হজরত আমীরে মুওয়াবীয়া (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নাম: মুওয়াবীয়া,
নাম: মুওয়াবীয়া,
ডাক নাম: আবু আব্দুর রহমান,
পিতৃকুল ও মাতৃকুল দুই দিক-ই পঞ্চম পিঁড়িতে গিয়ে হুযূর আলাইহিস সালামের চতুর্থ দাদা হাযরাত আবদে মান্নাফ এর সাথে মিলে গেছে।
বংশের দিক থেকে নিকটতম আম্তীয় হওয়ার পাশাপাশি, তিনি হুযূর আলাইহিস সালামের আপন শ্যালকও (শালা) ছিলেন, এই কারনে আরিফ বিল্লাহ মাওলানা রুম আলাইহির রহমা তাঁর মাসনাবী শরীফের মধ্যে লিখেছেন যে, হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সমস্ত মোমিনদের মামা।হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ৬ হিজরী সনে, সুলহে হোদায়বিয়ার দিনে ইসলাম কবুল করলেও মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সেটা প্রকাশ করেছিলেন।
পিতার নাম - হজরত আবু সুফিয়ান,
মাতার নাম - হিন্দা, হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হুযূরের পবিত্র দরবারে ওয়াহী ও চিঠি পত্র লেখালেখির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। আল্লাহ'র রাসূল সল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র জোবানে, হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর জন্য নিম্নলিখিত দোওয়া গুলি করেছেন,হে আল্লাহ আমীরে মুওয়াবীয়াকে কোরানের জ্ঞান দান করো, অংকের জ্ঞান দান করো এবং তাকে আযাব থেকে বাঁচাও। হে আল্লাহ আমীরে মুওয়াবীয়াকে পথ প্রদর্শক ও পথ প্রাপ্ত বানাও এবং তার দ্বারা মানুষকে হেদায়াত দান করো। আ'লা হাযরাত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু লিখেছেন, যে ব্যক্তি হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে সে ব্যক্তি জাহান্নামের কুকুর সমুহের মধ্যে একটি কুকুর হবে।হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একবার হাযরাত ইমাম হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে চার লাখ রৌপ্য মুদ্রা সালামী দিয়েছিলেন। আল্লামা কাসতালানী বোখারী শরীফের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বহু গুনের অধিকারী ছিলেন।
মোল্লা আলী ক্বারী লিখেছেন যে, হজরত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ন্যায় পরায়ন সম্মানিত ব্যক্তি এবং শ্রেষ্ঠ সাহাবায়ে কেরামের অন্তর্ভুক্ত। আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হাযরাত মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর শানে লিখা গজল পাঠ শুনে প্রতিটি লাইনের বিনিময়ে এক লাখ স্বর্ণ মুদ্রা সালামী দেওয়ার ওয়াদা করেছিলেন। মিশকাত শরীফের লেখক আল্লামা খাতীবে তাবরেযী তাঁর ইকমাল ফী আসমাইর রিজাল নামক কিতাবে আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে সাহাবী বলে উল্লেখ করেছেন। হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু চল্লিশ বছর ধরে মুসলিম বিশ্বের বাদশাহ ছিলেন।
হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে মোট - ১৬৩ টি হাদীস বর্ণিত আছে।একটি বর্ণনা অনুযায়ী আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, ৬০ হিজরী সনে রজব মাসের ২২ তারিখ, ৭৮ বছর বয়সে দামেশক শহরে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি অ-ইন্না ইলাইহি রাজেউন।ইমাম আ'যাম আবু হানীফা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন যে, সকল সাহাবায়ে কেরামের আলোচনা কল্যান ও মঙ্গলের সাথেই করতে হবে।আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াতের আক্বিদা হলো এই যে, সমস্ত সাহাবায়ে কেরামে-ই জান্নাতী এতে কোন সন্দেহ নাই।
মোল্লা আলী ক্বারী লিখেছেন যে, হজরত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ন্যায় পরায়ন সম্মানিত ব্যক্তি এবং শ্রেষ্ঠ সাহাবায়ে কেরামের অন্তর্ভুক্ত। আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হাযরাত মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর শানে লিখা গজল পাঠ শুনে প্রতিটি লাইনের বিনিময়ে এক লাখ স্বর্ণ মুদ্রা সালামী দেওয়ার ওয়াদা করেছিলেন। মিশকাত শরীফের লেখক আল্লামা খাতীবে তাবরেযী তাঁর ইকমাল ফী আসমাইর রিজাল নামক কিতাবে আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে সাহাবী বলে উল্লেখ করেছেন। হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু চল্লিশ বছর ধরে মুসলিম বিশ্বের বাদশাহ ছিলেন।
হাযরাত আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে মোট - ১৬৩ টি হাদীস বর্ণিত আছে।একটি বর্ণনা অনুযায়ী আমীরে মুওয়াবীয়া রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, ৬০ হিজরী সনে রজব মাসের ২২ তারিখ, ৭৮ বছর বয়সে দামেশক শহরে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি অ-ইন্না ইলাইহি রাজেউন।ইমাম আ'যাম আবু হানীফা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন যে, সকল সাহাবায়ে কেরামের আলোচনা কল্যান ও মঙ্গলের সাথেই করতে হবে।আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াতের আক্বিদা হলো এই যে, সমস্ত সাহাবায়ে কেরামে-ই জান্নাতী এতে কোন সন্দেহ নাই।