কোরোনার দ্বিতীয় প্রবাহে দেশের পরিস্থিতি বেহাল
সমস্ত কিছু লকদাউনের দাপটে বন্ধ। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে সরকারের বেশি সতর্কতামূলক আচরণ। দেশের গতি প্রগতি নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা নেয়। নির্বাচন নিয়ে কোনো সমস্যায় নেয়; সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারের প্রবাল ভিড়ে। কিন্তু তাতে কোনো কার্যকরী প্রতিবন্ধকতা নেয়। এই সবে সমাপ্ত হয়েছে পশ্চিম বঙ্গের আঠ দফায় ভোট। কোন পার্টিই জন প্রবাল নিয়ে প্রচার ক্যাম্পেইন ছাড়েনি। শেষে রাহুল গান্ধীর শেষে ঘোষণা আসে: কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমি পশ্চিমবঙ্গে আমার সমস্ত জনসভা স্থগিত করছি।
যাইহোক, এখন সারা দেশ বিশেষ করে শহরকেন্দ্রিক স্থানগুলিতে কোরোনার দ্বিতীয় প্রবাহ খুবই ভারী। হাসপাতাল প্রাথমিক সরঞ্জাম, বেড, কিটস, ভ্যাকসিন, অক্সিজেনের চাহিদা মিটাতে অক্ষম। দেশের অবস্থা খুবই নাজুক। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল রাষ্ট্র আজ বিরাট সংকটমুখি।
আরন্ধতি রায়ের প্রবন্ধ "আমরা মানবতার বিরুদ্ধে অত্যাচারের সাক্ষ্য দিচ্ছি"টি কালকে পারছিলাম। ২৭ এপ্রিলের রিপোর্ট তিনি তুলে ধরেন: শুধু মাত্র এই দিনে ৩২৩,১৪৪ নতুন কেস এবং ২,৭৭১ মৃত্যু সংখ্যা। হায় রে দুর্দশা!
কবরস্থান ও শ্মশান ভর্তি হয়ে উবরে আসছে। ফুটপাত পরিণত শ্মশান ঘাটের জ্বলন্ত আগুন থেকে বয়ে যাওয়া ধুঁয়া দেশের ভাঙ্গা 'সিস্টেম'-কে কত যে অভিশাপ দিচ্ছে কেই বা শুনে। রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ববান অধিকর্তাদের এই কালো দাগে মুখোশ দেওয়ার জন্য পুতুল পাত্র সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া নাম হল 'সিস্টেম'। দেশের সেলিব্রিটিরাও এই ক্ষেত্রে নিরবতার স্বীকার। অবশ্যই কেউ সেই সিস্টেমকেই জবাব দায়ী করেছেন। আন্তর্জাতিক কণ্ঠও ছাড়েনি। দেশের লড়াই সবার। সরকার-সাধারণ সবাই অংশীদার।
অসহায়তা দেখে বিদেশি সহায়তা চারিদিক থেকে আসছে। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন, ব্যাক্তিবর্গ ও মসজিদ কমিটিকে মহামারীর বিরোদ্ধে সংগ্রামের ফ্রন্টলাইনে দেখে বড়োই আনন্দ উপভোগ হয়। তাছাড়া মানবতার স্বার্থে যারা ময়দানে উপনীত থাকেন তাদের সবার সালাম। আশা ও অপেক্ষায় বেহাল আবার সুহাল হবে।