শাকিব আরসালানের পরিচয়

ভূমিকা ও পরিচয় 

শাকিব আরসালান তিনাকে আমিরুল বায়ান ও বলা হয় তিনার পুরো নাম শাকিব  বিন মহমুদ বিন হাসান বিন ইউনুস অল আরসালানী । তিনি জন্মগ্রহন করেন রমজান মাসের প্রথম দিনে ১২৭৬ হিজরীতে ,১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে শাওফীয়াত নামক গ্রামে লুবনান শহরে যেটি বাইরুত থেকে ১০ মাইল দুরে অবস্থত ।

তিনার শৈশবকাল 

তিনার শৈশবকাল ভালো কাটতে  থাকে এবং তিনার পিতার শিক্ষাদীক্ষা  দিক থেকে অনেক বড়ো আলেম ছিলেন। এবং তিনার পিতা চাইতেন যে তিনার শিক্ষাওদিক্ষার দিক থেকে জ্ঞান অর্জন করে তাই তিনি তিনার শৈশব জীবন থেকে  জ্ঞান ও আদাব শিক্ষতেন । এবং তিনার বয়স য়খন পাঁচ বছর বয়স তখন তিনাকে তিনার পিতা একজন শেখ এর কাছে প্রথম পড়াশোনার জন্য পাঠান তিনার স্নেহশীল আমীর নাসিব এর সাথে । তিনার  পিতা যেটা  আশা রেখেছিলেন সেটাই হয়েছিল । 

তিনার জ্ঞান অর্জনের যাত্রা  

সর্ব প্রথম তিনি তিনার গ্রামের মাদ্রাসাতে ভর্তি হয়েছিলেন “মাদ্রাসাতুল আমেরিকা নামক এবং সেখানে তিনি ভূগোল, গণিত ও ইংরেজি শিক্ষা  অর্জন করেন । এবং তার পরে ১৮৭৯ সালে তিনি বাইরুত চলে যান এবং মাদ্রাসা  দারুল হিকমাত এ ভর্তি হন । সেখানে আট বছর পড়াশোনে করেন । আট বছর দারুল হিকমাতে জ্ঞান অর্জনের পর,  তিনি ১৮৮৭ সালে মাদ্রাসাতুল সুলতানিয়া নানকে  তিনি ফিকাহ,তওহিদ এর জ্ঞান অর্জন করেন তিনার ওসতাদ শেখ  মুহেম্মাদ আব্দুহু কাছে  থেকে তিনি অনেক আসার হয়েছিলেন তার পর তিনি দিমাশক চলে যান ১৮৮৯ সালে এবং অনেক এর সাথে শেখের সাথে সাক্ষাৎ হয় যেমন শেখ মুহাম্মাদুল মাণিনি  যিনি সিরিয়ার মুফতি ছিলেন,  এবং আল্লাম জামাল্লুদি কাসিমি , এবং শেখ আব্দুর রাজ্জাক  আল-বাইতার এবং অনেক বড়ো বড়ো শেখ এর সাথে  সাক্ষাৎ এবং জ্ঞান অর্জন করেন ।এবং তার পরের সালে তিনি মিশর গিয়ে তিনার ওসতাদের সঙ্গে দ্বীতয় বার সাক্ষাৎ  করতে পান শেম মুহাম্মাদ আব্দুহু এবং সেই সালে তিনি তুরকী যাত্রা করে ছিলেন এবং জামাল্লুদিন আফগানির সাথে দেখা শোনা হয় । এই রকম ভাবে তিনি ১৮৯২সালে ফিরানস  গেয়ে আমীরর সাইর আহমেদ শওকী সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় । এবং তিনি অনেক জায়গা যাত্রা করেছিলেন যেমন বাইরুত, দিমাশক ,মিশর,তুরকী ,ফিরানস  ইতালি , সুইসিরা এবং এছারা তিনি আরো অনেক জায়গা যাত্রা করেছেন শুধু মাত্র জ্ঞান অর্জনের জন্য ।  এবং তিনি ১৯১২ সালে তুরকী গেয়েছিলেন, এবং সেখান থেকে তিনি মদিনা শরিফের দিকে রাওনা দেন এই কারণে যে তিনি সেখানে একটি মাদ্রাসা তৈরি করবে এবং সেখান  কাজ শেষ করে তিনি আবার তুরকী ফিরে আসেন এবং তুরকী থেকে বারলামান । এবং তার পর তিনি ১৯২২ সালে সুইসিরা যাত্রা করেন ।

 তিনার হজ যাত্রা 

তিনি ১৯২৯ সালে হজ করতে গেয়েছিলেন এবং সেই যাত্রাতে তিনি মালিক আব্দুল আজিজ আল – সাউদ এর সাথে সাক্ষাত করেন । এবং সেই যাত্রাতে তিনি একটি বই লিখেন ( বইটির নাম যাত্রা বলে ) পুরো নাম হল (   ( الرحلة الحجازية المسماة الارتسامات اللطاف في خاطر الحج إلى أقدس المطاف 

এবং তিনি দ্বিতীয় বিশ যুদ্ধতে তিনি জীবিত ছিলেন যেটি ১৯৪৫ সালে গঠিত হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধতে সিরিয়া এবং লুবনান স্বাধীন হয়ে যায় । তার পর তিনি তিনার শহরের দিকে ফিরে আসে ১৯৪৬ সালে অকঠেবর মাসে , তার পর তিনার ৭০ দিনের বেশি বাড়িতে ছিলেন না কি তিনার ইন্তেকাল হয়ে যায় । সেই দিন ছিল সোমবার মুহাররাম মাসের ১৫ তারিখ ১৩৬৬ হিজরী এবং ডিসেম্বর ৯ তারিখ ১৯৪৬ সালে ইন্তেকাল করেন । তার জন্য মুস্তাফা সাবায়ী , তিনি কবিতাতে বলেছেন যে 

سلام عليك أبا غالب       أمير البيان أمير القلم

তিনার কর্ম 

 তিনার চলে যাওয়ার পরে তিনি উম্মত মুসলমানের জন্য অনেক কিছু রেখেগেয়েছেন তিনার লিখা কিতাব এবং তিনার কর্ম সেই সব কর্ম দ্বারা মানুষের জন্য অনেক সাহায্য কারী হয় । এবং তিনার যত কর্ম ছেড়ে গেছেন হয়তো বই লিখার দ্বারা বা উপদেশ দ্বারা সেই সব জিনিস আজ মানুষের জন্য অনেক সাহায্যকারী হয়ে কাজে আসছে । 

তিনার লিখা কিতাব 

১ -  রিহ্লাতুল হিজাজি (الرحلة الحجازية المسماة الارتسامات اللطاف في خاطر الحج إلى أقدس المطاف  )।

২ – তারিখ জাজিরাতুল আরাব । 

৩ – উরওাতুল ইত্তিহাদ বাইনা আহ্লিল জিহাদ । 

৪ – রিহ্লাতুল রাশিয়া  ।

৫ – রিহ্লাতুল আল্মানিয়া ।

আরো অনেক তিনার বই  লিখেছেন এবং তিনি অনেক কয়েকটি বইয়ের অনুবাদ করেছেন ।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter