হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বহুবিবাহ এবং অমুসলিমদের আরোপ: একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা
ভূমিকা
মানুষের বুদ্ধি আল্লাহ প্রদত্ত একটি বিস্ময়কর উপহার, যা মানুষকে সত্য ও নির্দেশনা অর্জনের সুযোগ করে দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে পক্ষপাতদুষ্ট ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিকূল মানসিকতা একজন ব্যক্তির বুদ্ধিকে অকেজো করে গ্রাস করে ফেলে। সেক্ষেত্রে, কোনো কিছু দিনের বেলায় সূর্যের আলোর মতো পরিষ্কার হলেও তার কাছে সেইটি বোঝা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তথাকথিত পশ্চিমা গবেষকরা ‘প্রাচ্যবিদরা’ এবং কিছু অমুসলিমরা নবীর বিশুদ্ধ চরিত্রকে লক্ষ্য করে, বিশেষ করে তাঁর বহুবিবাহকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিতে শুরু করে। এর মূল কারণ হল যে, প্রাচীন আরবের সংস্কৃতির ইতিহাস সম্পর্কে তাদের সঠিক জ্ঞান না থাকায় তারা তাঁর বহুবিবাহকে অত্যন্ত যৌনকামনার ফল বলে আরোপিত করেছে (নাউযুবিল্লাহ)। শত্রুতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তারা ভিত্তিহীনভাবে তাঁর নিষ্পাপ ব্যক্তিত্বের উপর দাগ লাগায়। এই ভিত্তিহীনমূলক দাবিগুলিকে সামনে রেখে, এটা অত্যান্ত জরুরী যে আমরা যৌক্তিকতা এবং নিরপেক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁর জীবনের একটি যুক্তিসংগত পরীক্ষা তাদের সামনে উপস্থাপন করি।
অমুসলিমদের ভুলধারনা ও তার সঠিককরণ
বহুকাল থেকে মানুষের মধ্যে বিশেষকরে অমুসলিমদের মনে এই ভুলধারণাটি রয়ে গেছে যে, হুজুর এর একাধিক বিবাহ করার কারণ ছিল যে তাঁর অত্যান্ত যৌনকামনা ছিল (নাউযুবিল্লাহ)। এই ভুলধারনাটির ফলে আজ অনেক মানুষ ইসলামের শীতলময় ছায়া থেকে বহুদুরে রয়ে গেছে। আমাদের কি এতটুকুও কর্তব্য হয়না যে আমরা এই ভুলধারণটির সংশোধন করে আমরা আমাদের অমুসলিম ভাই এবং অজ্ঞ মুসলিমবৃন্দের সামনে তুলে ধরি এবং তাদেরকে ইসলামের পথে আহবান জানায় ?
অনেক ব্যাক্তিগণ এমনও আছেন যারা হুজুর (সাঃ) এর সম্মানের নিমিত্তে এবং এর রক্ষার্থে তারা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে দিয়েছেন। আমদের কাছে কি এতটুকুও সময় নেয় যে আমরা এর সমন্ধে কিছু জরুরি জ্ঞান রাখি এবং সঠিক সময়ে সুযোগ পেলে এর সমন্ধে যারা অজ্ঞ তাদেরকে এর সম্বন্ধে অবগত করে তুলি ?
আসুন আমরা হুজুর (সাঃ) এর এই জন্ম (মিলাদুন নবী) উপলক্ষে এই বিষয়টিকে জানার চেষ্টা করি...
বোধসম্পন্ন সমাজের কাছে প্রশ্ন
আমার প্রিয় নবী (সাঃ) তাঁর যৌবনকালে ২৫ বৎসর বয়সে এক প্রাপ্তবয়স্কা ও বিবাহিতা নারী হজরত খাদীজা (রাঃ) কে তাঁর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। এই সময় হজরত খাদীজা (রাঃ) এর বয়স ছিল ৪০ বৎসর। যতদিন পর্যন্ত হজরত খাদীজা (রাঃ) জীবিত ছিলেন হুজুর (সাঃ) আর অন্য কোনো বিবাহ করেননি। এই ভাবেই হুজুর (সাঃ) পঞ্চাশ বৎসর পর্যন্ত হজরত খাদীজা (রাঃ) এর সঙ্গে জীবনযাপন করেন। এবং পরবর্তীতে হজরত খাদীজা (রাঃ) এর ওফাতের পর বার্ধক্যের কালে কিছু বিশেষ কারণে অন্যান্য বিবাহ করেন। হুজুর (সাঃ) যে এগারোটি বিবাহ করাছিলেন তাঁদের মধ্যে হজরত আয়েশা বিনত আবি বাকর (রাঃ) ব্যাতিত বাকি সবাই বিবাহিতা ছিলেন।
যদি কোনো ব্যাক্তির অত্যন্ত যৌনকামনা থাকে তাহলে সে কোনোদিন ২৫ বৎসর বয়সে একটি বয়স্কা ও বিবাহিতা নারীর সাথে জীবন অতিবাহিত করতে পারবে না। বোধসম্পন্ন সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন হল, যে আপনাদের মধ্যে কোন এমন যুবক আছে যে সে তার যৌবনের শীর্ষে পর্যায়ে চল্লিশ বয়সের এক বিবাহিতা নারীকে বিয়ে করবে ?
স্বামিহারা নারীদের আশ্রয় প্রদান
উহুদের যুদ্ধে সন্তরজন সাহাবী শহীদ হয়ে যান, যার ফলে অনেক নারীই স্বামীহারা ও ঘরহারা হয়ে যায় এবং অনেক শিশুরা ও এতিম অসহাই হয়ে পরে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য হুজুর (সাঃ) তাঁর সাহাবীদেরকে স্বামীহারা নারীদেরকে বিবাহ করতে বলেন এবং তাদেরকে আশ্রয় দিতে বলেন যেন তারা অসহায় না হয়ে থাকে। এর উপর অনুপ্রেরণার জন্য সর্বপ্রথম হুজুর (সাঃ) স্বয়ং নিজেই বিবাহিতা নারী যেমন হজরত সাওদাহ (রাঃ) হজরত উম্মে সালমা (রাঃ), হজরত যায়নাব বিনতে খুযাইমা (রাঃ) এর সাথে আলাদা আলাদা সময়ে বিবাহ করেন। হুজুর (সাঃ) এর আদেশ অনুযায়ী সাহাবীগণও স্বামীহারা নারীদের সাথে বিয়ে করেন, যার ফলে অসহায়, ঘরহারা এবং স্বামীহারা নারীদের ঘর আবার খুশির আলোতে ভরে যায়।
প্রচলিত প্রথা, শত্রুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গঠন এবং ইসলামের বলবৎকরন
সেইকালে আরবে আরববাসীদের একাধিক স্ত্রী থাকার প্রথা বহুমানে প্রচলিত ছিল। কেবলমাত্র একটি স্ত্রী রাখাকে পুরুষদের জন্য কলঙ্ক এবং তার অক্ষমতা বলে মনে করা হত। বিবাহের মাধ্যমে অন্যান্য গোত্রকে কাছে নিয়ে আসা এবং তাদেরকে ইসলামের ছায়ার তলে স্থান দেওয়া হুজুর (সাঃ) এর প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল। আরবে এই নিয়মটি প্রচলিত ছিল যে, যদি কোনো ব্যাক্তি কারও জামাতা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আরববাসীগণের কাছে খুবি লজ্জাজনক ব্যাপার ছিল। হজরত আবু সুফীয়ান (রাঃ) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে হুজুর (সাঃ) এর এক কঠিন বিরোধী ছিলেন। তিনি বদর, উহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধে (গাজওয়া-ই-আহযাব) মক্কার মুশরিকদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু যখন তাঁর কন্যা হজরত উম্মু হাবীবা (রাঃ) এর বিবাহ হুজুর (সাঃ) এর সঙ্গে হয়, তখন তাঁদের মধ্যে শত্রুতার আগুন নিভে যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে যে হজরত উম্মে হাবীবা (রাঃ) মুসালমান হয়ে স্বামীর সাথে হাবশায় হিজরত করেন। সেখানে গিয়ে তিনার স্বামী উবাইদুল্লাহ বিন জাহশ খ্রিস্টান ধর্মে পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং তাকেও সেই ধর্মে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, কিন্তু হজরত উম্মে হাবীবা (রাঃ) অনেক কষ্টের সাথে নিজের ঈমান কে সুরক্ষিত রাখেন এবং তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে বহু কষ্টে নিজের বাড়িতে পৌঁছেন । হুজুর (সাঃ) তাঁর কষ্টের এবং ঈমান রক্ষার ঘটনা শুনে তাঁর কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান এবং হাবশার বাদশার মাধ্যমে তিনাকে বিবাহ করেন।
শত্রু গোষ্ঠীদের সাথে বিবাহবন্ধন ও শত্রুতা দূরীকরণ
হজরত জুওায়রিয়া (রাঃ) এর পিতা হারিস বিন আবি দাররার বানু মুসতালিক ইয়াহুদি গোত্রের সর্দার ছিল। এই গোত্রটি মক্কা এবং মদীনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। আল্লাহর নির্দেশে হুজুর (সাঃ) সেই গোত্রের সাথে জিহাদ করেন এবং গোত্রের সর্দার মারা যায়। হজরত জুওায়রিয়া (রাঃ) বন্দি হয়ে হজরত সাবিত বিন কাইস (রাঃ) এর অংশে পড়েন। যেহেতু তিনি এক সর্দারের কন্যা ছিলেন সেহেতু সাহাবীগণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও পরামর্শ করেন যে সে সর্দারের কন্যা হওয়ার কারণে তাঁকে হুজুর এর কাছে অর্পণ করা উচিত। সুতরাং, তাঁরও বিবাহ দোজাহানের সর্দার হুজুর (সাঃ) এর সাথে সম্পন্ন হয়। এই বিবাহের বরকতে এই গোত্রের একশো ঘর বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পায় এবং সবাই মুসালমান হয়ে যায়। যুদ্ধের পূর্বে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে একটি উজ্জ্বল চাঁদ তাঁর কোলের মধ্যে এসে পড়েছে, এইভাবে তাঁর দেখা স্বপ্ন সত্য হয়।
ইয়াহুদি গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক গঠন ও শান্তি বজাই
হজরত সফিয়া বিনতে হুয়ায় (রাঃ) এর প্রথম বিবাহ কুরাইযা গোত্রের সাল্লাম বিন মিশকাম এবং দ্বিতীয় বিবাহ বানু নাজির গোত্রের কিনানা বিন হাকিক এর সাথে হয়। তাঁর পিতা হুয়ায় বিন আখতাব ছিলেন নাদির ইহুদি গোত্রের প্রধান যাদের চুক্তি ভঙ্গের পর মদীনা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আহযাবের যুদ্ধের পর হুয়ায় বানু কুরাইজা গোত্রকে যুদ্ধের জন্য প্ররোচিত করেছিল যার ফলে সে কুরাইজার সাথে নিহত হয়েছিল। খায়বারের যুদ্ধে ইহুদি সর্দারের কন্যা হজরত সফিয়া (রাঃ) বন্দি হয়ে হযরত দিহিয়া কালবির অংশে পড়েন। সাহাবীগণ পরামর্শ করে মধ্যে তাঁরও বিবাহ হুজুর এর সাথে করিয়ে দেন।
এই বিবাহ ঘটনাটি সাহিহ বুখারিতে বর্ণনা করা হয়, যার সারসংক্ষেপ হল: হজরত আনাস বিন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, খাইবার যুদ্ধের জয়লাভের পর রাসুল (সাঃ) এর নিকট আমরা সমস্ত বন্দীদের এবং লুণ্ঠিত ধনকে উপস্থিত করলাম। হযরত দিহিয়া কালবি নামক সাহাবি এসে তাঁর কাছ থেকে একটি দাসী চাইলেন। নবীজি তাঁকে যেকোনো একটি দাসীকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে তিনি হজরত সফিয়া (রাঃ) কে নিয়ে গেলেন। এক ব্যক্তি নবী (সাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি সফিয়া (রাঃ) কে হজরত দিহিয়া কালবি (রাঃ) কে দিয়েছেন, তিনি কুরাইজা ও নাদির গোত্রের সর্দারের কন্যা এবং তিনি আপনার ছাড়া অন্য কারো জন্য উপযুক্ত নন। সুতরাং নবী (সাঃ) হযরত দিহিয়া কালবি (রাঃ) কে তাঁকে নিয়ে আসার জন্য বললেন এবং হজরত সফিয়া (রাঃ) ছাড়া বন্দীদের মধ্যে অন্য যেকোন ক্রীতদাসীকে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন। পরবর্তীতে হুজুর (সাঃ) তাঁকে বিবাহ করেন। যার ফলে সমস্ত ইয়াহুদি বন্দীদের বন্দীরা মুক্তি পায়।
এই ভাবেই হজরত মায়মুনা বিনত হারিস (রাঃ) এর বিবাহের কারণে নজদী এলাকায় ব্যাপক ভাবে ইসলামের প্রভাব ঘটে। এই বিবাহগুলির উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় এটাও ছিল যে, যাতে করে এর ফলে মানবজাতি হুজুর (সাঃ) এর কাছে আসতে পেরে হুজুর (সাঃ) এর আদর্শ জানতে পারে এবং সত্য পথের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
হজরত মারিয়া কিবতিয়্যা (রাঃ) এর বিবাহ একই রকমের ছিল। তিনি প্রথমে খ্রিষ্টান ছিলেন এবং এক রাজপরিবারভুক্ত ছিলেন। তাঁকে মিশরের বাদশাহ শাহ মুকুকিস হাদিয়া স্বরুপ হুজুর (সাঃ) এর খিদমতে প্রেরণ করেন।
মুতাবান্না প্রথার বাতিলকরণ
হজরত জায়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ) এর সাথে বিবাহের কারণ ছিল 'মুতাবান্না' প্রথা ভাঙার জন্য। হজরত জায়দ (রাঃ) দাস হওয়ার সত্ত্বেও তাঁকে হুজুর (সাঃ) নিজের সন্তানের মত ভালবাসতেন যার কারণে তাঁকে নবীর পুত্র বলা হত। তিনার বিবাহ হজরত জায়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ) এর সাথে হয়। তাদের মধ্যে মিল, অনুরাগ ও সমতা বজায় না থাকার ফলে হজরত জায়দ (রাঃ) তাঁকে তালাক দিয়ে দিলে, হুজুর তাঁকে আল্লাহর আদেশে বিবাহ করেন। হুজুর (সাঃ) এইটি সুস্পষ্ট করে দিলেন যে মুতাবান্না কখনও নিজের আপন সন্তানের হুকুমে আসে না ও মুতাবান্না সন্তানের বধূ কে বিয়ে করা যাই। এই বিবাহটি ছিল ইসলামের শরিয়তের নিয়ম বজাই রাখার জন্য।
উম্মাহাতুল মুমিনদের ঘর নারীকুলের পাঠশালা
হুজুরে (সাঃ) এর পবিত্র জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় রক্ষা করার জন্য পুরুষদের মধ্যে বিশেষকরে সাহাবীরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহন করেন। যাতে নবীর শিক্ষা এবং তাঁর আদর্শ পরিবর্তীতে মানুষদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা যাই। নারীদের মধ্যেও এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য একটি দলের দরকার ছিল। হুজুর (সাঃ) তিনার পবিত্র স্ত্রীগণদেরকে আদেশস্বরূপ বলেছিলেন যে- “তারা যেন সেই সমস্ত প্রত্যেকটি বিষয়কে লক্ষ্য করে এবং লিপিবদ্ধ করে যা তারা রাতের অন্ধকারেও দেখেন”।
হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) অনেক মেধাবী এবং গুণবতী ছিলেন। হুজুর (সাঃ) বিশেষভাবে তাঁকে নারীদের আহকাম এবং মাসাঈল শিখিয়েছিলেন। হুজুর (সাঃ) এর ওফাতের পর হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) ৪৫ বৎসর পর্যন্ত জীবিত থাকেন এবং ২২১০টি হাদিস হুজুর (সাঃ) এর থেকে বর্ণনা করেন।
সাহাবীকিরামগণ বর্ণনা করেন যে, যখনই তাদের কোনো মাসআলা বুঝতে অসুবিধে বা সন্দেহ হত, তখন তারা সেই বিষয়টিকে হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর কাছে পেশ করতেন এবং তিনি তার সংশোধন করে দিতেন। অনুরুপভাবে, হজরত উম্মে সালমা (রাঃ) মোটামুটি ৩৬৭টি হাদিস বর্ণনা করেন। এখান থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, উম্মাহাতুল মুমিনদের ঘর নারীকুলের পাঠশালা।