এ পর্যন্ত করোনার ভাইরাস

আমার  প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা কি জানি বর্তমানে যে আমাদের পরিবেশ সেটা এমন হওয়ার কারণ কি? এর কারণ মাত্র একটাই সেটা হচ্ছে করোনা ভাইরাস। যার কারণে চলছে আজ পুরো বিশ্বে লকডাউন। যে লকডাউন এর জন্য    পুরো বিশ্বের মানুষ বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে। আর মানুষের বিক্ষিপ্ত হওয়ার এটাই কারণ যে তারা যদি কাজই না করতে পাবে তাহলে তারা রোজগার কোথা থেকে করবে। আর যদি রোজগারই না হয় তবে তারা কিভাবে সংসার চালাবে? আর এই করোনা ভাইরাসের জন্য বর্তমানের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে পড়ছে কেননা করোনা ভাইরাস এর জন্য সারাবিশ্বে লকডাউন চলছে যার ফলে মাদ্রাসা,   স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়  ইত্যাদি শিক্ষাস্থান বন্ধ রয়েছে আর এইসব শিক্ষা স্থান যদি  বন্ধই থাকে তবে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা অর্জন কোথা থেকে করবে। এছাড়াও এই করোনা ভাইরাসের জন্য  অনেক দিক থেকে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। তো আমার প্রিয় ভাইয়েরা আমরা কি জানি এই করোনা ভাইরাসটি কি জিনিস যার কারণে পুরো বিশ্বকে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। তো চলুন আমরা সেই  করোনা ভাইরাসের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি। এই ভাইরাসটি সর্বপ্রথম ২০১৯এর  ডিসেম্বর মাসে চীন দেশের  উহান শহরে  দেখা দেই। যার ফলে প্রথমে এই ভাইরাসটির নাম উহান ভাইরাস রাখা হয়েছিল। আর যখন দেখা গেল যে এই ভাইরাসটি একটি মহামারী ভাইরাস তখন তার নাম করোনা ভাইরাস  রাখা হয়। করোনা শব্দটি ল্যাটিন ভাষার শব্দ যার অর্থ হচ্ছে "মুকুট"।  

ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের  তলাই এই পরিবারের ভাইরাস কে অনেকটা রাজার মাথার মুকুট এর মত দেখায়, সেই কারণে এই নামকরণ দেওয়া হয়।হু  যার পুরো নাম ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানিজেশন যার অর্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  এই ভাইরাসটি কে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে '২০১৯এনসিওভি' নামকরণ করে। করোনাভাইরাস বলতে এক গোত্রের অনেকগুলি ভাইরাস কে বোঝায়, যা মূলত প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়। বার্ড ফ্লু তথা সার্স ভাইরাসও  এই গোত্রের। হিউম্যান  করোনা  ভাইরাস এক ধরনের   জুনোটিক রোগ এবং এই  সংক্রমণটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। করোনা ভাইরাস এর অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র  ৭টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত  হতে পারে ।মার্স ভাইরাস ছড়িয়ে ছিল উট থেকে। সার্স এর জন্য বিজ্ঞানীরা খাটাশ জাতীয় বিড়াল কে দায়ী করেছিলেন ।

করোনা ভাইরাস  তখনই সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসবে যখন কেউ আক্রান্ত ব্যক্তির  সংস্পর্শে আসে। ভাইরাসটি কতটা সংক্রামক, তার উপর নির্ভর করে কাশি, হাঁচি, হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি ছুঁয়েছে এমন কিছু  স্পর্শ করার পর সেই হাত দিয়ে মুখ,নাক বা চোখ স্পর্শ করলে সংক্রমণ হতে পারে। এমনকি রোগীর বর্জ্য থেকে  চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হতে পারেন। এই রোগের উপসর্গ মূলতঃ জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি। এছাড়া সর্দিকাশি,শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া ও হতে পারে। এই হিউম্যান করোনা ভাইরাস এর জন্য এখনো পর্যন্ত কোন সঠিক চিকিৎসার আবিষ্কার হয়নি। বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে, অনেকগুলি সহায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধ রয়েছে যেগুলি এর হালকা  থেকে মাঝারি উপসর্গ গুলির চিকিৎসা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যথা এবং জ্বরের চিকিৎসার জন্য ওষুধ বা গলা ব্যথা নিরাময়ের জন্য গরম জল ইত্যাদি। এই ভাইরাসের জন্য কিছু প্রতিরোধ করা দরকার যেমন-হাঁচি বা কাশির পর সাথে সাথে হাত ধুয়ে নেওয়া, কাশি বা হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নেওয়া, মাস্ক পরা,যদি মনে হয় আপনি  সংক্রামিত তাহলে যে কোনো ও ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলা ও  সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেট রাখা, যথাযথ বিশ্রাম নেওয়া, ভিড় থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি। এই নভেল করোনা  ভাইরাসকে ধ্বংস করার একমাত্র উপায় যে করোনাকে ছড়িয়ে যাওয়া থেকে দূরে থাকা । এই ভাইরাসের জন্য পুরো  বিশ্বে লকডাউন চলছে। এই  লকডাউন এর উদ্দেশ্য যে করোনার সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা। এই লকডাউন এরফলে যতই ক্ষতি হোক না কেন আমাদেরকে মানতে হবে। কেননা  করোনাকে হারার এটাই একমাত্র উপায়। ১৩. ৮.২০২০ পর্যন্ত পুরো বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের  সংখ্যা ২০,৮০৬, ৯৬১ ও  মৃত্যুর সংখ্যা৭৪৭,২৫৮ এবং সুস্থ হয়েছেন১৩, ৭০৬,৬৮৫। এই করোনা ভাইরাসে  আক্রান্তে বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা, যার আক্রান্তের সংখ্যা ৫, ৩৬০,৩০২ ও মৃতের সংখ্যা ১৬৯, ১৩১ এবং সুস্থের সংখ্যা ২, ৪১২,৬০৩। এই আমেরিকার পরে পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল যার আক্রান্তের সংখ্যা ৩, ১৭০,৪৭৪ ও মৃতের সংখ্যা ১০৪, ২৬৩ এবং সুস্থ হয়েছে ২, ৩০৯,৪৭৭। ব্রাজিলের পরেই তৃতীয়  স্থানে রয়েছে ভারত যার আক্রান্তের সংখ্যা২, ৩৯৫,৪৭১ মৃতের সংখ্যা ৪৭,১৩৮ এবং সুস্থ হয়েছে ১,৬৯৫,৮০১। শেষ মুহূর্তে আমি আপনাদের  করোনার সম্পর্কে একটি ছড়া বলি-
 হোক বা না হোক করোনা রোগ হাত ধরার কেউ করো না কো লোভ  দু'গজ দূরে থাকাই চাই

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter