ইসলাম ও মুহাম্মাদ সাঃ এর আগমন বার্তা
ইসলাম সমগ্র বিশ্বের জন্য শান্তি ও রহমতের ধর্ম। ইসলাম একটি অসাধারণ ধর্ম অন্যান্য ধর্মের মত নয় এবং এটি একমাত্র ধর্ম যা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য। পৃথিবীতে ইসলাম ছাড়া আর কোনো ধর্ম নেই যেটি আল্লাহ তায়ালার কাছে গ্রহণযোগ্য। কারণ এই ধর্ম সমগ্র বিশ্বের জন্য ভ্রাতৃত্ব ও শান্তিতে পরিপূর্ণ। এটা চায় যে যেখানেই হোক প্রত্যেকের সাথে শান্তি ও সমন্বয়। ইসলাম হল সমন্বয়ের ধর্ম। তাই সামঞ্জস্য সর্বত্র চাওয়া হয় কারণ সম্প্রদায়ের প্রতিটি মারামারি ও বিবাদের মূল কারণ। এর কারণ হল মানুষ আপস করতে প্রস্তুত নয় এবং তারা তাদের নিজেদের ভাইদের সাথে কোনো সমন্বয়ের জন্য প্রস্তুত নয়।
পৃথিবীর সর্বত্র মানুষ নিজ নিজ দায়িত্ব ও কাজে নিয়োজিত। তারা ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করে না। যখনই তারা কোন ঝামেলা বা সমস্যায় পড়ে বা আটকা পড়ে। তারা কিছু মারামারি বা হত্যার মাধ্যমে এটি পরিচালনা করে এবং রাজনীতির লাইনে তারা তাদের নিজস্ব মামলার গণহত্যার একটি বড় ধর্মঘট দ্বারা এটি পরিচালনা করে। এই ধর্মে কোন প্রকার জবরদস্তি নেই। এটা ভ্রাতৃত্ব থেকে পরিপূর্ণ. ইসলাম মানে হচ্ছে শান্তি ইসলাম শব্দটী হচ্ছে আরবি শব্দ কারণ ইসলাম ধর্মের মুল ভাষা হচ্ছে আরবি পৃথিবীর সরবচ্চো উত্তম যে ধর্ম সেটী হচ্ছে ইসলাম আল্লাহ তায়ালা ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করেন কারণ ইসলাম ধর্ম হচ্ছে আল্লাহর নিজ রচিত ও নিকটবর্তী ধর্ম আল্লাহ তায়ালা ইসলাম বাতিত অন্ন কোন ধর্মকে গ্রহণ করেননি ইসলাম
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে জগতে যুগে যুগে,দেশে দেশে,গোত্রে গোত্রে ধরমের আলোকবর্তিকা প্রিয় বান্দাদের হাতে দিয়ে ধর্মপ্রবর্তক হিসেবে দুনিয়ায় আল্লাহর ধর্মকে প্রতিসষ্ঠা করার জন্য পাঠিয়েছেন আল্লাহ রব্বুল আলামিনের প্রেরিত প্রিয় বানাদারা স্থানে কালে ক্ষেত্রে ভেদে নবী রাসুল পয়গম্বর ধর্মপ্রবর্তক ধর্মপ্রচারক ধর্মগুরু কিংবা কখনও সংস্কারক হিসেবে মানুষের কাচছে আবির্ভূত হয়েছেন কখনও অনুকূল পরিবেশে কখনও প্রতিকূলতায় কখনও বা কঠোর দুখঃখকষ্টে তারা মানুসষের লাঞ্ছছনা গ্লানি সহ্য করে করে সয়ে সয়ে আবার সেই লাঞ্ছছনা ও গ্লানিকারি মানুসষেদের কাছে আল্লাহর বার্তা ও বানি পৌঁছে দিয়েছেন তন্মধ্যে হযযরত আদাম (আঃ) হলেন দুনিয়ার প্রথম নবী ও মানব এবং অপরদিকে হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা (সাঃ) তিনার পরিপূর্ণ নাম হল মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, দূত, বা পয়গাম্বার
হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ৫৭০ বা ৫৭১ খ্রিস্টটাব্দে মধ্যে ফজরের নামাযের সময় হযরত মা আমিনার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন তিনার আব্বুর নাম ছিল হযরত আব্দুল্লাহ এবং এই পৃথিবীতে প্রেরিত হন তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী বা দূত এবং তিনি সমগ্র জাতির জন্য রহমত এবং শান্তি হয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরিত হন তিনি সমস্ত নবিদের ও দুতেদের সর্দার ছিলেন তিনি শুধুমাত্র মানবজাতির জন্য রহমত ও শান্তি হয়ে আসেননি তিনি পশু পাখি গাছপালা পাহার পরবত এবং সমস্ত জিনিসের জন্য রহমত ও শান্তি হয়ে আসেন এমনকি জর বস্তুর জন্য ও রহমত ও শান্তি হয়ে আসেন
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম একসময় একটি কাটা খেজুর গাছের গোরাতে কান্ডতে প্রত্যেক জুম্মা বা শুক্রবারের দিনে খুতবা বা বক্তব্য করতেন এটি দেখে তিনার সাহাবীরা এবং সঙ্গীরা তিনাকে একটি কাঠের মিম্বার তৈরী করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন কিছু দীন পরে তিনার মিম্বারটি সম্পূর্ণ রূপে তৈরী করে তিনাকে দেন তারপরে তিনি যখন একদিন নতুন মিম্বারটিতে খুৎবা করছিলেন হঠাৎ কোথা থেকে জেনো একটি কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে তখন নবীজী গীয়ে দেখেন যে তিনি যে পুরাতন খেজুর গাছের উপড়ে খুৎবা করতেন সেই গাছটি উচ্চো স্বরে কান্না করছে তা দেখে তিনি সেই খেজুরে গাছের উপরে হাত দীয়ে সান্ত্বনা দেন এবং তার কিছুক্ষণ পরে সেই খেজুর গাছটি কান্না বন্দো করে শান্ত হয়ে যায় তাহলে তিনি শুধুমাত্র মানবজাতির জন্য রহমত ও শান্তি হয়ে আসেননি বরঞ্চ তিনি সমগ্র জাতি ও জন্য রহমত ও শান্তি হয়ে আসেননি বরঞ্চ তিনি সমগ্র জাতী ও পৃথিবী বাসিদের জন্য রহমত শান্তি হয়ে আসেন নুর বা আলোর পরিবর্তে একজন সাধারণ ও সরল মানব রূপে এই পৃথিবীতে প্রেরিত হন কারণ এই সমস্ত কিছু পশু,পাখি,গাছপালা,পাহার,পর্বত ও সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করার পূর্বে আল্লাহ রব্বুল আলামিন মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নুরকে সৃষ্টি করেন
এই মন্তব্যটী এবং নবীজীর মর্যাদা আনুসারে,অর্থাৎ তিনার মর্যাদা কতো ও কী বা কোথাই সেইটি বর্ণনা করতে গীয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কূদসী হাদিসে ইরসাদ করেন যে হে নবী আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আদাম (আঃ) কে সৃষ্টি করতাম না,আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে ইব্রাহীম (আঃ) কে সৃষ্টি করতাম না,আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে ইউসুফ (আঃ)-র সৌন্দর্য সৃষ্টি করতাম না, এক কথাই বললে আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে এই পৃথিবীর একটি ধূলী কনাও সৃষ্টি করতাম না