Dream 11 এপের দ্বারা টাকা উপার্জনের শারয়ী হুকুম

মানব জাতির জীবনের সুন্দর্য হল ঈমান এবং চেস্টা সয়ং আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তিনার ইবাদত করার জন্যে না হারাম উপার্জন করার জন্যে । মানবে মধ্যে চেষ্টার ফল সাথে সাথে জেগে উঠেনা তার জন্যে সময় লাগে এবং যদি চেষ্টার সঙ্গে ঈমান থাকে তবে তার ফল ভালো হবে । আর যদি ঈমান না থাকে তবে সেটি ইসলামের অনুযায়ী হবেনা আর ইসলামের অনুযায়ী না হলে তার আমল কবুল হবেনা ।  আমাদের শেষ নবী মুহাম্মদ সা: তিনার উম্মত কে হারাম থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু বর্তমান যুগের মানুষেরা বিভিন্ন তরিকায় টাকা উপার্জন করা শুরু করেছে যা সবই হারামের পথে থেকে অগ্রসর হয়েছে। যেমন ধরুন জুয়া খেলে টাকা কামানো খাঁটি হারাম , তেমনি  মানুষেরা  টেকনোলজির দ্বারা নানান রকমের খেলা উদ্ভদন করেছে যেটি হরামের পথ বেছে নিয়েছে যেমন Dream 11 এই খেলাটি খেলে টাকা উপার্জন করা ইসলামের চোখে পরিপূর্ণ ভাবে হারাম ।
প্রথমত আমাদেরকে জুয়া কি জানতে হবে তবেই জানতে পারবো ড্রিম ১১ এ টিম বানিয়ে খেলে টাকা উপার্জন করা যাইজ  কী না ?
প্রত্যেক ঐ মুআমালাকে জুয়া বলা হয় , যা লাভ ও লোকশানের মাঝে ঝুলন্ত ও সন্দেহযুক্ত থাকে।  [ জাওয়াহিরুল ফিক্বহ- ২/৩৩৬]
অর্থাৎ এমন কাজ, যাতে পুরোটাই লাভ, বা পুরোটাই লোকসানের বাজির উপর থাকে। এমন কাজকে জুয়া বলে।
আমি যতদূর জানতে পেরেছি, ড্রিম ইলেভেনে টিম বানিয়ে খেললে আপনি তখনই টাকা জিততে পারবেন যখন আপনি এন্ট্রি ফী দিয়ে খেলবেন। এবারে যদি আপনি জিততে পারেন তাহলে পুরো টাকা পাবেন আর যদি জিততে না পারেন তাহলে যেটা আপনি এনটি ফ্রি দিছেন সেটাও পাবেন না। তাহলে এই খেলাটা সম্পূর্ণ জুয়া।
জুয়া খেলা একটি হারাম কাজ। কুরআনে এটিকে শয়তানী কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জুয়া একটি সামাজিক ব্যাধিও। এর দ্বারা সামাজিক অবক্ষয় নেমে আসে। পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়।     
এটি কবীরা গোনাহ। তাই জুয়ার যাবতীয় কার্যক্রম থেকে প্রতিটি মুসলমানদের বিরত থাকা আবশ্যক।
প্রত্যেক বাজি মাইছির তথা জুয়ার অন্তর্ভূক্ত এমনকি শিশুদের হারজিতের খেলাও জুয়ার অন্তর্ভূক্ত। [তাফসীরে ইবনে কাসীর-২/১১৬, সূরা মায়িদা, আয়াত নং-৯০-৯৩]
শয়তান তো চায় , মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? [সূরা মায়িদা- ১৯)
তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে,তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড় । [সূরা বাকারা-২১৯) ।
DREAM 11 এ টিম বানিয়ে খেলা মানব জাতির জন্যে উপকারী নয় তাই সব মানুষের দরকার যে এই সব অনলাইন জুয়া জাতীয় খেলা থেকে দূরে থাকা এবং ইসলামের অনুসারে ঈমানের সাথে টাকা উপার্জন করা ,যেটি মানুষের জন্য দুনিয়াতে এবং আখিরাতে উপকারী হয়ে উঠতে পারে  ।
ইসলামে জুয়া খেলা যেমন নিষিদ্ধ তেমনি অনলাইনে জুয়া জাতীয় খেল খেলা নিষিদ্ধ। অবশেষে আল্লাহর কাছে একটি মাত্র প্রথনা যে আমাদের মত গুনাহগার মানুষদের কে ইসলামের অনুসারে চলার শক্তি দান করেন ।

Related Posts

Leave A Comment

1 Comments

Voting Poll

Get Newsletter