কবি আল্লামা মহম্মদ ইকবাল
কবি- জগতের শ্রেষ্ঠ কবিদের মধ্যে একজন হলেন উর্দু কবি আল্লামা মহম্মদ ইকবাল তিনার জন্ম হয়েছিল ৯ নভেম্বর ১৮৭৭ সালে পাঞ্জাবের শিয়ালকোঠ নামক একটি শহরে যেটি বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত। তিনার পিতার নাম ছিল নুর মহম্মদ যিনি ছিলেন একজন ধর্মনিষ্ঠ সুফি এবং তিনার মাতার নাম ছিল ইমাম বিবি। কবি আল্লামা মহম্মদ ইকবাল তিনি শুধু একজন উর্দু কবিই ছিলেন না বরং তিনি ফরাসি ভাষারও একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন এমনকি তিনি ইংরাজি এবং আরবী ভাষাতেও অনেক কিছু লিখে গেছেন। তিনি শুধুমাত্র একজন কবিই ছিলেননা- বরং তিনি একজন দার্শনিকও ছিলেন।
শিক্ষা জীবন :-
আল্লামা ইকবালের শিক্ষা জিবন শুরু হয় একটি মিশন স্কুল দ্বারা, এবং সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের উলমাগণদের কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করেন তিনাদের মধ্যে তিনার প্রিয় উলমা ছিলেন- মাওলানা শামশুল উলমা মীর হাসান তিনার কাছেই তিনি কিছু বছর শিক্ষা অর্জন করেন। এবং ১৮৯৯ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে দর্শনশাস্ত্রে (এম. এ) ডিগ্রি লাভ করেন। তার কিছু বছর পরেই ১৯০৫ সালে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য কবি আল্লামা ইক্ববাল ইংল্যান্ড যাত্রা করেন এই ভাবেই তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠেন।
কবি জীবন :-
কবি মহম্মদ ইকবাল ছিলেন উর্দু এবং ফরাসি ভাষারও একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন – তিনার সর্বমোট উর্দু কাব্যের সংখ্যা হল চারটি, এবং সর্বমোট ফরাসি কাব্যের সংখ্যা হল ছয়টি, কারণ সর্বপ্রথম ফরাসি ভাষারই একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন এবং তারপরে তিনি উর্দু ভাষার সঙ্গে জোড়িত হয়ে যান এবং সেই থেকেই তিনি উর্দু ভাষার একজন বিখ্যাত কবি হয়ে যান। বর্তমানে তিনি একজন বিখ্যাত উর্দু কবি নামেই সারা বিশ্বের জনগণদের কাছে পরিচিত। কবি আল্লামা ইকবাল ইংরাজী এবং আরবী ভাষাতেও অভিজ্ঞ ছিলেন, এই দুটি ভাষায় তিনি অনেক কিছু লিখেছেন।
ইসলাম ধর্মের প্রতি ভালবাসা :-
আল্লামা মহম্মদ ইকবাল নিজের জীবনে ইসলাম ধর্মকেও ভালবাসতেন এবং তার প্রতি ধ্যানও রাখতেন। বাল্য বয়সে যখন তিনি পাকিস্তানের লহোর শহরের লহোর কলেজে পড়াশোনা করার জন্য যান সেই সময় সেখানে তিনি ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন করেন। তার সঙ্গে তিনি অনেক কবিতা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়েও লিখেছেন, এবং তিনি কবিতার মাধ্যমে জনগণদের ইসলাম ধর্মের প্রতি দাওয়াতও করতেন। এই ছিল তিনার ইসলাম ধর্মের প্রতি ভালবাসা।
মৃত্যু :-
কবি আল্লামা মহম্মদ ইকবাল মৃত্যুর পূর্বে- উর্দু, আরবী, ফরাসি এবং ইংরাজী ভাষায় অনেক কবিতা লিখে গিয়েছেন যে হতে পারে মাত্র দুই লাইন কিন্তু সেটা বয়ান করার সময় দেখা যায় যে একটা পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে তবুও বয়ান শেষ হচ্ছেনা। কিন্তু বর্তমান যুগের লোকজনেরা তিনার উর্দু কবিতা গুলিই বেশির ভাগ পছন্দ করেন তিনি মৃত্যুর পূর্বে ইসলাম ধর্মের জন্য অনেক কিছু করে গিয়েছেন। তিনার কবিতা গুলি শুনে সকলে মুগ্ধ হয়ে যেত। তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ ইসলামি কবিদের মধ্যে একজন। তিনার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি কবিতা লিখে গিয়েছেন এবং অবশেষে তিনি ২১ এপ্রিল ১৯৩৮ সালে ৬০ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।