বিশ্বকে আধুনিক শিক্ষার পথ দেখিয়েছিলেন যে মুসলিম মনীষীরা এবং তাদের অমুল্য অবদান

আজ দুনিয়া ইসলামকে ও মুসলমানদের একটি অতি অসভ্য ও পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে অভিহিত করে। যেহেতু আজকের মুসলিমরা নিজের মর্যাদা ধরে রাখতে অক্ষম ও অসফল হয়েছে। কিন্তু এই মুসলমানের বাপ দাদারাই ছিলেন আসল সভ্যতা ও উন্নতির পথ প্রদর্শনকারী। আজকের যেসব অতিউন্নত যন্ত্র পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সামনে প্রকট করে তার আসল আবিষ্কারক তো আসলে ছিলেন তাঁরাই। ইতিহাসের প্রত্যেক ছাত্রের কাছে পরিচিত, যে জ্ঞানে, গরিমায়, শিক্ষায়, সভ্যতায়, ইবাদতে, উপাসনায়, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, কাব্যে, সাহিত্যে, শিল্পে, বানিজ্যে, বিজ্ঞানে, দর্শনে, ধর্মে, কর্মে, ত্যাগে, তিতিক্ষায়, মহানুভবতায়, পরোপকারিতায় শৌর্যে, বীর্যে ও চরিত্র মাধুর্যে মুসলমান জাতিই দুনিয়ার শীর্ষস্থান অধিকার করেছিল। 

প্রিয় নবীর (সঃ) পর মাত্র এক শতাব্দীর মধ্যে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে তারা ইসলামের সুমহান আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিল। মদিনা, কুফা, বসরা, দামেস্ক, বাগদাদ, কর্ডোভা, সেভিল, গ্রানাডা, সমরখান্দ ও ইস্পাহান শহরগুলিকে ব্যাবসা, বাণিজ্য, পার্থিব সম্পদ, আর শিক্ষা, সভ্যতা, তাহযিব ও তামাদ্দুনের কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছিল। বিভিন্ন দেশ হতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ জ্ঞান পিপাসু, লক্ষ লক্ষ জ্ঞানের সন্ধানী উচ্চ সিক্ষা লাভের জন্য মুসলমানদের কাছেই ছুটে যেতো। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশও নেই যে সারা দুনিয়া মুসলমানদের কাছে ঋণী। 

সুবিখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত আলকিন্দি দর্শন শাস্ত্রের গোড়াপত্তন করেছিলেন। তিনি দর্শন, চিকিৎসা, অঙ্কশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, রাজনীতি ও ভাষাতত্ত্ব সম্পর্কে দুশো পঁয়ষট্টিখানা অতি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এবং বারো শতকের টমাস আকুইনাস পর্যন্ত ইউরোপের উপর একাধিপত্য বিস্তার করতে সমর্থ হয়েছিলেন। 

মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া একজন শ্রেষ্ঠ রসায়ন বিশারদ ছিলেন। তিনি হিরাকসকে শোধন করে গন্ধব-দ্রাবক তুঁতিয়া প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি কৃত্রিম উপায়ে বরফ তৈরি করে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন। তিনি আলকেমি বিষয়ে কিতাবুল আসরার নামে অতি মূল্যবান গ্রন্থের রচনা করেছিলেন। মিস্টার জিরার্ড সাহেব ল্যাটিন ভাষায় এই মূল্যবান গ্রন্থের অনুবাদ করেছিলেন এবং তা রসায়ন শাস্ত্রের প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসাবে সারা ইউরোপের পাঠ্যপুস্তক ছিল। তিনি দুশো খানা গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। হাম ও বসন্ত রোগ সম্বন্ধে বিস্তৃত বিজ্ঞান সম্মত আলোচনাপূর্ণ আলজুদারি অয়াল হাসবাহ নামক গ্রন্থখানা তাঁরই লেখা। ল্যাটিন ও ইউরোপীয় সকল ভাষাতেই এই গ্রন্থের তরজমা প্রকাশ পেয়েছিল। দেখা গেছে শুধু ইংরেজি ভাষাতেই ১৪৯৮ থেকে ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত চল্লিশবার এই কিতাবের তরজমা মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছিল। 

এ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায়, পশ্চিমা বিশ্ব হাম ও বসন্ত রোগের বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে চিকিৎসার ব্যাপারে মুসলমানদের কাছেই ঋণী। মুহাম্মদ ইবনু জাকারিয়া দশখন্ডে সমাপ্ত আর একখানা বিরাট গ্রন্থ রচনা করেছিলে, তার নাম কিতাবুল মান্সুরি। পনর শতকের অষ্টম পদে মিলান শহরে এই গ্রন্থের ফার্সি জার্মান সংস্করণও হয়েছিল, যার নাম ‘আল হাবি’। এই গ্রন্থে সর্বপ্রকার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাসহ চিকিৎসার প্রণালী ও ওষুধের ব্যবস্থা ছিল।  বলাবাহুল্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে এই কিতাবখানা ইউরোপীয় চিন্তারাজ্যে অসামান্য প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়েছিল। সিসিলির রাজা প্রথম চার্লস এই সুবৃহৎ গ্রন্থের বিশেষ যত্ন নিয়েছিল এবং ষোল শতক পর্যন্ত সারা ইউরোপের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পুস্তকখানি বিশেষ পাঠ্য ছিল। 

মুসলমানদের কাছে অস্ত্র চিকিৎসার ব্যাপারে সারা ইউরোপ ঋণী। শুধু ইউরোপই নয়, সারা জগতকে আবুল কাসেম আল জাহবি তাঁর আশ্চর্য দক্ষতা দেখিয়েছেন। তিনি কর্ডোভার বিখ্যাত হাস্পাতালের শ্রেষ্ঠতম অস্ত্রচিকিৎসা বিশারদ ও প্রধান চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর কাছে বিশ্বের দুরারোগ্য রোগীরা আরোগ্য লাভের আশায় ছুটে যেত। খৃস্টান, ইহুদী, মিশরি, আরবি, আজমি ও মরক্কোবাসী শিক্ষার্থীরা শিক্ষালাভের আশায় তাঁর বাড়ীতে ভিড় জমাতো। নাকের ছিদ্রে ওষুধ দেওয়ার যন্ত্র, দাঁতের গোঁড়া পরিষ্কার করার যন্ত্র, দাঁতের গোঁড়ার গোশ্ত কাটার যন্ত্র, চোখের ছানি অস্ত্র করার যন্ত্র, অন্ধচক্ষু চিকিৎসা করার যন্ত্র, চোখের পলকের গোশ্ত কাটার যন্ত্র, শরীরের যে কোন অংশের বর্ধিত গোশ্ত চেঁছে ফেলার যন্ত্র, তীর বের করার যন্ত্র, মূত্রনালির পাথর বের করার যন্ত্র, ভাঙ্গা হাড় বের করার যন্ত্র, জরায়ুর মুখ প্রশস্ত করার যন্ত্র, মৃত ভ্রূণকে বের করার দুরকম যন্ত্র, মৃত ভ্রূণের অঙ্গচ্ছেদ করার যন্ত্র ও সাধারণ চিকিৎসার বহু রকমের যন্ত্র তিনি আবিষ্কার করে দুনিয়ার প্রভুত কল্যাণ সাধন করে গেছেন। 

রসায়ন শাস্ত্রের জন্মদাতা হচ্ছে এই মুসলমান। ধাতু সম্পর্কে জাবের ইবনু হাইয়ানের মৌলিক মতামত আঠার শতক পর্যন্ত ইউরোপের রসায়ন শিক্ষায় বিনা দ্বিধায় গৃহীত হতো। পাতন, ঊর্ধ্বপাতন, পরিস্রবণ, দ্রবণ, কেলাসন, ভস্মীকরণ, বাষ্পীকরণ, ও গলানো প্রভৃতি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার আবিষ্কার তাঁরই দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। তিনি ইস্পাত তৈরির প্রণালী, ধাতুর শোধন প্রণালী, তরল ও বাষ্পীকরণ প্রণালী শিক্ষা দিয়েছিলেন। চুলের নানারকম কলপ, লোহার মরিচা রোধক বার্নিশ, চামড়ার বার্নিশ, ওয়াটার প্রুফের বার্নিশ, নাইট্রিক এসিড, আর্সেনিক, এন্টিমনি, সিল্ভার নাইট্রেড, কিউরিক ক্লোরাইড, পটাস, সোডা, বিভিন্ন রকমের গন্ধক, লিভার অফ সালফার, মিল্ক অফ সালফার, ভিট্রিয়ল, সল্ট আমোনিক, সল্টপিটার ও লেড এসিটেড প্রভৃতির আবিষ্কার তিনিই সর্বপ্রথম করেছিলেন। শুধু জাবের ইবনু হাইয়ানই নন। আল ফারাবি, ইবনে সিনা, আল বিরুনি, আল গাজ্জালি, ইবনে বাজা ও ইবনে রুশদের মত দর্শন, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও প্রকৃতি বিজ্ঞানের চরমোৎকর্ষ সাধনকারী মুসলিম মনীষীগণ পৃথিবীর অসামান্য প্রতিভা।

মুসলিম মনীষী মুসা আল খারেজমি বহু অবদান রেখে গেছে। তিনি সৌরমণ্ডল ও জ্যোতির্মণ্ডল সম্নন্ধে গবেষণা করে পৃথিবীর জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। অঙ্কশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিদ্যার নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণায় ও সাধনায় তাঁর সারা জীবন কেটেছিল। সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র তিনিই এঁকেছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম ডিগ্রীর মাপে পৃথিবীর ব্যাস ও পরিধি নিরূপণ করেছিলেন। পরবর্তীযুগে ইউরোপের গবেষণাকারীরা মুসা আল খারেজমির এই গবেষণাকেই তাদের গবেষণার মুল ভিত্তিরূপে গ্রহন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বীজগণিতের জন্মদাতা ছিলেন তিনিই। তাঁর ‘আল-জবর’ নামক বীজগণিতের মৌলিক গ্রন্থ হতে ইউরোপীয় এলজেব্রা শব্দটি চয়ন করা হয়েছে। দ্বাদশ শতাব্দীতে মিস্টার জিরার্ড ল্যাটিন ভাষায় এই ‘আল-জবর’ গ্রন্থখানির অনুবাদ প্রকাশ করেন। বলাবাহুল্য, এই অনুবাদখানা ষষ্ঠদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বীজগণিতের প্রধান ও প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি একখানা বিরাট বীজগণিত প্রণয়ন করেছিলেন। তাছাড়া আল বাত্তানি, আল ফারগানি, আল বিরুনি, ওমর খৈয়ামনাসিরুদ্দিন তুসির মত মুসলিম মনীষীগণ জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতশাস্ত্রে মানুষের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে গেছেন।   

সমাজ বিজ্ঞান ও ইতিহাস শাস্ত্রে মুসলমানদের কাছে দুনিয়াবাসী ঋণী। বিখ্যাত মুলিম মনীষী ইবনে খালদুন সমাজ বিজ্ঞান ও ইতিহাস শাস্ত্রের আবিষ্কারক ছিলেন। তিনি যেসব গ্রন্থ লিখে গেছেন, তার মধ্যে ‘কুতাবুল ইবার অয়া দিওয়ানুল মুবতাদা’ নামক ইতিহাস গ্রন্থখানা তাঁর বিরাট কীর্তি। তিনি তাঁর এই পুস্তকে মানবীয় জীবন যাত্রার প্রণালী ও রীতিনীতি উদ্ভাবনে আর সামাজিক ও রাষ্ট্রিক রুপায়নে বর্ণের প্রভাব, আবহাওয়ার প্রভাব ও প্রাকৃতিক উৎপন্ন দ্রব্যের প্রভাব কিভাবে প্রতিফলিত হয়, তাঁর বিজ্ঞান সম্মত বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। তিনি ইংরেজ বিজ্ঞানী বাকলের পথপ্রদর্শক ছিলেন। ইবনু খালদুন সমাজতত্ত্বের মূল সূত্র আবিষ্কার করে, ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহকে বিচার করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে ইতিহাস দর্শনের সৃষ্টি করে গেছেন। ভূগোলে, খগোলে, অর্থনীতিতে শিক্ষা বিজ্ঞানেও তাঁর আশ্চর্য দখল ছিল। কেবলমাত্র ইবনে খালদুনই নন, বলাজুরির মত, হামদানির মত, আল বিরুনির মত, আত তাবারির মত, আল মাসুদির মত, ইবনে হজমের মত, ইবনুল আসিরের মত, ইবনুল খালকানের মত ও শাহ অলিউল্লাহর মত শত শত বিশ্ব বিশ্রুত মুসলিম ঐতিহাসিকের অবদানে মানব ইতিহাস সমৃদ্ধ ও উন্নত হয়েছে।

মুসলিম বৈজ্ঞানিক আবুল হাসান সর্বপ্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যাকে তাঁর নিজের ভাষায় দুই প্রান্তে দুই লেন্স বিশিষ্ট একটি চোং বলা চলে। এই চোংগুলিরই উন্নততর সংস্করণ মারাগা ও কায়রোতে পরম সাফল্যের সাথে ব্যাবহার করা হয়েছিল। ‘আবুল হাসান’‘আলি ইবনু আমাজুর’ এই দুই বৈজ্ঞানিক সর্বপ্রথম চন্দ্র সম্বন্ধে গবেষণায় প্রসিদ্ধিলাভ করেছিলেন। 

আজিজ বিল্লাহহাকিম বি আম্রিল্লাহের রাজত্বকালে কায়রোতে ইবনু ইউনুস নামে এক মহামনীষীর আবির্ভাব ঘটেছিল। তিনিই সর্বপ্রথম পেন্ডুলাম আবিষ্কার করে তার দোলনের সাহায্যে সময় নিরূপণ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তিনি ‘জিয়াউল আকবর’ নামে একখানা মূল্যবান গ্রন্থের লেখক। জ্যোতিষী কবি ওমর খৈয়ম ফার্সি ভাষায় এই গ্রন্থের অনুবাদ করেছিলেন। বলাবাহুল্য এই গ্রন্থখানাই ক্রাইস্থ কক্কাসের বাগজালের ভিতর দিয়ে গ্রীকদের মধ্যে প্রসার লাভ করেছিল আর চচৌকিং এর জ্যোতিষ শাস্ত্রের ভিতর দিয়ে চীনাদের মধ্যে প্রচারিত হয়েছিল। আমরা যাকে চীনের প্রাচীন সভ্যতা বলে দেখতে পাই, আসলে তা মুসলমানদের জ্ঞানলোক বর্তিকা থেকে ধার করা স্ফুলিঙ্গ মাত্র। 

আগ্রার তাজমহল, জেরুজালেমের ওমরের মসজিদ, ইস্তাম্বুলের সেন্টসোফিয়া মসজিদ, কর্ডোভার মসজিদ, স্পেনের আলহাম্রা, দিল্লির দেওয়ানে আম, দেওয়ানে খাস, মতিমসজিদ, জামে মসজিদ প্রভৃতি তৈরি করে মুসলমানেরাই স্থাপত্য শিল্পে জগতের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। এদেশের প্রায় হাজার বছরের ইতিহাস মুসলমানরাই তৈরি করেছে। পানি পথের প্রথম যুদ্ধে কামান ব্যবহার করে মুসলমানরাই দুনিয়াবাসীকে কামান ও বারুদের ব্যবহার শিখিয়েছে। গ্রান্ডট্রাঙ্ক রোড তৈরি করে এ জাতিই রাস্তা নির্মাণের আদর্শ দেখিয়েছে। ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করে এ জাতিই ডাক বিভাগের সূত্রপাত করেছে। 

উপসংহারে বলা যায় পশ্চিমা জাতিরা বা দেশগুলি যেভাবে নিজেদের আধুনিকতার ও উন্নতির পিতা ঘোষিত করে এবং মুসলিম এবং অন্যান্য জাতিদের যেভাবে কোণঠাসা করে দেয়। এই কাজটা তাদের মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয়। যেহেতু ইতিহাস তুলে ধরলে আমরা দেখতে মুসলমান কোনদিক দিয়েই তাদের থেকে পিছিয়ে ছিলোনা। বরং মুসলমানদের শিক্ষা নিয়েই তারা আজ এত উন্নত ও অসভ্য হয়েছে। কিন্তু মুসলমান উন্নত হয়েও সভ্য ছিল। তবে আজকের মুসলমান নিজেদের উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা নিজেদেরই কর্মদোষে হারিয়ে ফেলেছে। তাদের উচিত যেন তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস তুলে দেখে তারা কেমন ছিলেন এবং তাদের অনুসরণ অবিলম্বে শুরু করে। তবেই তারা তাদের উপযুক্ত মর্যাদাসম্পন্ন স্থানে পৌঁছতে পারবে। আল্লাহ আমাদের তৌফিক প্রদান করুন। আমিন।। 

তথ্যসুত্রঃ

  • মৌলানা আবু তাহের বর্ধমানী, “অধঃপতনের অতল তলে”। প্রকাশনায়ঃ আল-ইসলাম রিসার্চ সেন্টার, ২২১, বংশাল রোড, ধাকা-১১০০। ২০০১ আগস্ট।  

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter