছোট রেস্টুরেন্টগুলো এখানকার জীবনের অঙ্গ হয়ে গেছে।
এই শহরের মুসলমানেরা নামাজ-রোজা যেমন ঠিক রাখে, তেমনি পাশের খ্রিস্টান প্রতিবেশীর খোঁজখবর রাখতেও ভুল করে না। ধর্মে তারা যেমন অটল, মানুষে তেমনি উদার।
চুই শহরটা আসলে একটা ভৌগোলিক স্থান না, এটা একটা জীবন্ত উদাহরণ কীভাবে দুই দেশের ভিন্নতা মিলে যায় এক ধর্মীয়, সামাজিক মিলনে। সীমান্ত টেনে মানুষের মন বিভক্ত করা যায় না চুই তার প্রমাণ। এখানে ইসলাম একটা ধর্ম না, বরং একটা চরিত্র, যেটা ঘর-বাড়ি, বাজার-হাট, মন আর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে আপন নিয়মে।
নিঃশব্দে গড়া ইসলামি সংস্কৃতি
চুই আর রিভেরা এই দুই সীমান্তবর্তী শহরে ইসলামি সংস্কৃতি এমনভাবে গড়ে উঠেছে, যেমনটা গাছের শেকড় গোপনে ছড়িয়ে পড়ে মাটির গভীরে, কিন্তু একদিন ঠিকই ফল-ফুল হয়ে তা দেখা দেয়। এখানে ইসলামের চিৎকার নেই, আছে চুপচাপ, শান্ত কিন্তু স্থায়ী এক উপস্থিতি।
এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে তিনটি বড় ইসলামিক কেন্দ্র মুসাল্লাহ আল হাজিমি, মিশরীয় সাংস্কৃতিক ইসলামিক কেন্দ্র, আর ইসলামিক সেন্টার উরুগুয়ে। এগুলা কেবল নামাজের জায়গা না এগুলো হলো একটা গোটা সম্প্রদায়ের হৃদয়। এখানে শিশুদের কুরআন শিক্ষা হয়, ঈদের নামাজ হয়, রমজানে ইফতার হয়, আর দরিদ্রদের সাহায্য করা হয় মিলে-মিশে।
চুই শহরে শুক্রবারের জুমার নামাজে শুধু উরুগুয়ের মুসলিম না, ব্রাজিলের পাশের শহর থেকেও মুসলিমরা আসেন। কেউ পর্তুগিজ বোঝে, কেউ স্প্যানিশ কিন্তু ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণে সবাই একত্র হয়ে যায়। এইটাই তো ইসলামের আসল শক্তি ভাষা না, মনই আসল।
ঈদ আসে, কোরবানি হয় হালাল মাংসের ছোট দোকানগুলো তৎপর থাকে। মহিলারা ঘরে ঘরে ইসলামিক পোশাক সেলাই করে। কেউ কেউ মাদ্রাসা চালায় নিজের ঘরের এককোণে। সংখ্যায় তারা অল্প, কিন্তু আত্মিক শক্তিতে তারা অনেক।
এখানকার মুসলিমরা আসল ইসলাম ধরে রেখেছে যেখানে হিংসা নেই, অহংকার নেই, আছে শান্তি, সহানুভূতি আর ভালোবাসা। কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেয় না, বরং নিজের চরিত্র দিয়ে ইসলামকে তুলে ধরে। আর এই শান্ত চরিত্রই আসলে ইসলামের সবচেয়ে বড় দাওয়াত।
ইসলাম ও স্থানীয় সংস্কৃতির সহাবস্থান
চুই শহরের মুসলমানরা নিজের ধর্মটা পালন তো করেই, কিন্তু তার বাইরেও তারা দেখিয়ে দিচ্ছে ধর্ম মানেই আলাদা হয়ে থাকা না, বরং একসাথে থেকেও আপন সত্তা ধরে রাখা যায়। এখানকার মুসলমানরা বাজারে হাসিমুখে সম্ভাষণ দেয়, উৎসবে প্রতিবেশীদের সাহায্য করে, এমনকি দোকানে খ্রিস্টান ক্রেতার জন্য ছাড় পর্যন্ত রাখে। আবার কারও বাড়িতে অসুখ হলে মুসলিম পরিবার খাবার রেঁধে পাঠায় না দেখে কে মুসলিম, কে না।
অনেক মুসলিম নারী-পুরুষ স্থানীয় পর্তুগিজ আর স্প্যানিশ ভাষা রপ্ত করেছে, যেন সমাজে একীভূত হতে পারে। তবু তারা হিজাব ছাড়ে না, নামাজ ফেলে না, ইসলামের নিয়ম ভাঙে না। এটাই হলো ইসলামি ভারসাম্য জীবনের সঙ্গে তাল মেলানো, আবার নিজের ভিত না হারানো।
চুই শহরে ইসলাম কোনো কড়াকড়ির চেহারায় আসে না। বরং এটা একরকম শান্ত বাতাসের মতো যেটা চারপাশে মিশে থাকে, কিন্তু অনুভব করতে হয় হৃদয়ে। ইসলাম এখানে কেউ ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়নি, বরং ভালোবাসা দিয়ে, আচরণ দিয়ে, সেবা দিয়ে স্থানীয় সমাজে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
এই সহাবস্থান প্রমাণ করে ইসলাম কোনো দেয়াল না, বরং এক সেতু। এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মের দিকে নয়, বরং এক হৃদয় থেকে আরেক হৃদয়ে পৌঁছানোর সেতু। এখানেই ইসলাম তার আসল রূপে জয়ী হয়
ফিলিস্তিনি ও আরব অভিবাসীদের নিঃশব্দ কৃতিত্ব
চুই শহরে আজ যে ইসলামি বাতাস বইছে, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে একদল পরিশ্রমী, সংগ্রামী মানুষ ফিলিস্তিনি আর লেবানিজ অভিবাসীরা। ১৯৫০-৬০ সালের দিকে যখন আরব বিশ্বে যুদ্ধ-বিভ্রাট আর দুঃসহ পরিস্থিতি চলছিল, তখন পরিবার-পরিজন নিয়ে এই মানুষগুলো পাড়ি জমায় দূরবর্তী দেশ উরুগুয়ে আর পাশের ব্রাজিলে।
আজ চুই শহরে প্রায় ৫,০০০ মতো ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মানুষ থাকে। অনেকে মুসলমান, কেউ কেউ খ্রিস্টান, কিন্তু তাদের মধ্যে একটা ব্যাপার একদম মিলছে সবাই আরব, সবাই একই ভাষা, একই শিকড় থেকে উঠে আসা।
এই ফিলিস্তিনি মুসলমানরাই প্রথম এই সীমান্ত অঞ্চলে ইসলামি চর্চার পাথর গেঁথে দিয়েছিল। তারাই বানায় প্রথম মসজিদ, গড়ে তোলে ইসলামিক সংগঠন, আর শুরু করে কুরআন শিক্ষা, ইফতার বিতরণ, সমাজসেবার মতো উদ্যোগ।
এদের কেউ এখন দোকান চালায়, কেউ স্কুলে পড়ায়, আবার কেউ রাজনীতির মাঠে দাঁড়িয়ে নিজের ধর্মীয় পরিচয় বজায় রেখে কাজ করছে। অনেকেই আরবি সাহিত্য, সংগীত আর সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে না যায় নিজের শেকড়।
তারা শুধু নিজেদের ধর্ম বাঁচিয়ে রাখেনি, বরং আশেপাশের মানুষদের মধ্যেও ইসলামের প্রতি একটা সম্মান আর কৌতূহল তৈরি করেছে। অনেকে আগে যেভাবে ইসলামকে দেখত ভয়ে, ভুল বুঝে তা এখন আর নেই। এই অভিবাসীরা বুঝিয়ে দিয়েছে, ইসলাম মানেই যুদ্ধ নয়, ইসলাম মানে ভালোবাসা, আন্তরিকতা আর সহানুভূতি।
তাদের জীবনের এই নীরব লড়াইটাই আজকের চুই শহরের এক উজ্জ্বল পরিচয়। আর এই ইসলামি ভিত্তিই হয়তো আগামী দিনের নতুন আলো।
মুসলিম নারীদের দৃশ্যমানতা ও অবদান
চুই শহরের ইসলামি সংস্কৃতির নিঃশব্দ সুরে যে ক’জন নারী বাজিয়ে চলেছেন স্থায়ী সুর, তাদের অবদান অনেক সময় চোখে পড়ে না কিন্তু সমাজের ভিত তাদের হাতেই গাঁথা। এই সীমান্ত অঞ্চলে মুসলিম নারীরা শুধু ঘরের চার দেয়ালের ভেতর সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা ঘরকে করেছে আলোকিত, আর বাইরের সমাজে হয়েছে নিরব কিন্তু দৃঢ় প্রতিনিধি।
তারা হিজাব পরে বাজারে যান, দোকানে কাজ করেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান, আবার বিকেলে ছোট্ট ঘরে বসে কুরআন শিক্ষা দেন। কারও বাসায় সেলাইয়ের কাজ চলে, কেউ ঘরোয়া মাদ্রাসা চালান, কেউ ইফতার বানিয়ে প্রতিবেশীদের পাঠান খ্রিস্টান হোক আর অধার্মিক, সবকেই আপন করে নেন।
অনেক নারীরাই এখন ছোটখাটো ব্যবসা চালাচ্ছেন হালাল খাবারের দোকান, ইসলামিক গয়নার ব্যবসা, আরবিক ক্যালিগ্রাফির হস্তশিল্প। এই সবকিছু তারা করছে নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় ধরে রেখে, গর্ব নিয়ে। পশ্চিমা দুনিয়ার যে চোখে হিজাব মানে বন্দিত্ব, সেই চোখের সামনে চুই শহরের নারীরা দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে এই হিজাবই তাদের শক্তি, সম্মান, আর আত্মবিশ্বাস।
তারা পরিবারের ভেতরে যেমন সন্তানের প্রথম শিক্ষক, বাইরের সমাজে তেমনি ইসলামের নম্র দূত। তাদের সৌজন্য, গাম্ভীর্য আর আচার-আচরণ স্থানীয়দের মন ছুঁয়ে যায়। চুই শহরের মুসলিম নারীরা দেখিয়ে দিয়েছে নারীকে পেছনে রেখে কোনো সংস্কৃতি টিকে থাকতে পারে না। তারাই এই সংস্কৃতির কণ্ঠস্বর, যা কোনো মাইক ছাড়াই সমাজে জোরালোভাবে শোনা যায়।
ইসলাম ও স্থানীয় সংস্কৃতির সহাবস্থান
চুই শহরটা যেন এক আজব মিলনমেলা এখানে স্প্যানিশ ভাষা আর পর্তুগিজ গান একসাথে বাজে, ক্যাথলিক চার্চের ঘণ্টা আর মসজিদের আজান পাশাপাশি শোনা যায়। এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে মুসলমানরা গড়ে তুলেছে এমন এক সংস্কৃতি, যেটা না পুরো আরব, না পুরো লাতিন বরং এক নতুন জিনিস, যার শিরায় ইসলামের শিক্ষা আর হৃদয়ে স্থানীয় সমাজের ছায়া।
এখানকার মুসলিমরা ধর্মীয় আচারে যতটা কঠোর, মানুষের সাথে মিশতে ততটাই সহজ। তারা প্রতিবেশীর বিয়েতে যায়, ক্যাথলিক উৎসবে শুভেচ্ছা জানায়, আবার নিজের ঈদেও পাশের বাসার মানুষকে দাওয়াত দিতে ভোলে না। রমজানের সময় হালকা করে বাতাসে ভেসে আসে বিরিয়ানির গন্ধ, আর কার্নিভালের সময় মুসলিম দোকানিরাও দোকানে লাল-নীল বাতি টানান এইটা কোনো ছাড় নয়, বরং সহানুভূতির রঙ।
স্থানীয় খ্রিস্টান, ইহুদি এমনকি অবিশ্বাসীরাও জানে মুসলমান মানে কড়া মন না, বরং খো
লা হৃদয়। ধর্মের ভেতর তারা থাকে, কিন্তু দেয়াল তোলে না। ইসলামী দোকানে কেউ দামাদামি করলে মালিক হেসে বলে, “আসেন ভাই, আল্লাহর দান কমু।”
এই শহরে ইসলাম কোনো শাসকের হাতে আসেনি, কোনো মঞ্চে গর্জে ওঠেনি এটা এসেছে রান্নার হাঁড়ির পাশে, হালাল মাংসের দোকানে, শিশুদের উচ্চারণে কুরআনের সুরে। এখানকার মুসলমানরা একবারে বুঝে গেছে সংস্কৃতির সঙ্গে যুদ্ধ না করে, যদি সহানুভূতির ছায়ায় চলা যায়, তাহলেই ইসলাম টিকে যায়, না বরং বেড়ে ওঠে।
উপসংহার: নিঃশব্দে চলা এক দীপ্ত ধর্মযাত্রা
ব্রাজিল-উরুগুয়ে সীমান্তের ছোট্ট শহর চুইতে ইসলামের যে নিঃশব্দ চলন, সেটা কোনো প্রচার নয়, কোনো রাষ্ট্রীয় ঘোষণা নয় এটা এক বিশ্বাসের মাটির সাথে গড়ে ওঠা জীবন্ত শেকড়। ওখানে মুসলমানরা সংখ্যায় খুব কম, কিন্তু শক্তিতে দুর্দান্ত। কারণ ওরা জানে, ইসলাম শুধু আজান, রোজা, কুরআনের আয়াত না ইসলাম হলো মনুষ্যত্ব, দয়া আর শান্তির এক নিরব চর্চা।
ওরা কারো ওপর কিছু চাপায় না। ওরা মসজিদের ভিতরে যেমন শান্ত, রাস্তাতেও তেমন নম্র। প্রতিবেশী খ্রিস্টান হোক, না ইহুদি সবাইকে বলে "ভাই"। ঈদের সময় দাওয়াত যায় পাশের ঘরে, আর কার্নিভালের দিনে মুসলিম দোকানিও দোকান খোলে হেসে।
এই শহরের মুসলমানরা যেভাবে নিজেদের আচরণে ইসলাম তুলে ধরেছে, তা হয়তো অনেক বড় বড় ভাষণে বলা যায় না। এইটাই আসল দাওয়াত নিঃশব্দে ভালোবাসার পরিচয় দেওয়া। এটা একরকম বিপ্লব যেখানে কারো হাতে অস্ত্র নেই, আছে পবিত্রতা, নম্রতা আর সত্যিকারের ইসলামি চরিত্র।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন:
"وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا ۚ"
“আর আমি তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো।”
সূরা হুজরাত, আয়াত ১৩ চুই শহরের এই মুসলিম সমাজ সেই চিনে নেওয়ার পথেই হাঁটে যেখানে আছে সহনশীলতা, সৌন্দর্য আর সম্মানের এক ভবিষ্যত।