বঙ্গ বাক বিকাশ নয়, আসল বিকাশ চায়

বাংলার খেলা খুব জোরাল হলো। মমতার তৃণমূল বিপুল ভোটের সঙ্গে সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের  পরাস্ত করে ধারাবাহিক তিন তিন বার বাংলার শাসনভার বহন করলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে দিদি স্বয়ং শুভেন্দুর কাছে নন্দীগ্রামে পরাজিত। যাহোক, 'খেলা হবে' স্লোগানে বাংলা উত্তাল হয়ে নিজের মেয়েকেই চেয়েছে। 

ভীমপুর গ্রামে তো সারাদিন ধরে পাঁচটিরও বেশি বিজয় উল্লাসের যাত্রা এলো আর গেলো। ভীমপুরে উদযাপন যাত্রা বেশি হওয়ার কারণ মাটির ছেলে মুশাররফ হোসেন মূরারাই বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন। তিনার না জিতার কোনো সংশয়ই ছিলনা। ভীমপুরের গর্ব হবে; উন্নতি হবে, মানুষ জীবন সুখ পাবেন।  ডা. মুতাহার হোসেনের এবার পথিক হবেন তাঁর ছেলে মুশাররফ হোসেন। পরিবর্তন শুধু পার্টির। পিতা ছিলেন কংগ্রেসের আর পুত্র হলেন টিএমসির। আসলে এই লড়াইটি অন্য কারও বিরুদ্ধে নয়; একেবারে ধর্মনিরপেক্ষতার সপক্ষে ছিল...। এখন দেশের তিন রাজ্য মিলে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তৃকার দেওয়াল তৈরি করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলাড়ু আর কেরালা।

পশ্চিম বঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম ও এইএসএফের জোট কোনো ভালো দেখাতে পারেনি। বরং আরও সমালোচিত হয়েছে। 
পশ্চিম বঙ্গ মুসলিমদের ভোট প্রকাশে আয়এসএফ বা মীম বা অন্য কোনো সাম্প্রদায়িক গণ্ডিতে গঠিত পার্টির খাতায় যায়নি। অনুরূপ খুব একটা বড়ো পরিমাণে বিজেপিও সাম্প্রদায়িক সমীকরণে সফল হতে পারেনি। কেন্দ্রীয় পলিসি, ধার্মিক স্ট্র্যাটেজি ও সুগঠিত রাজনৈতিক পদ্ধতি ব্যাবহার করেও বিজেপি অর্ধেক কম ৭৭ সিট পেয়েছে। যেখানে দিদির পার্টি টিএমসি নতুন সরকার গঠনের চাহিদা ১৪৮ টি সিট অতিক্রম করে ২১৩য় পৌঁছায়। 

খেলা ছিল বিকাশের। কিন্তু শুধু বাক বিকাশের নয়, দেশ বিকাশের। পশ্চিম বঙ্গের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা নয়, উন্নতির আশা দেখেছে। ভীমপুর গ্রামের মত বঙ্গের হাজারও গ্রাম শান্তি, উন্নতি ও প্রগতির প্রত্যাশী।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter