অহংকার জান্নাত থেকে বিরত রাখার কারণ
যার অন্তরে তিল পরিমাণও অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা । আর যার অন্তরে তিল পরিমাণও ঈমান আছে সে দোযখে(অনন্তকালের মত) যাবে না । বর্তমান সময়ে একটি ভয়ংকার রোগ হচ্ছে ক্যান্সার, সেই ভয়ংকার রোগও অনেকের ভাল হয়ে যায়। কিন্ত আহংকার এমন একটি রোগ, মানুষ মনেই করে না যে তার মধ্যে অহংকার আছে ,তাহলে চিকিৎসার কথা ভাববে কে ? অহংকার থেকে মুক্ত থাকতে হলে কি করতে হবে সে পথও দিয়েছে আমাদেরকে পবিত্র কুরআন । সে পথ হল ' শোকর'। ও সবকিছুই আল্লাহর নিয়ামত বলে মনে-প্রানে যে স্বীকার করবে, তার কাছে অহংকার কোনদিনই থাকতে পারে না। 
আপনাদের মনে এ প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে  যে অহংকার কি ? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে , কোন  বিষয়ে নিজেকে বড়ো মনে করে অন্য মানুষকে তুচ্ছ মনে করার নামই অহংকার । শক্তিতে সামর্থ্যে ,অভিজ্ঞতায় ইত্যাদি কাউকে তাচ্ছিল্য করা, গরীব বলে কাউকে হেয় করা। সৃষ্টি জগতের প্রথম মানব আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর ,আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের আদেশ করেছিলেন যে তারা যেন আদম কে সেজদা করে। সকল ফেরেস্তা সেজদায় লুটিয়ে পড়ে-এই হল ফেরেস্তাদের পরিচয় তাদেরকে যা আদেশ করা হয় সেটাই তারা করে। কিন্তু ফেরেস্তাদের মাঝে বেড়ে ওঠা শয়তান ইবলীস সে আগুনের তৈরি বলে মাটির তৈরি মানুষকে সেজদা করতে সংকোচ জানাল এবং অহংকার করল । আর সে কাফেরদের অনুভুক্ত হয়ে গেল । এই হল  অহংকার। এই অহংকারের কারনে শয়তান আভিশপ্ত হল, জান্নাত থেকে বিতাড়িত হল, মানুষের শত্রুতার ঘোষণা দিয়ে পৃথিবীতে এল।
 আল্লাহ তায়ালার প্রতি যার বিশ্বাস নেয়, পরকালের প্রতি যার বিশ্বাস নেয়, অহংকার তো কেবল তারাই করতে পারে। অহংকারীকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করে না,  অহংকারী ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পাবে না । জান্নাতে যেতে হলে আল্লাহ তায়ালার কাছে উপস্থিত হতে হবে, অহংকার মুক্ত হয়ে।   আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে অহংকার থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক আমিন…..!

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter