ইসলাম ও পরিবেশ
১৯৭৩ সাল থেকে ৫ই জুন দিনটিকে সারাবিশ্বে পরিবেশ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমাদের ভারতবর্ষেও খুব খুশির সঙ্গে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। এই দুনিয়াতে শান্তিময় জীবন জাপন করার জন্য একটি ভাল পরিবেশ দরকার তাই এই পরিবেশ কে বাঁচাতে হলে আমাদের এর প্রতি যা কর্তব্য আছে তা আমাদের পালন করতে হবে যে আমাদের পরিবেশকে সমস্ত রকমের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে পরিবেশ শুধু- জঙ্গল, পশুপাখি, সমুদ্র, পাহার- পর্বত এবং গাছ গাছালীর দুনিয়া নয় বরং যা আমাদের চারিপাশে আছে তাদের সম্পর্ক সেই সব জিনিসের সঙ্গে আছে যা আমাদের ভালভাবে জীবন জাপন করার সুযোগ দেয়। পরিবেশ এক ভালবাসায় পরিপূর্ণ, হাঁসি খুশি এবং শান্তিময় জীবন জাপন করার একটি ওসিলা। হারাভরা বাগান, রং বেরং এর ফুল, সুন্দর সুন্দর পশুপাখি এবং পরিবেশের ভাল ভাল লোকজনদের কাজকর্ম আমাদের রুহকে শান্তিময় এবং খুশিতে পরিপূর্ণ করে দেয়। কিন্তু যদি আমরা আমাদের পরিবেশের যত্ন না নিই তবে সেই পরিবেশ সম্পূর্ণ ভাবে তার বীপরিত হয়ে যাবে- লোকজনদের অভদ্রতা এবং খারাপ ভাষায় গালীগালাজ করা এইগুলি আমাদের রুহকে আরও অশান্তিময় এবং দুখিঃত করে তুলবে।
পরিবেশের যত্ন নেওয়ার জন্য ইসলামও আমাদের আদেশ দেয়। আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত কিছু নিজের বান্দদের ফায়দার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তার জন্যই আমাদের কর্তব্য যে আমাদের সেই হিসাবেই খরচ করতে হবে এবং সেটাকে সমস্ত রকমের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে ইসলাম সবসময় শান্তিময় জীবন পছন্দ করে। ইসলাম কখোনো চায়না কেউ কারোর শান্তিময় ও খুশহাল জীবন নষ্ট করে দিক বরং চায় যে সকলে শান্তিময় ও খুশহালি অবস্থায় জীবন জাপন করুক।
কোরআন শরিফে ইরশাদ আছে- “এবং আমরা সকল জিনিসের সৃষ্টি জল দিয়ে করেছি”। (সুরা: আমবিয়া -০৩)। “ নিশ্চয় যারা মাল খরচ করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তানতো নিজেই আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদা করেনা ”। (সুরা: ইসরা -৭২)। “ আল্লাহ তায়ালা তোমাকে যে ধন ও দওলাত দিয়েছেন তা দিয়ে আখিরাতের জন্য ঘর বানানোর কথা ভাবো এবং দুনিয়াতেও নিজের ভাগ বেকার করোনা, ইহসান করো যেমন ভাবে আল্লাহ তায়ালা তোমার উপর ইহসান করেন এবং দুনিয়াতে ফাসাদ ছড়ানোর চেষ্টা করোনা, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে পছন্দ করেননা যারা দুনিয়াতে ফাসাদ ছড়াই ”। (সুরা: কাসাস -৭৭)। পৃথিবীতে চলাফেরা করে এমন জন্তু-জানোয়ার, দুই পাখনার সঙ্গে বাতাসে উড়ে বেড়াই এমন পাখিদের দ্যাখো এই সমস্ত কিছুই তোমাদেরই মতো আমি কারোর ভাগ্যে কোন খারাপ ছাড়িনি। “আবার এই সমস্ত কিছু আপন রবের দিকেই ফিরে যাই”। (সুরা: আনআম -৮৩)।