নফল নামাজের ফজিলত
মহানআল্লাহমানবজাতিকেসর্বশ্রেষ্ঠমাখলুকহিসেবেমর্যাদাদানকরেছেন।তিনিমানবসৃষ্টিরউদ্দেশ্যসম্পর্কেবলেন, “وما خلقت الجن والإنس إلا ليعبدون"অর্থাৎ: আমিজিনওমানুষকেকেবলআমারইবাদাতেরজন্যসৃষ্টিকরেছি’।পবিত্রকুরআনেরএআয়াতথেকেএকথাস্পষ্টযে, মহানআল্লাহমানবজাতিকেএকমাত্রতাঁরইবাদতওআনুগত্যকরারজন্যসৃষ্টিকরেছেন।সুতরাংএকমাত্রতাঁরআনুগত্যকরাইমানুষেরকর্তব্য।আল্লাহবলেন: “وَمَنْ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه فَقَدْ فَازَ فَوْزًاعَظِيْمًاঅর্থাৎ: আরযেব্যক্তিআল্লাহওতাঁররাসূলেরআনুগত্যকরে, সেমহাসাফল্যলাভকরল।মহানআল্লাহরএকান্তসান্নিধ্যলাভেরজন্যফরজইবাদাত গুলোআদায়করাযেমনঅত্যাবশ্যকতেমনিফরজইবাদতেরঘাটতিপূরণকরেঅধিকমর্যাদাপ্রাপ্তিরপ্রত্যাশায়নফলনামাজআদায়ওরোজাপালনকরাঅতিজরুরি।
নফলনামাজ: ফরজইবাদাতেরকোনোবিকল্পনেই।ফরজনামাজআদায়েরপরযারানফলনামাজআদায়করেনতাদেরপ্রতিরয়েছেমহানআল্লাহরবিশেষরহমত।নফলনামাজওরোজারমাধ্যমেআল্লাহওরাসূল(সা:)-এরসন্তুষ্টিঅর্জনকরাযায়।ফরজ, ওয়াজিবওসুন্নাতছাড়াঅন্যান্যনামাজকেনফলনামাজবলে।নফলনামাজেরকোনোসীমানেই।যেযতবেশিপড়বে, সেততবেশিসওয়াবলাভকরবে।মাকরুহসময়ব্যতীতযখনইকেউনফলনামাজপড়তেচায়এবংযতবেশিপড়তেচায়তাপড়লেতারজন্যমঙ্গলএবংবরকতেরইকারণহয়।মহানবীসা: বলেছেন, ‘مَنْ تَقَرَّبَ فِيهِ بِخَصْلَةٍ مِنَ الْخَيْرِ، كَانَ كَمَنْ أَدَّى فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاه (صحيح ابن خزيمة: حديث 1887)অর্থাৎ: যে ব্যক্তি রমজান মাসে একটি নফল ইবাদত আদয় করল, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ ইবাদত আদায় করল।’ [সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১৮৮৭]
নফলনামাজেরনিয়ত: নফলনামাজগুলোবেশিরভাগইসুন্নাত।তাইনিয়তেসুন্নাতবলাযাবে, নফলবললেওহবে; সুন্নত-নফলকোনোকিছুনাবলেশুধুতাকবিরেতাহরিমাদিয়েআরম্ভকরলেওহয়েযাবে।নফলনামাজেরনিয়তকরেতাছেড়েদিলেবাভেঙেগেলেপরেতাআদায়করাওয়াজিবহবে।
নফলনামাজেরসূরাকিরাত: নফলনামাজযেকোনোসূরাবাআয়াতদিয়েপড়াযায়।নফলনামাজেসূরারতারতিববাধারাক্রমজরুরিনয়।সূরাকিরাতনীরবেপড়তেহয়, তবেরাতেরনফলনামাজইচ্ছেকরলেসরবেওপড়াযায়।নির্দিষ্টসূরাকিরাতপড়ারঅনুমতিথাকলেওতাজরুরিনয়।
তাহিয়্যাতুলওজু(تحية الوضوء): অজুশেষকরারপরকারোসাথেকথাবার্তানাবলেঅজুরপানিশুকাবারআগেদুইরাকাতনামাজপড়ামুস্তাহাব।তাহিয়্যাতুলঅজুখ্যাতএনামাজ- নফলনামাজেরফজিলতনারী-পুরুষযেকেউআদায়করতেপারেন।এনামাজদুইঅথবাচাররাকাতআদায়করাযায়।
ফজিলত: মহানবী(সা:) : বলেছেন, ‘যেব্যক্তিভালোভাবেঅজুকরেদুইরাকাতনামাজপূর্ণভাবেপড়বেতারজন্যজান্নাতওয়াজিবহয়েযায়।একদামহানবী(সা:) হজরতবেলাল(রা:)কেজিজ্ঞেসকরলেন, তুমিএমনকীআমলকরোযেআমিজান্নাতেতোমারখড়মেরআওয়াজশুনতেপেলাম? উত্তরেবললেন, আমিওজুরপরপরদুইরাকাততাহিয়্যাতুলওজুনামাজআদায়করি।
দুখলুলমসজিদ(دخول المسجد): দুখলুলমসজিদেরনামাজহচ্ছে, মসজিদেঢুকেবসেপড়বারআগেযেদুইরাকাতনামাজপড়াহয় তাকে বলে দুখলুলমসজিদ।মহানবীসা: বলেছেন, ‘মসজিদেঢুকেবসারআগেইপ্রথমেদুইরাকাত ‘তাহিয়্যাতুলমসজিদ’ বামসজিদেপ্রবেশেরনামাজআদায়করবে।প্রতিওয়াক্তনামাজেরক্ষেত্রেমসজিদেগিয়েবসারআগেদুইরাকাতনামাজপড়েনেয়াযাবে।আরজুমানামাজেরক্ষেত্রেখুতবারআগেমসজিদেপ্রবেশকরেএনামাজআদায়করাউচিত।উল্লেখ্য, ফজরেরসময়হওয়ারপরথেকেসূর্যউদিতহওয়ারআগেপর্যন্তসবধরনেরনফলনামাজপড়ামাকরুহ।তাইতাঘরেপড়াহোক, কিংবামসজিদে।কাজেইফজরেরওয়াক্তহয়েযাওয়ারপরতাহিয়্যাতুলওজুওদুখলুলমসজিদপড়াউচিতনয়।তবেফজরেরসুন্নতেরসাথেএনামাজেরনিয়তকরেনিলেতারসাওয়াবপাওয়াযাবেবলেআমরাআশাবাদী।
চাশতেরনামাজ (صلاة الضحى) : চাশতঅর্থহলোদিনেরদ্বিতীয়প্রহর, মধ্যাহ্ন-পূর্ববামধ্য-পূর্বাহ্ন।সূর্যযখনআকাশেএক-চতুর্থাংশেরওপরেওঠেএবংসূর্যের তাপপ্রখরহয়, তখনথেকেদ্বিপ্রহরেরআগেপর্যন্তঅর্থাৎ ঘড়িরসময়অনুযায়ীগ্রীষ্মকালেসকাল৯টাথেকেএবংশীতকালেসকাল১০টাথেকেসাড়ে১১টারমধ্যেচাশতেরনামাজেরসময়।এনামাজেররাকাতেরসংখ্যাদুইথেকেবারোরাকাত।
ফজিলত: মহানবী(সা:) বলেছেন, ‘যেব্যক্তিচাশতেরদুইরাকাতেরপ্রতিযত বানহলো, তাঁরসমস্তগুনাহক্ষমাকরেদেয়াহবে, যদিওতাসমুদ্রেরফেনারসমপরিমাণহয়।মহানবী(সা:) আরোবলেছেন, ‘যেব্যক্তিচাশতের১২রাকাতনামাজআদায়করে, আল্লাহতারজন্যজান্নাতেএকটিস্বর্ণেরঘরনির্মাণকরবেন।মাসয়ালা: চাশতেরনামাজেরনিয়তদুইরাকাতকরেকিংবাচাররাকাতকরেকরাযায়।
আওয়াবিননামাজ(صلاة الأوابين): মাগরিবনামাজেরদুইরাকাতসুন্নাতআদায়করারপরআওয়াবিননামাজআদায়করতেহয়।দুই-দুইরাকাতকরেছয়থেকেবিশরাকাত- নফলনামাজেরফজিলতপর্যন্তনামাজআদায়করাযায়।
ফজিলত: মহানবী(সা:) বলেছেন, যেব্যক্তিমাগরিবেরনামাজেরপরছয়রাকাতএভাবেপড়েএবংতারমাঝেকোনোকথাবলেনাতবেতাকে১২বছরেরইবাদাতপরিমাণসওয়াবদেয়াহয়।
তাহাজ্জুদেরনামাজ (صلاة التهجد) : তাহাজ্জুদশেষরাতেরনামাজএবংঅনেকবেশিমর্যাদাপূর্ণনামাজ।কুরআনমাজিদেরবেশকয়েকস্থানেতাহাজ্জুদনামাজেরগুরুত্ববর্ণনাকরাহয়েছে।মহানআল্লাহমহানবী(সা:)কেতাহাজ্জুদনামাজপড়ারতাকিদদিয়েছেন।আল্লাহবলেছেন, ‘এবংআপনিরাতেরকিছুঅংশতাহাজ্জুদনামাজপরুন।তাআপনারজন্যএকঅতিরিক্তকর্তব্য।নিশ্চয়ইআপনারপ্রভুআপনাকেমাকামেমাহমুদে(প্রশংসিতস্থানে) প্রতিষ্ঠিতকরবেন।মহানবী(সা:)নিয়মিতরাতজেগেতাহাজ্জুদনামাজআদায়করেছেনএবংসাহাবাদেরএনামাজেরগুরুত্বওফজিলাতবর্ণনাকরেতাআদায়েউৎসাহিতকরেছেন।
ফজিলাত: তাহাজ্জুদনামাজেররাকাতসংখ্যাঅন্ততপক্ষেদুইএবংঊর্ধ্বতমসংখ্যাআট।এরফজিলাতসম্পর্কেমহানবী(সা:)বলেছেন, ‘ফরজনামাজগুলোরপরেসবচেয়েউৎকৃষ্টনামাজহলোতাহাজ্জুদনামাজ’।অন্যবলাহয়েছে, ‘তাহাজ্জুদনামাজেরব্যাবস্থাপনকরো, এটাহচ্ছেনেকলোকেরস্বভাব।এটাতোমাদেরআল্লাহরনিকটবর্তীকরেদেবে, গুনাহগুলোমিটিয়েদেবে, গুনাহথেকেবাঁচিয়েরাখবেএবংশরীরথেকেরোগদূরকরবে’।
ইশরাকনামাজ(صلاة الإشراق) : সূর্যউদয়ের১২-১৩মিনিটপরযেদুইঅথবাচাররাকাতনামাজপড়াহয়, তাকেইশরাকনামাজবলে।ফজরেরনামাজপড়ারপরদুনিয়ারকাজকর্মওকথাবার্তাথেকেবিরতথেকেসূর্যওঠাপর্যন্তস্ত্রী নামাজেরজায়গায়বাপুরুষরামসজিদেঅন্যকোনোজায়গায়বসেকুরআনতিলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিলইত্যাদিতেলিপ্তথাকবেন।
ফজিলাত: হাদিসেকুদসিতেমহানবীসা: বলেছেন, আল্লাহবলেন, হেমানুষ! তুমিদিনেরপ্রথমাংশেআমারজন্যচাররাকাতনামাজআদায়করো।তাহলেএদিনেতোমারযাকিছুপ্রয়োজনহয়সবইআমিপূরণকরেদেবো।অন্যএকহাদিসেবলাহয়েছে, ‘যেব্যক্তিফজরেরনামাজআদায়করেসূর্যউদয়নাহওয়াপর্যন্তসেখানেইবসেথাকেএবংআল্লাহরনামেজিকর-আজকারকরতেথাকে, এরপরআকাশেসূর্যভালোভাবেউদয়হলেদুইরাকাতনামাজআদায়করে, সেইব্যক্তিএকহজওওমরাআদায়েরসওয়াবপাবে।