আধুনিক আফগানিস্তানে অশান্তির জন্য কে দায়বদ্ধ ?
আমরা সবাই জানি যে আফগানিস্তানকে এশিয়া মহাদেশের হৃদয় বলা হয়, এ দেশের আঁকাশ ছোয়া উঁচু উঁচু পর্বত,কমল শীতল বায়ু,চতুস্পর্শে শ্যামল রঙের রাঙানির বিরাম বইছে,চাষাবাদের পক্ষে খুবেই উপযুক্ত মিরিত্ত্বিক, এক কোথায় এ যেন আল্লাহের নিজে হস্তে বানানো পৃথিবীর বুকে এক স্বর্গ। ভৌগোলিক দৃষ্টিনতরে দেশটি পাহাড়ি স্থলবেষ্টিত একটি দেশ, যার পূর্বে আর দক্ষিণে হলো পাকিস্তান ও ইরান, এবং পশ্চিমে তুর্কমেনিস্তান অবস্থিত, আর দক্ষিণ প্রান্তরে তাজিকিস্তান, এ ছাড়া আরো কিছু দেশের সীমা দ্বারা দেশটি বেষ্টন করা, যার কারণে প্ৰাচীন যুগ থেকেই আফগানিস্তানের প্রতি বিদেশি আক্ক্রমণর আবির্ভাব ঘটতে দেখা গিয়েছ। আফগান কথা অর্থ হলো পশতুনস্থান; বা পশতুন জাতিধারা জনগোষ্ঠীর বসবাস করার জায়গ। এখন সাধারণত তোমরা ভাবছো এই পশতুন করা ? কী তাদের ইতিহাস?
পশতুন-উদয়
আধুনিক আফগানিস্তানের কান্ধার শহর অঞ্চলের "লয়" এলাকায় বসবাস করতো "পাখতুন" ভাষী এক গোত্তর,তারা ছিল খুব উদার অন্তরের,তাদের মাঝে ছিল একতা, মানবতা এবং এক ওপারের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধ। সময় কাটতে থাকে ,দিন যাই রাত আসে, যুগের পরিবর্তন ঘটে, আর এদিকে এই জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি হতে থাকে, কান্ধার শহর ছাড়িয়ে তারা এখন পাকিস্তান, বালুচিস্তান,খাইবার শহরে প্রবেশ করে, এমন করে তাদের দৈনিক জীবন খুব সুন্দর কাটছিলো হটাৎ করে তাদের মধ্যে থেকে আবির্ভাব হয় এক নব সিংহের, এক পূর্ণ ক্ষমতাবান যুবক, যার ইশারায় সবাই ইশারা লিপ্ত, যার এদেশে সবাই "হ্ন" মানতে প্রস্তুন, তাকে আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্টাতা ও বলা হয়, সে এক "দুরানি" নামক নতুন সম্রাজ্য গঠন কর। তাকে আফগানী ইতিহাসে আহমদ শাহ দুররানি বা "বাবা" বলে শ্রদ্ধা করা হয়,কেননা সে ওই ব্যাক্তি যে পশতুন জাতি এবং ভাষা পুরো আফগান ভূমি তে প্রশস্ত কর। ১৭৪৭ থেকে ১৭২২ আহমদ শাহ আবদালি শাসক হন, তার উত্তরাধিকারী হয়ে পরে তৈমুর শাহ দুররানি রাজত্ব করেন, এমন করে মুহাম্মদ জাহির শাহ পর্যন্ত আবদালি বংশধর আফগানিস্তানের মাটিতে শাসন করেন, তিনি ছিলেন সর্ব দীর্ঘ কালীন শাসক, ১৭ জুলাই ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে দাউদ খানের মর্মান্তিক চক্করেন্তে তিনি ফেঁসে যান আর খুব শীঘ্রই ক্ষমতাচুত্য হন, আর জাহির শাহ আহমদ শাহ আব্দালির নিম্ন শেষ বংশধর হন এই রাজত্ব কালের।
ডুরান্ড লাইন আর দাউদ খান
দক্ষিণ এশিয়া প্রান্তে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমানা রেখা হিসাবে ২৬৭০ কিলোমিটার এক রেখা, যা ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে মুটেমের ডুরান্ড এবং আমির আব্দুর রহমান সহ তৎকালীন ভারত-পাকিস্তান কূটনীতিকগণ আফাগান-পাকিস্তান সীমানা রেখা টানে। কিন্তু এই বিষয় টি প্রসঙ্গনীয় যে আমির আব্দুর রহমান এই ডুরান্ড রেখেই বিশ্বাস রাখলেও ১৯৪৭ শাল থেকে কোনো আফগান সরকার ও পশতুন জনগণ কোনো মতেই এটি মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না আর আজ ও নেয়। বর্তমান আফগানিস্তানে পশতুন সংখ্যা ৪০-৫০%, বাকি কারজাক,বেরাজাক, শিয়া, উজবেক, ইত্যাদি. দাউদ খান আফগান রাজ্ পরিবারে ১৯০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি প্রচুর ক্ষমতাবান, চতুর আর দক্ষ পুরুষ ছিলেন,-তিনি যে পরিবারে যুক্ত ছিলেন তাদের "সর্দার" বলে ডাকা হতো-যার কারণে তাকে আফগান রাজতন্তেরের সেনা বাহিনীর উচ্চপদ প্রদান করা হয়। কিন্তু পরে এক সময়ে তিনি ১৯৭৩ আফগান মিলিটারি ক্রান্তি দ্বারা চাচাতো ভাই জাহির শাহ কে দেশ থেকে বিতাড়িত কোরে নিজেই দেশের প্রথম সভাপতি হন। কিন্তু প্রশ্ন হলো তিনি তো জেনারেল কমেন্ডের ছিলেন, ১০ বছর ধরে দেশের প্রধান মুন্ত্রী ছিলেন, একনিষ্টার সাথে রাজতন্ত্র র জনগণের সেবায় লিপ্ত ছিলেন, হটাৎ তিনি কেন এমন করলেন? কার সমর্থনে তিনি এতো বড়ো পদক্ষেপ নিলেন? কেন আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খলা শুরু করলেন?
সোভিয়েত ইউনিয়ন আর দাউদ খান
স্নায়ু যুদ্ধ (কোল্ড ওয়ার:১৯৪৭-১৯৯১);মানে রক্তপাতহীন যুদ্ধ,আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিযোগীতার যুদ্ধ,
এক দেশ অন্য দেশকে তাওক্কা দিয়া উন্নতি করে যাবে বিনা কোনো মারপিট,হানাহানি,বোমাবাজি, ও গুলীগল্লা ছাড়া।এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন,মার্কিন রাষ্ট্র,মিশর,ইউরোপ, এবং অন্য অন্য দেশ,কিন্তু এই লড়ায়ে প্রমুখ হেয় সামনে আসে মার্কিন রাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন.এই লড়ায়ে জয়ী হওয়ার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন এক নব কৌশল করে, যেটি খুব শীঘ্রই মার্কিন রাষ্ট্র বুঝে যাই, আর তাই আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখল শেষ হতে না হতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ দেখা দেয়। যাইহোক সোভিয়েত ইউনিয়ন এখন আফগান প্রধান মুন্ত্রী দাউদ খানের সঙ্গে চুক্তি করে তৎকালীন শাসক জাহির শাহর বৃদ্ধে উস্কে দেয়,যার ফলে ১৯৭৩ সালে "কোপ ড'ইট" কেরান্তি করে দাউদ খান চাচাতো ভাই জাহির শাহের সঙ্গে বেঈমানী করে এবং তাকে ক্ষমতাচুত্য করে দেশ থেকে নির্বাসিত করেন । এরপর দাউদ খান সোভিয়েত মিত্রের সাহায্যে ১৯৪৭ সালে হিজবু ইনকিলাবে মিল্লি (ন্যাশনাল রেবুলেশন পার্টি;নরপি) নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন,এবং রাজতন্ত্র ভেঙে প্রজাতান্ত্রিক দেশ গোড়ে তোলার ঘোষণা করেন,তারপর আফানিস্তানে ১৯ শতাব্দীর প্রথম গণতান্ত্রিক ভোট হয় যাতে এন,আর,পি পার্টি অধিকাংশ ভোটে বিজয়ী লাভ করে,অতপর তিনি প্রজাতান্ত্রিক আফগানিস্তানের সর্ব প্রথম সভাপতি হন।
মজার বিষয় হলো তিনি নিজেই ১৯৭৮ সোভিয়েত মিত্র দের হাতে নিহত হন,এই কারণে যে তিনি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে দুরাইন্ড সীমা রেখার বিষয়টির সম্পূর্ণ সমাধান চাইছিলেন, ওদিকে পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টু ও একমত পোষণ করেন কিন্তু সমেস্যা হলো কোনো মতে আফগানী জনগণ ও ইসলামী সংগঠন তা মেনে নিতে রাজি ছিল না,অতপর দাউদ খান নিজের মান রাখতে ইসলামী সংগঠনের সমর্থনে রাজি হন, আর তখন থেকে শুরু হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং দাউদ খানের মধ্যে মনোবিচ্ছিন্ন,তাই ঠিক সময় অনুযায়ী ১৯৭৮ এ সোভিয়েত ইউনিয়ন দাউদ খানকে নিহত করে হত্যা করে। যার ফলে শুরু হয় মর্মান্তিক লড়ায়,তুমুল ঝগড়া,পার্টি নেতাদের মধ্যে খুনোখুনি,সে যেন এক কুস্তি ময়দান,আর এই সুযোগ বুঝে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ এ হানা দেয় আফগানিস্তানের উপরে।
নিজের মান রাখতে ইসলামী সংগঠনের সমর্থনে রাজি হন, আর তখন থেকে শুরু হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং দাউদ খানের মধ্যে মনোবিচ্ছিন্ন,তাই ঠিক সময় অনুযায়ী ১৯৭৮ এ সোভিয়েত ইউনিয়ন দাউদ খানকে নিহত করে হত্যা করে। যার ফলে শুরু হয় মর্মান্তিক লড়ায়,তুমুল ঝগড়া,পার্টি নেতাদের মধ্যে খুনোখুনি,সে যেন এক কুস্তি ময়দান,আর এই সুযোগ বুঝে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ এ হানা দেয় আফগানিস্তানের উপরে। বারাক কার্মাল নামক এক সোভিয়েত বিপ্লবী হয় দেশের পরবর্তী সভাপতি, এমন অবস্থায় হালাত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু সোভিয়েত সেনা আমুদরিয়া নদীর নিকটে অবস্থান করে আর কিছু আফগানিস্তানের অভান্ত সীমায় তাদের বিরোধীগণের প্রতি অত্যাচার করে। আফগান জনসাধারণ,ইসলামী সংগঠন এবং তালিবান সোভিয়েত শক্তি শুরু থেকেই সোভিয়েত সোভিয়েতর বিরোধিতা করে, যার কারণে ১৯৮৯ সোভিয়েত ইউনিয়ন অর্ধ তন্ন ভন্ন আফগানিস্তান করে ফিরে যায়,ছেড়ে যায় বিধস্ত ঘরবাড়ি, উপাসনাস্থান,আকাশ ছোয়া সুন্দর সুন্দর দালান কোঠা এবং দিশাহারা মানুষ জন।
তালিবান ও মার্কিন রাষ্ট্র
সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন শূন্য হাতে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাই, তখন আমেরিকার চোখে আফগানিস্থান, সোভিয়েতের হানাহানি ও দাঙ্গাবাজি সম্পূর্ণ আকারে মুছে দিয়ে মানুষের দুয়ারে শান্তি এনে দেবে আমেরিকা, দাবি জানিয়ে,অতি কৌশলে দেশের দিকে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে, আমেরিকার মতো স্বার্থবাদী হটাৎ এক মুসলিম দেশের প্রতি এত উদার কোনো হলো? শুধু কি কোল্ড ওয়ার বিজয়ীর জন্য খুব মায়া দেখাচ্ছে তারা? না এছাড়া অন্দর মহলে আছে অন্য কোনো রহস্য?
তালিবান শব্দের অর্থ হলো শিক্ষার্থী, ১৯৯৪ এ মুল্লা ওমর, আর আব্দুল ঘানি ব্রাদার নেতৃত্বে তালিবান নামক এক সংগঠন তৈরী হয়,যার মূলত উদেশ্য এক ইসলামী রাষ্ট্র,যার সংবিধান হবে কোরান ও হাদিস, দেশের উন্নতি,শান্তি, পুরো বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকারের একনিষ্ঠ ধ্বনি, অত্যাচারিত ও পীড়িত মানুষের স্বার্থে প্রাণের পরোয়া ছাড়া লোড়ে যাবে তারা,এবং আর্থিক অবনতির জন্য পশতুন জাতির রাজত্ব;সহজ ভাষায় বলতে গেলে তালিবান পশতুন গোত্র থেকে সংযুক্ত ছিল,তাই তাদের ইচ্ছা আফগানিস্তানে পশতুন কবিলার প্রাথী ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই জন্য তালিবান প্রথমত সোভিয়েতর বিপক্ষে লড়াই করে এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করে,অন্য দিকে যারা দেশে থেকে বিদেশী শক্তির গান গাইতো তাদের সাথে ও মারামারি করে, আর এই ভাবে খুব স্বল্প সময়ে তারা কান্ধার ও কাবুল শহর দখল করে।
একদিকে আমেরিকা তালেবানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার হুমকি দেয় অন্য দিকে যুদ্ধের জন্য বন্দুক ,বোমা ,ইত্যাদি যুদ্ধের হাতিয়ার অতি যত্ন সহকারে তালিবান পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এ কেমন প্রজ্ঞা, মুখে হাসি ও মনে কালী, আসলে কি তারা আফগানিস্তানে উঠা অশান্তির ঝড় থামতে চায়? না কখনোই না, সূর্য কিরণের নৈ এ খবর সবাই জানে যে, আমেরিকা হলো বিশ্বের সব থেকে বৃহত্ব হাতিয়ার সরবারহ কেন্দ্র, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যুদ্ধ হোক না কেন, মার্কিন রাষ্ট্র তথা উপস্থিত হবেই, কেন না তাদের প্রয়জন প্রচুর অর্থের , নিশ সন্দেহে তারা অতি লোভী, তা না হলে নিজের ভালোর জন্য কখনোই অন্যের ক্ষতি করতো না তারা। সামনে হাঁসি মুখে মারামারি ও হানাহানি করার জন্য সরবারহ করবে বৃহৎ ভয়ঙ্কর হাতিয়ার,ফলে উপার্জন করবে অত্যাধিক মুনাফা,ওদিকে আবার পিছু থেকে করে যাবে নিন্দা ও বদনাম আর বিশ্বের সামনে দেখাবে তারা কত ভালো একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা, তারা কত দয়াশীল,খুব উদারশীল,আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো অত্যাচার ও অবিচার হলে তারা যাই সবার আগে ছুটে, তাই সবাই তাদের পক্ষে বাঁশি বাজাক, এটাই তারা চায়।
সোভিয়েত দেশ ছাড়ার পরে আমেরিকা আফগানিস্তানের দিকে হস্তক্ষেপ করে,নিশ্চই কেউ উন্মাদ হবে যে কষ্টের উপার্জনের অংশ বিনা স্বার্থে অন্য জন কে দিতে চাইবে, আর মার্কিন রাষ্ট্র তালিবান হইতে এই আশায় করেছিল, তালিবান যখন আমেরিকার দাবি মানতে রাজি হলো না, তখন তারা তালিবানের প্রতি রোজ কী রোজ চালাতে থাকে চুপি নির্যাতন,কখনো আর্থিক সংলঘ্ন ঘটিয়ে তো আবার কখনো অত্যাচার ও জুলুম করে। কিন্তু তালেবান কভু তাদের ভয় পায় না,তারা সর্ব বাধা,দ্বিধা,ভেঙে চুরমার করে লক্ষের দিকে এগুতে থাকে,আমেরিকা যখন বুঝে যায় তারা কোনো প্রকারে তালিবান কে হেনস্থা করতে পারবে না,তখন নতুন ষড়যন্ত্রের সিন্ধান্ত নেয়।৯/১১ উসামা বিন লাদেন আমেরিকার প্রতি আক্ক্রমণ করে , কেনো না তার আগে আমেরিকা মুসলিম দেশ ও সাদ্দাম হুসাইনের সঙ্গে প্রকাশ রূপে দুর্ব্যবহার করতো,উসামা বিন লাদেন তখন আফগানিস্তানে অবস্থান করতো, আমেরিকা প্রতিশোদের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে উসামার বাসস্থানের খবর পেয়ে যায়, সুযোগ বুঝে এক তীরে দুই শিকার করলো তারা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তালিবান ও ইসলাম বদনাম হয়, তাদের পদস্থলে পোড়ে থাকা বি বি সি মিডিয়া দ্বারা ইসলামের ভুল প্রচার ও প্রসার করে,ইসলামের মূল অর্থ সন্ত্রাসী,জেহাদ মানে মারামারি ও রক্তের লীলাখেলা, এমন ধরণের কূ মন্তব্য করে ইসলাম ধর্ম ও তালেবানের বিষয়ে,ওদিকে উসামা হয়ে উঠে বিশ্বের সেরা সন্ত্রাস গুরু তাই আমেরিকা তাকে ধরার তাগিদে আফগানিস্তানের প্রতি হামলা করে,উসামা কে হত্যা করে,২০০১সালে তালিবান নেতা মুল্লা ওমর কারাগারবন্দি হয়,তালিবান সমর্থকের প্রতি করা হয় নিরহ অত্যাচার, শুরু হয় র এক রক্তের হোলি খেলা।
এই অবস্থার জন্য দায়ী কারা?
এতো অত্যাচারের পরে ও তালিবান মার্কিন রাষ্ট্রের সামনে মাথা নত করেনি, তাদের অন্তরে মহান আল্লাহর ভয়,জিহ্বায় কলেমা শাহাদাত,কথায় যেন তাদের হুঙ্কার,চলাফেরা ইঙ্গিত দেয়,যে তারা প্রাণ দিতে প্রস্তুত,কিন্তু শির শুধু এক খোদার সম্মুখে নত করবে। ওদিকে আমেরিকা বিশ্বের কাছে ভালো হয়,ফিরিয়ে আনে গণতান্ত্রিক সংবিধান,ইসলামী পরিভাষা,সভত্তা,চলা ফেরা সম্পূর্ণ রূপে পরিবর্তন শীল করে তোলে,দেশের জনগণকে স্বপ্ন দেখায় নোংরা আমেরিকা সংস্কৃতির, যেখানে নারী স্বাধীনতার তাদের নগ্ন করার প্রয়াস চলে,নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার করা হয় সীমাহীন পরিমানে,যেমন ওপিয়াম ড্রাগের বেবসা যা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশি আফগানিস্তানে পাওয়া যায়।
এদিকে দীর্গ ২০বছর পর তালিবান আবার ২০২১ সত্তায় ফিরে আসে,দেশের ৯০% তাদের আয়ত্তে করে,তালিবানের এমন প্রত্যাবর্তন দেখে আমেরিকার পিপাসীত হয়ে যায়,তারা কখনই কল্পনা করিনি, তাদের হাতিয়ার ব্যাবসার মুনাফা অনুযায়ী আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ করা মার্কিন বাহিনির উপরে খরচ হয় কোটি কোটি ডলার,তাই ৯/১১ ঘটনার উপরে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে,আর মার্কিন রাষ্ট্র বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়।
মার্কিন রাষ্ট্র ও সোভিয়েতর মতো দীর্ঘ সময় ধরে উন্নতির নামে মুনাফা কমায়, ফিরে যায় তন্ন ভন্ন আফগানিস্তান করে,তালিবান ক্ষমতায় আসার পর ইসলামী নিয়ম জারি করে,পুরুষ ও মহিলা ইসলামী পরিধানে পরিপাটি করার আদেশ দেয়, তন্নো ভন্ন দেশটি পুরিপূর্ণ রূপে গড়ে তোলার চেষ্টা করে,আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়,তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ কেন্দ্রের কাছে হাত বাড়ায় কিন্তু তারা সন্ত্রাস বলে দাবি করে তালিবকে সাহায্য করে না,অতি পরে ধীরে ধীরে তালিবান দেশের উন্নতির দিকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই অবস্থার জন্য করা দায়বদ্ধ? কোনো সুস্থ-মস্তিক বেক্তি বলবেন মার্কিন রাষ্ট্র এবিং সোভিয়েত ইউনিয়ন দায়ী,কেননা তারা যুদ্ধ জেতার জন্য এই দেশের দিকে হস্তক্ষেপ করে,পরে শুরু করে মারামারি,দাঙ্গা,লড়াই শুধু এই না তার সাথে ইসলামী দেশ থেকে শেষ করে ইসলামী পরিভাষা ও পরিচর্চা। তালেবান শুধুমাত্র এই জিনিসগুলির বিরোধিতা করে যেমন শান্তি পূর্ণ ইসলামী রাজ্যত্ব ছিল তেমন করার চেষ্টা করে,এটাই কি তাদের দোষ। আপনি যেমন চিন্তা ভাবনার হন না কেন, জীবনের কিছুক্ষন ভাববেন তালেবান কে নিয়ে, বিচার করুন বিবেক দিয়ে সত্যি কি তারা সন্ত্রাস, যেমন নামে মিডিয়া আপনার পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে তারা কী তেমন,দেখবেন আপনি উত্তর পাবেন না তারা কখনো তেমন না।