লকডাউন ও আমি
আমার প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা চারিদিকে লকডাউন শব্দটা অনেক শুনতে পাচ্ছি কিন্তু আমরা কি জানি লকডাউন কি এবং এর হাওয়ার কারণটা কি? এইরকম লকডাউনের বিষয়ে আরও অনেক প্রশ্ন আছে। আচ্ছা যাই হোক আমার প্রিয় ভাইয়েরা আমরা এই লকডাউনের বিষয় সংক্ষিপ্তে কিছু তথ্য জেনে নিয়।
বর্তমানে লকডাউন হওয়ার কারণ হলো করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাস সর্বপ্রথম ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে চীন দেশের উহান শহরে দেখা যায়। তার কিছুদিন পরে হু অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস একটি মহামারি। করোনার কোন ভ্যাকসিন নেয় বলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। তখন থেকে লকডাউন শুরু হলো। এই লকডাউন হওয়ার উদ্দেশ্য হলো যে এই ভাইরাস যাতে করে আর চারিদিকে না ছড়িয়ে পড়ে।
পুরো বিশ্বের লোকেরা আজ এর উদ্দেশ্য জেনেও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছে। কেননা এই লকডাউনের কারণে মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পাইনা। ফলে মানুষ কাজে যেতে পারেনা। টাকার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর যদি টাকাই না থাকে তবে সংসার চালাবে কি করে? এছাড়াও অনেক কারণে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছে যেমন কি শিক্ষা, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি। লকডাউনের জন্য মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি শিক্ষা স্থান বন্ধ থাকছে যার কারণে ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা অর্জন করতে পারছেনা।
তো আমার প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা লকডাউনের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে নিলাম। এবার ভাইয়েরা এই লকডাউনে আমি কি করি সেই বিষয়ে তোমাদের কিছু বলি। লকডাউনের জন্য এত কিছু অসুবিধা হওয়ার পরেও আমি কিন্তু বসে থাকি না নিজে থেকে কিছু না কিছু একটা করি। এখনও পর্যন্ত লকডাউনের জন্য শিক্ষা স্থানগুলি বন্ধ যার কারণে আমি বাড়িতেই বসে আছি। তাই আমি এখন বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস তো করি তাছাড়া আমি মোবাইল থেকে নানারকম আউট জ্ঞান অর্জন করি। যেমন কুইজ, ছবি আঁকা, প্রবন্ধ পড়া, গজল ও ইসলামিক বক্তব্য শোনা ইত্যাদি। মোবাইল ছাড়া আমি নিজে নিজে প্রবন্ধ, কবিতা লিখতে চেষ্টা করি, ইসলামিক বই পড়ি এছাড়াও নানা রকম কাজ করি। তো আমার প্রিয় ভাইয়েরা তোমরা বুঝতে পারলে যে আমি এই লকডাউনে কি করি। আমার ভাইয়েরা তোমাদেরও উচিত যে চুপচাপ বসে না থেকে কোন কিছু নিজে নিজে করার চেষ্টা করো। কেননা এই লকডাউনের জন্য কোন কিছুই হচ্ছে না তাই আমরা অনেক সময়ই খালি পাচ্ছি তো সেটাকে সঠিক কাজে লাগার চেষ্টা করতে হবে। অনেকের কাছে হয়তো মোবাইল আছে কিন্তু তা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনা। গান শুনে, ফিল্ম দেখে, ফেসবুক চালিয়ে, গেম খেলে ইত্যাদি কাজ করে আমরা বেকার বেকার সময়টাকে শুধু শুধু অপচয় করে ফেলছি। অনেকের বাবা হয়তো মোবাইলটা আসলে ক্লাস করার জন্য কিনেছে কিন্তু আমরা সেটাকে সঠিক কাজে ব্যবহার করছি না। বাবা-মাকে শুধু মিথ্যা বলছি। ভাইয়েরা একটু ভেবে দেখো যদি আমরা মোবাইলটাকে সঠিক কাজে ব্যবহার করি তাহলে তাহলে আমাদের জ্ঞান বাড়বে। তাই তোমাদের বলি তোমরা সময়টাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করো।