কবর জিয়ারত

কবর জিয়ারত করা সুন্নত । কবর জিয়ারত দ্বারা মৃত ব্যাক্তির কবরে কনো রকমের আজাব চল্লিশদিন প্রয়ন্ত হয় না . কবর জিয়ারত দ্বারা মৃত্যুমৃ ত্যু ও আখেরাতের কথা স্মরণ হয় ।হৃদয় বিগলিত হয়।অন্যায় থেকে তওবা এবং নেকীর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিসৃ হয়।কবর জিয়ারত করা সবার জন্য অনুমতি রয়েছে,নারী-পুরুষ সবার জন্য এই অনুমতি রয়েছে। তবে ঐসব নারীদের জন্য লা‘নত করা হয়েছে, যারা কবর জিয়ারতের সময় সরবে কান্নাকাটি ও বিলাপ ধ্বনি করে।

আপনি শুনলে অবাক হবেন যে কেউ যদি তার পিতা মাতার জন্য প্রতি শুক্রবার নিয়োমিত কবর জিয়ারত করেন তাহলে তাদের বাবা-মা কে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন । কিন্তু আমরা হয়তে কিছুদিন মাতা পিতার জন্য শোক পালন করি । আসুন নিয়োমিত বাবা-মার জন্য কবর জিয়ারত এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার্থ করি যাতে করে পরোকালে তাদের কে আল্লাহ ভালো রাখেন ।

কবরস্থানে এমন কাজ করা যাবেনা

এমন কাজ করা যা করলে আল্লাহ নাখোশ হন।যেমন : লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা দুনিয়াবী স্বার্থে  জন্য  জিয়ারত করা। সেখানে বসা, ছালাত আদায় করা বা সিজদা করা, গরু-ছাগল-মোরগ ইত্যাদি ,দেওয়া বা কুরবানী করা  ,সেখানে গিয়ে খেলা করে দৌড়া দড়ি করা,আর যে কাজকরা যেগুলো ইসলামে হারাম করা হয়েছে ওই সব কাজ করা।

কবর জিয়োরাতের আদব

এই সময় নিজের মৃত্যু ও আখেরাতকে স্মরণ করবে এবং কবর বাসীদের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে খালেস মনে নিম্নোক্ত দোয়া সমূহ পাঠ করবে। দো‘আর সময় একাকী দু’হাত উঠানো যাবে। বাক্বী‘ গারক্বাদ গোরস্থানে  দীর্ঘ সময়  ধরে রাসূল দো‘আ করার সময় ল্লাহ ﷺ একাকী তিন বার হাত উঠিয়েছিলেন।

দো‘আ করার সময় হাত কে পুরোপুরি ফেলিয়ে দিবে,

কবর জিয়ারতের দোয়া ও নিয়ম

প্রথম কাজ                                                                                       

১)কবর জি য়ারতের দো ওয়া পাঠ করা -‘আসসালামুআলাইকুম  আহলাদ্দার মিনাল মুমিনিনা ওলমুসলিমিন   ওইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন।

২) রাব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানি সাগিরা।

৩)আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নাল্লাহা গাফুরুর রাহিম।

দ্বিতীয় ও প্রধান কাজ

কবর জিয়ারতের দরুদ শরীফ ১১ বার পাঠ করবেন

১. সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১১ বার পাঠ করবেন ।

২ সুরা ফাতিহা পড়া ৭ বার ও পাঠ করা করতে পারেন ।

৩. সুরা ইখলাস পড়া  ৩ বার পাঠ করা

৪. সুরা ফালাক পড়া  ৩ বার পাঠ করা

৫. আয়া তুল কুরসি পড়া ১ বার

জিয়ারতের মোনাজাত

আলাহুম্মাগফির্লি  হায়্যিনা  ও মায়্যিতিনা ওয়া শা হিদিনা ওয়া গাইবিনা ওয়া সাগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানাহ, আল্লাহ্ হুম্মা মান আহইয়াই তাহু মিন্না ফা আহ-ই-আলাল ইসলাম, ওয়ামান তাওয়াফ ফাইতাহু মিন্না ফাতা ওয়াফফাহু আলাল ইমান ।

কবর জিয়ারতের দোয়া

১, আস্সালা-মু‘আলা আহলি দিয়া-রি মিনাল মুমিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইয়ারহামুল্লা-হুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুস্তা’খিরীনা; অইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা- লাহেকূনা।

২, আসসালামু আলায়কুম দারা ক্বাওমিন মুমিনীনা, অ ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হেকূন - আল্লা- হুম্মাগফিরলাহুম।

৩, আস্সালামু আলা আহলি দিয়ারি  মিনাল মুমিনীনা অয়াল মুসলিমীন  অইন্না ইনশা আল্লাহু বিকুম                 লাহিকূন, নাসআলুল্লা-হা লানা ওয়া লাকুমুল ‘আ-ফিয়াতা।

স্বরণ করনিয়

১, কাফির-মুশরিক বাপ-মায়ের কবর জিয়ারত করা যাবে ।এর মাধ্যমে মৃত্যু কে  স্মরণ করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে সালাম করা যাবে না। তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনার্থ করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে তিনার মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য অতটুকুই মাত্র অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

২, সকল প্রকারের শিরকী আক্বীদা ও বিদআতী আমল থেকে মুক্ত মন নিয়ে কেবল মৃত্যুর জন্য দোয়া এবং আখেরাতকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে কবর জিয়ারত করতে হবে। নইলে ঐ জিয়ারত গোনা হের কারণ হবে।

৩, কবরস্থানে গিয়ে কাবিরা গুণাহ যেমন না হয় ।

হাদিস থেকে দলীল

পুরুপুষদের জন্য যেকোনো সময় কবর জিয়ারত জায়েজ। প্রতি শুক্রবার না পারলে বৃস্পতি, শনি বা সোমবার জিয়ারত করা মোস্তাহাব। তবে শুক্রবারে যাওয়াই ভালো। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি জুমায় তার মা-বাবা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে।

 হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কবর জিয়ারত করল, আমি তার সুপারিশকারী হব।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter