আরবি সাহিত্যে ইতিহাসবিদ এইচ.এ.আর গিব্ব এর অবদান    

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা: 

তিনার পুরো নাম স্যার হ্যামিলটন আলেক্সান্ডার রসকীন গিব্ব তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারী ২ তারিখ মিসরের আলেক্সান্ড্রিয়া নামক জাগায়, তিনার পিতা যোহন গিব্ব।  তিনার বাল্যকালে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনার পিতা পরলোকগমন করেন।  তিনার মা তিনাকে লালন পালন করেন। তিনার মা পেশায় আলেক্সান্ড্রিয়ার এক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হয়েছিলেন। তিনি পাঁচ বছর বয়সে প্রাথমিক শিক্ষা অৰ্জন করার জন্য স্কটল্যান্ডে আসেন, প্রথম চার্ বছর তিনাকে প্রাইভেট টুইশনে নিয়োগ করেন। তার পরবর্তীতে ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে এডিনবার্গ রয়েল হাই স্কুল থেকে তিনার শিক্ষা অৰ্জনের যাত্রা আরাম্ভ হয়। তিনি সেই স্কুলে ১৯১২ পর্যন্ত শিক্ষা অৰ্জন করেন। তিনার শিক্ষা ক্লাসিক, এর সঙ্গে ফ্রেঞ্চ,জার্মান এবং ভৌত বিজ্ঞানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন, তার পর তিনি একটি নতুন হোনার্স প্রোগামে যুক্ত হন যা সেমিটিক ভাষা যেখানে হিব্রু,আরবি এবং আমেরিকান ভাষা যুক্ত রয়েছে। তিনি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বৎসর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র তখন তিনার মা মৃত্যুবোরন করেন সেই কারণে তিনার পড়াশোনায় খারাপ প্ৰভাৱ পরে কিন্তু পুনরায় তিনি নিজেকে শীঘ্রই নিজেকে এই পথে স্থাপন করে নেন। 

মিলিটারি সার্ভিস:

তিনি এক সময় সার্ভিস ম্যানও ছিলেন। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালীন তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা ছেড়ে ফেব্রুয়ারী ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের যুক্ত রাজ্যের রয়েল আর্টিলারি তে নিয়োগ হওয়ার জন্য তিনি কিছু মাস ইটালিতেও কমিশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ হন। তিনি ১৯ বছর বয়সে কমিশন হয়েছিলেন। তিনি এই পদে ১১নভেম্বর  ১৯১৮ পর্যন্ত ছিলেন ।  তিনি এই কর্মক্ষেত্রে  এত অভিজ্ঞ ছিলেন যে তিনাকে "ওয়ার প্রিভিলেজ" পুরুস্কারে পুরুস্কৃত করেন।  

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে তিনি SOAS বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি শিক্ষা অৰ্জন করেন এবং ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি আরবি ভাষায়  স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। তিনার  থিসিস যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল ট্রান্সক্সিয়ানার (TRANSOXIANA ) মুসলিম বিজয় সমন্ধে যা গ্রেট ব্রিটেন এবং এয়ারল্যান্ডের রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির দ্বারা  প্রকাশিত করা হয়েছিল। ১৯২১ থেকে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি "স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিস" থেকে প্রফেসর থোমাস আর্নল্ডের কাছ থেকে আরবি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন, প্রফেসর থোমাস ১৯৩০ সালে সেখানে প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন। এই সময়ের মধ্যে তিনি "এন্সিক্লোপেডিয়া অফ ইসলাম" এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে গিব্ব St John's college , oxford , থেকে "ডেভিড স্যামুয়েল মার্গোলিয়াথ" ফেলোশিপ অৰ্জন করতে সফল হন এবং সেখানে মোট ১৮ বছর ধরে স্থির থাকেন। ১৯৫৫ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি তে আরবি ভাষায় প্রফেসর হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে "Center for Middle East স্টাডিস" এর পরিচালক হন এবং ১৯৬৩ তে অবসর গ্রহণ করেন। 

তিনার প্রধান কাজ:

তিনার প্রধান কাজ গুলির মধ্যে বই লেখা হচ্ছে সব থেকে বেশি উন্নতমানের কর্মের মধ্যে গণনা করা হয়। তিনি বিভিন্ন ইসলামী বিষয়ের উপর গন্থ লিখেছেন। তিনার গন্থ গুলির  মধ্যে-মোহাম্মাদানিসম, ইব্ন বতুতা ট্রাভেলস এশিয়া এন্ড আফ্রিকা ইত্যাদি। তিনার বই লেখার পদ্ধতি গুলি খুব সুন্দর ভাবে ও সমতানুযায়ী লিপিবদ্ধ করতেন। যা খুব সুন্দর পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।  তিনি ছাত্রদের জন্য ও অনুসন্ধানকারী দের জন্য ও যারা সাধারণ বিষয়ের উপর বিদ্যা বর্জন করে বিশেষ করে ধার্মিক ইতিহাস সমন্ধে তিনি এক মহৎ অবদান দিয়ে গেছেন সেগুলি হচ্ছে তার বই।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter