ইসলামে নারীর অধিকার ও মর্যাদা

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর তালার জন্য, যিনি কুন  শব্দের দ্বারা এই  সারা জগতের সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করেছেন তারপর অসংখ্য দরুদ-সালাম বর্ষিত হোক সেই মহান নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, যিনি, এই দুনিয়ায় এসে সমস্ত মানবজাতিকে নতুন এক  সঠিক উজ্জ্বল পথ দেখিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা নর-নারীকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য ও তার প্রার্থনা করার জন্য।  তিনি তাদের সমান অধিকার দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন নরদের যেমন অধিকার দিয়েছেন, তেমনি নারীজাতিকেও অধিকার দিয়েছেন।  ইসলামের দৃষ্টিতে সমস্ত মানবজাতি  নজরে এক  ইসলাম  ছোট- বড় ও ধনী-গরিব ইত্যাদিদের মধ্যে পার্থক্য ও বিভাগ করে না।  তারা সবাই ইসলামের দৃষ্টিতে একই ইসলাম সবাই কে নিজ নিজ অধিকার দিয়েছে।

বর্তমান যুগে কিছু মানুষেরা বলে থাকে যে, ইসলাম নারীর জন্য কোন অধিকার দেয়নি।  তাদের কোন মর্যাদা দেয়নি।  তাদের স্বাধীনতা দেয়নি  আমি তাদেরকে বলবো যে, তাদের মন্তব্য ভুল। তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না কারণ ইসলামে যেমনভাবে নারীকে অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে  অন্য আর কোন ধর্মে দেয়নি।

ইসলাম ধর্ম আগমন হাওয়ার পূর্বে  (জাহিলিয়াত যুগে) সমাজের কোন পরিবারের মেয়ে জন্ম হলে তাকে জীবিত কবরস্থ করা হত তাদের জীবিত থাকার কোন অধিকার ছিল না যে, তারা জীবন যাপন করে  কিন্তু  যখন ইসলাম ধর্মের আধিপত্য হল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম গ্রহণ করলেন। তারপর থেকে নারীদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়া আরম্ভ হল এবং তাদের মর্যাদা ও অধিকার তিন ভাগে ভাগ করা হল।  এক সন্তানরুপে, দুই স্ত্রীরুপে, ও তিন মাতারুপে ইসলাম তো নারীকে তার জন্মে পূর্বে থেকে তার মর্যাদা দিয়েছে।

ইসলাম মেয়েদের এত সম্মান দিয়েছে যে, নারীরা যখন কাউরির মা হয়েছে তখন আল্লাহ তা'আলা সন্তানদের জান্নাত মায়ের পদতলে এনে দিয়েছেন। অর্থাৎ কোন সন্তান যদি তার মায়ের কথামত চলে, তার খেদমত করে, তার দেখাশোনা করে, বৃদ্ধ অবস্থায় তার সেবা যত্ন করে ইত্যাদি  তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার পরিবর্তে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

হাদিসঃ-   اَلْجَنّةُ تَحْتَ أَقْدامِ الْأُمَّهاتِ

অর্থ  ছেলেদের জান্নাত  মায়েদের পদতলে।

এই হাদিস থেকে বোঝা গেল যে, মায়েদের কোন অবহেলা করা যাবেনা  তাদেরকে কোন দিন দুঃখ দেওয়া যাবেনা। ইসলাম ধর্মে নর-নারী সমান সমান অধিকার রয়েছে।

ইসলাম ধর্ম নারীদের মর্যাদা ও অধিকার দেওয়া শুরু করে সেই যুগে যে যুগে পৃথিবীতে শুধু নারীদেরকে পুরুষরা যৌন তৃপ্তির জন্য ব্যবহার করা হত  এবং এসময় যখন নারী অধিকারের উপর  বিভিন্ন বিতর্ক ছিল।  তখন ইসলাম ঘোষণা করলো। আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফ এরশাদ করেছেন-

হে মানব জাতি আমি তোমাদেরকে এক চোরা থেকে সৃষ্টি করেছি একজন পুরুষ এবং অপরজন নারী।

   নর-নারী হল এক পরিবার এবং উভয়ের সমঅধিকার ও সমকর্তব্য রয়েছে। আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে তাদের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করেছেন তোমাদের মধ্যে কোন শ্রমিকের কাজ আমি কখনোই নষ্ট করবো না।  পুরুষ থেকে বা মহিলা।  তোমরা একে অপরের সমতুল্য।  সুতরাং ইসলামী বিধান নারীদের স্বাধীন পরিচয় দিয়েছে।  তাদের নিজের  অধিকার উপর তারা দায়িত্বশীল  ইসলাম নারীদের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন রূপে তাদের অধিকার দিয়ে থাকে। একজন নারী যখন কোন পরিবারের জন্ম নেয়। কাওরের সন্তান রূপে যখন কোন পরিবারে আসে তখন সেই পরিবারের আল্লাহর বরকত অবতীর্ণ হতে থাকে সেই পরিবারে সুখ ফিরে আসে শান্তির বৃষ্টি বর্ষণ হয়।

সন্তানরূপে নারীর অধিকার ও মর্যাদা

হাদিস-

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি ইরশাদ করেছেন একদা তিনার নিকট একজন নারী দুই কন্যাসহ এলেন কিছু চাওয়ার জন্য। তো আমি একটি খেজুর  ব্যতীত   কিছু দিতে সক্ষম হলাম না   নারীটি খেজুরটা নিয়ে তার দুই কন্যার মধ্যে বিভক্ত করে দিল  এবং সে তা থেকে এক টুকরোও খেলো না। তারপর সে আমার নিকট হতে বিদায় নিল  ততক্ষণ হুজুর সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজির হলেন। হযরত মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা হুজুর সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিওয়াসাল্লাম এই ঘটনা শোনালেন এই ঘটনা শুনে নবী সাঃ এরশাদ করেন কোন ব্যক্তির মেয়ে সন্তান থাকলে এবং সে তাদের প্রতি নরম ব্যবহার অনুগ্রহ করলে, তারা ( মেয়ে সন্তান) পিতাদের জন্য কেয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য ঢাল হবে। 

উক্ত হাদিসটি নারীর  উপকারিতা বুঝিয়েছে এবং তার প্রতি আচরণের পথ দেখিয়েছে। হাদিসটির মাধ্যমে বোঝা যায় মেয়ে সন্তানের চাহিদার প্রতি  ইশারা করেছে

হাদিস-   عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعالَى عَنْهُ قَالَ قالَ رَسولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَّلم" مَنْ عاَلَ جَارِيَتَيْنِ (بِنْتَيْنِ) حَتّى تَبْلُغَا جَاءَ يَوْمَ القِيامَةِ أَنا وَ هُو وَ ضَمَّ أَصابِعَهُ.

আনাস হতে বর্ণিত আছে যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে, কোন ব্যাক্তি যদি তার দুটি কন্যাকে লালন-পালন করে সাবালোক করে তোলে, তাহলে সে ব্যক্তি আর আমি কেয়ামতের দিন এই রকম  (হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই আঙ্গুলকে এক সাথে করে বলেছিলেন এই রকম পাশাপাশি থাকবো।

হাদীস-   عَنْ عُقْبَةَ بِنْ عَامرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ : مَنْ عَالَ ثَلاثَ بَناتٍ فَأَدَّبَهُنَّ وَ زَوَّجَهُنَّ وَ أَحْسَنَ إِلَيْهِنَّ فَلَهُ الْجَنّةُ.

অর্থ-  যে ব্যক্তি  তিনটি  কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণ দেবে, তাদের শাসন করবে, তাদের সঠিক আচরণ শিক্ষা দেবে, তাদের বিয়ে করাবে এবং তাদের সাথে সদয় আচরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আরো বিভিন্ন হাদিস যে গুলো মেয়ে যখন একটি মেয়ে সন্তান হয় এবং সে যেন মেয়েদের সন্তানের ওপর তাদের উপকারিতা বর্ণনা করে  (আবু দাউদ)

স্ত্রীর রূপে নারীর অধিকার ও মর্যাদ

কোন নারী স্ত্রী হলে, ইসলাম তার বিভিন্ন ভাবে অধিকার দিয়ে  থাকেন  ইসলাম বিধান অনুযায়ী নারীকে বিয়ে করার সময় তাকে তার মোহর আদায় করার অনুমতি দিয়েছে।  স্বামীর উপর অপরিহার্য যে, সে যেন তার স্ত্রীর মোহর আদায় করে। তা নাহলে তার গুনা হবে এবং কেয়ামতের দিন তার সম্বন্ধে  তাকে প্রশ্ন করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে কিন্তু স্ত্রীর যদি ক্ষমা করে দেয়।  আমি  ক্ষমা করলাম তাহলে তার গুনহা হবে না  কারণ মোহর হল এমন একটা সম্পদ যেটার মালিক শুধু স্ত্রী হয়।  যতক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রী ক্ষমা করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত স্বামী রেহায় পাবে না।

কুরআন-   وَأتُوا النِّساءَ صَدَقاتِهُنَّ نَحْلَةً.

 এই আয়াতের  نحلة”  তাফসীরে  আলেমগণ বলেছেন এখানে তার মানে হল  স্ত্রীর মোহর এই মোহর হল স্বামীর উপরে ওয়াজিব। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি কোন নারীকে বিয়ে করলে, তার ওপর স্ত্রীর প্রতি মোহর ওয়াজিব হয়ে যায় সেটা হল স্ত্রীর অধিকার।  স্ত্রী অনুমতি ছাড়া স্বামীর কোন অধিকার নেই সেই মোহরের ব্যবহার করা।

কোন নারীর বিয়ে হলে তার সমস্ত ভরণপোষণ, তার স্বামীর উপরে ওয়াজিব হয়ে যায়  স্বামীর কর্তব্য যে, সে তার সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করে কারণ এটা স্ত্রীর অধিকার স্বামীর প্রতি কোরআন শরীফ বর্ণিত আছে 

وَ عَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهنَّ وِ كِسْوَتَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ

অর্থ-  হল সন্তানের পিতা মায়েদের ভরণপোষণ দেবে এবং যুক্তিসঙ্গত ভাবে পোশাক দেবে

স্বামীর ওপর অপরিহার্য যে, সে যেন তার সন্তানদের মাতাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দেয় এবং ভরণপোষণ দায়িত্ব তার ওপর। স্বামীর  উপর স্ত্রীর অধিকার গুলির মধ্যে আরেকটি হল যদি স্বামীর একের অধিক স্ত্রী থাকে তাহলে সমস্ত স্ত্রীর মধ্যে সমতা বজায় রাখা যে ক্ষেত্রে হোক না কেন যেমন রাতের ক্ষেত্রে, ভরণপোষণের ক্ষেত্রে , সমস্ত ন্যায়পরায়ণ ভাবে ও ন্যায্য ভাবে সবার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

স্বামীর উত্তম আচরণ স্ত্রীর প্রতি এটা স্বামীর উপর অপরিহার্য যে স্বামী অবশ্যই তার স্ত্রীর সাথে তার আচরণ ভালো করবে তার প্রতি নরম ভাবে প্রকাশ্য হতে হবে সদয় হতে হবে এবং তার প্রতি কিছু উপস্থাপন করতে হবে যাতে তার হৃদয় নরম হয়। কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে যে এবং তাদের সাথে সদয়ভাবে আচরণ কর।

কোরআন-  (সুরা নিসাঃ ১৪ )وَ عَاشِرُوهُنَّ بِالمعْرُوفِ.

হাদিস আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসুল সাঃ বলেছেন মহিলাদের উপদেশ দাও।    استوصوا بالنساء

এছাড়া আরো অনেক কোরআনের আয়াত এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরবাণী আছে যার দ্বারা বোঝা যায় যে ইসলামের নারীরা বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন ভাবে সম্মান পেয়েছে এবং তাদেরকে কতখানি অধিকার দিয়েছে যে অন্য কোন ধর্মে দেওয়া হয়নি।

মায়ের রূপে নারীদের অধিকার

    ইসলাম ধর্মে  নারীজাতিকে বিশেষভাবে  বিশেষ অধিকার প্রদান করেছে  বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের বিভিন্নরূপে অধিকার দিয়েছে।  তা থেকে সবথেকে বড় অধিকার হচ্ছে নারী যখন মায়ের রূপে আসে।  ইসলাম মায়ের অধিকার সবচেয়ে বেশি দিয়েছে।

হাদিস-  اَلْجَنّةُ تَحْتَ أَقْدامِ الْأُمَّهاتِ.

অর্থ- মাতার পদতলে সন্তানদের  জান্নাত

কোন সন্তান যদি মায়ের কথা মতো চলে, বৃদ্ধা কালে মায়ের সেবা করে , মায়ের খেয়াল রাখে এবং মায়ের রক্ষা করে,  তাহলে সে সন্তান মায়ের খেদমত করার কারণে এবং  মায়ের দেখাশোনার কারণে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাত খুলে দিবেন।  উক্ত হাদিস থেকে বোঝা গেল যে মায়ের বৃদ্ধকালে তাদের অবহেলা করা, তাদের দুঃখ দিয়ে কোন কর্ম করা , তাদের সাথে কুব্যবহার করা ,  তাদের অনুমতি ছাড়া কোন কর্ম করা এবং তাদের কথা অমান্য করে , তাহলে তা  মহাপাপ এরমধ্যে গণ্য হবে আর সবকিছু মেনে চললে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

কোরআন-  وَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَ قُلْ لَهُما قَوْلاً كَرِيْمًا

অর্থ- তোমরা কখনো তাদেরকে  (পিতা-মাতা)  উফ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিওনা  বরং তাদের সাথে সম্মানের সহিত কথা বল

আয়াত থেকে বোঝা গেল যে,  পিতামাতার প্রতি সন্তানদের কি রকম ব্যবহার করা উচিত  তাদের সাথে সর্বদা সদয় ভাবে আচরণ করতে হবে।  তাদেরকে সর্বদা খুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে।  তাদেরকে যখন উফ বলা নিষেধ আছে তাদেরকে সুআচরণ করা সন্তানদের উপর অপরিহার্য।  আর অনেক হাদিস আছে যা মায়ের অধিকার ও উপর উপকারিতা  বিশ্লেষণ করে  যেমন,

১) একদা এক ব্যক্তি নবী সাঃ-এর  কাছে এলেন  এবং জিজ্ঞেস করলেন  আমার সর্ব উত্তম আচরণের অধিকার কে ? রাসুল (সাঃ) বললেন- তোমার মা  সেই ব্যক্তি  আবার জিজ্ঞেস করলেন   ইয়া রাসুল,  তারপর?  রাসূল  (সাঃ) তারপরেও  বললেন তোমার মা  ব্যক্তিটি আবার জিজ্ঞেস করলেন।  তারপর ?  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-  তোমার মা  তারপর আবার জিজ্ঞেস করলেন।  তারপর?  তখন নবী সাল্লাল্লাহুসাল্লাম বললেন-  তোমার পিতা।  তাহলে এই  হাদিস থেকে বোঝা গেল যে,  সুআচরণের সবচেয়ে প্রথম অধিকার হচ্ছে মা।   তারপর পিতা।

২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইসাল্লাম -এর নিকট একজন ব্যক্তি এলেন এবং বললেন-  হে রাসুল,  আমি যুদ্ধ করতে চাই  আমি আপনার সাথে পরামর্শ করতে এসেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন।  তোমার কি মা জীবিত আছেন ?  সে বলল হ্যাঁ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইসাল্লাম  তুমি তোমার মায়ের সেবা করো।  কারণ স্বর্গ  তারপায়ের নিচে রয়েছে।

এই হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে ইসলামের জন্য শহীদ হওয়ার চেয়েও বেশি উপকার আছে মায়ের সেবা করলে। নারীদের অধিকার মায়ের রূপে।

মায়ের সমাধিকার খালা কেও দেওয়া হয়েছে কাউরির যদি মা না থেকে থাকে অর্থাৎ মারা গেছে তাহলে সে যেন তার খালার মায়ের বোনের সেবা করে তার দেখাশোনা করে মাকে সেবা করলে যে পূর্ণি পাওয়া যায় খালাকেও সেবা করলে পাওয়া যায়।

৩)  হাদিস শারিফে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর  নিকট এক ব্যক্তি  এলেন  তারপরে সে জিজ্ঞেস করলেন- হে রসুল আমি অনেক গুনহা করেছি, আমার জন্য কি কোন তওবা আছে? আমার জন্য কি কোন ক্ষমা আছে?  তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার কি মা জীবিত আছেন? সে বলল না জিজ্ঞেস করলেন।  তোমার কি মাসি জীবিত আছেন?  সে বলল হ্যাঁ  তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-  তার সাথে মায়ের মত। সুআচরণ করো 

৪) হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু সাহাবি কেরামেগণদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তখন মা হালিমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা সেখানে আগমন করলেন।  রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফট করে দাঁড়িয়ে তিনার চাদর মোবারকটি মা হালিমার পায়ের নীচে বিছিয়ে দিলেন। সাহাবীরা দেখে অবাক হয়ে গেলেন। সাহাবীরা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-  তিনি আমার দুধমা তিনি আমার মায়ের মতন আমি তাকে সম্মান করি।

কোরআন এবং হাদিসের মাধ্যমে বোঝা গেল ইসলাম নারীজাতিকে কতখানি অধিকার ও মর্য্যাদা দিয়েছে।   নারীরা  সন্তানরূপে  কোন পরিবারে এলে বরকত ও আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে আসে,   নারীরা স্ত্রীর রূপে এলে স্বামীর জন্য সুখ নিয়ে আসে এবং নারীরা আম্মারূপে এলে সন্তানের জান্নাত নিয়ে আসে  বোঝা গেল ইসলামধর্ম নারীদের বিশেষ অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter