মিথ্যা দিয়ে সত্য কখনো মুছে ফেলা যায় না, বাবর থেকে মোদী, ধর্মতন্ত্র না রাজতন্ত্র এর যুদ্ধ আসলে কী?

২২  জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মুন্দির উদ্বোধন হবে, হাতে গোনা কিছু দিন আর বাকী, উদ্বোধন করবেন দেশের বর্তমান হিন্দুত্ববাদী প্রধান মুন্ত্রী শ্রী দামোদর নরেন্দ্র মোদি, একজন রাষ্ট্র নায়ক কেন এমন ভূমিকা পালন করবেন তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক প্রাসাদে, তার এমন বিভ্ৰান্ত কর্ম কাণ্ডে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হিন্দু ধর্মের প্রধান চার শঙ্করাচার্যরা, তারা দেশের জনগণের কল্যাণের দিকে লক্ষ করে প্রধান মুন্ত্রীর এই কর্ম কেন্দ্র করে জানান যে: ধর্মীয় ক্ষেত্রে এই সব অনাচার, ও দাদাগিরি  দেশের আগামী ভবিষ্যতের জন্য ঠিক নয়, তা ছাড়া রাজনৈতিক মহলের মতদর্শ অনুযায়ি; আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের নড়বড়ে আসন চাঙ্গা করতে BJP ও RSS এমন আচরণ করে চলেছে, রামের নাম অমুসলিম এলাকাতে ও যাচ্ছে তারা।  একদিকে মোদি-র হাতে অসম্পূর্ণ মুন্দিরের উদ্বোধন হবে, অন্য দিকে ঘায়েল স্মৃতিতে সংরক্ষিত রূপে তাজা থাকবে ওই কালো দিনের কথা যেদিন বাবরি মসজিদ শহীদ হয়ে ছিল।  

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, আজ থেকে ৩২ বছর আগে শহীদ হয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মদসজিদ, কিন্তু বাবরি নিয়ে বিতর্ক, গন্ডগোল, জগড়া-ঝামেলা, যা-ই হোক না কেন, সবাই কিন্তু ১৯০০ এ শুরু হয়নি, বিবাদের সূত্রপত্ তার বহু আগে শুরু হয়ে ছিল, কমিউনিস্ট বিদ্রোহীর চার বছর পূর্বে বাবরি মসজিদ নিয়ে প্রথম বিবাদের কথা উল্লেখ হয় ইতিহাসের পাতায়, গত পাঁচ বছর ধরে কত রকমের বাঁক ঝাঁক নিলো এই রাম জন্মভূমি নিয়ে। আর এখন ২০২৪ কোনো রকমে সত্য-মিথ্যা, অত্যাচার অবিচার যেভাবেই হোক না কেন বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মুন্দির নির্মাণ হলো।  

স্বাধীনতার পূর্বে রাম মুন্দিরের চর্চা শুরু হলেও তা নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা প্রাপ্তির  পর থেকেই, গোটা পরিকল্পনায় সব থেকে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিন বন্ধু- মহারাজা পাটেশ্বরী প্রসাদ সিং, সিভিল সার্ভিস অফিসার কে কে নায়ার এবং মহন্ত দিগ্যোয় নাথ।  রাম মুন্দির নির্মাণের বীজ পোতা শুরু হয়েছিল বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে রাতের অন্ধকারে  রামলালের মূর্তি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে, তার ফল হিসাবে আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মুন্দির। 

বাবরি থেকে রাম-মুন্দির হয়ে ওঠার সময় সূচি 

 ১৫২৮ -২৯  মূঘল বাদশা জহিরুদ্দিন বাবরের সেনাপতি মীর বাকী প্রথম মূঘল সম্রাজ্যের রাজার আদেশ অনুযায়ি তার নাম অযোধ্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যাকে বাবরি মসজিদ বলে জানা হয়। ১৮৫৩ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পূর্বে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রথম ধর্মীয় বিবাদ শুরু হয়, ১৮৫৯ মুঘল সম্রাজ্যের পতন হয়, সিপাহী বিদ্রোহী ও শেষ আর তখন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ রাজ্ সুপ্রতিষ্ট হয়, প্রথম ফায়জাবাদের আদালতের দ্রাস্থ হয়ে রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদের কাঠামোর বাইরে শামিয়ানা তৈরী করে রামলালের মূর্তি এস্থাপনের আবেদন জানান মোহান্ত রঘুবীর দাস, সেই আর্জি খারিজ করে ব্রিটিশ আদালত, ধর্মীয় বিবাদ আয়ত্তের বাইরে চলে যাবার ৬ বছর পর ব্রিটিশ সরকার মসজিদের চারপাশে বেষ্টন করে দেয়, এবং ভিতরের অংশে মুসলিম আর বাইরের অংশে হিন্দু সম্পদায়দের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়, প্রায় ৯০ বছর এমন হালাতে কাটছিলো সব কিছু।

১৯৩৪-১৯৪৬ সালে গো-হত্যার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সম্প্রদায়িক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো যার জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন তাদের থেকে তকালীন সময় ও আইন অনুযায়ি জরিমানা তালেব করেন।  আর এই সময়ের শেষের দিকে অখিল ভারতীয় রামায়ণ মহাসভা (AVHP) হিন্দু মহাসভার একটি শাখা, বিতর্কিত জায়গার জন্য আন্দোলন শুরু করে। স্বাধীনতার পর বাবরি সংঘাতে অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়, ১৯৪৯ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে সংঘ পরিবার দ্বারা রাতের অন্ধকারে অন্যায় ভাবে রামলালের মূর্তি আস্থাপন করা হয়, পরের দিন মুন্দির পন্থীরা দাবি জানান যে ওখানে স্বয়ং রামলাল প্রকট হেয়ছেন, পরের দিন ফায়জাবাদ জেলার অযোধ্যা পুলিশ স্টেশনে অফিসার ইনচার্জ পন্ডিত রাম দেব দুবে ওই ঘটনায় অবিরাম দাস, রামসকল দাস, সুদর্শন  দাস - সহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে FIR ( First information report) দায়ের করেন। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৭ দাঙ্গা, অবৈধ প্রবেশ ৪৪৮, ২৯৫ উপাসনাস্থলের অসম্মান ধারায় অভিযোগ আনা হয়, গোটা ঘটনায় প্রধান মুন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু অত্যান্ত দুঃখ প্রকাশ করেন, দুই সম্প্রদায় আদালতের দিকে ধাবিত হয়, আর গোটা বিষয় টি চির তোরের জন্য বন্দ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। 

১৯৫০ সালে গোপাল শিমলা এবং মোহান্ত রামচন্দ্র দাস দুই হিন্দু উগ্গ্রবাদী সংগঠনের শীর্ষক বিতর্কিত স্থানে পূজা পাট করার অনুমতি চাই, ১৯৫৯ সালে আবার একজন হিন্দু বাহিনী বিতর্কিত জমির বালিকানা দাবি করে মামলা করে নির্মোহী আখড়া, ১৯৬১ উত্তর প্রদেশের মুখ মুন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ সুন্নি সেন্ট্রাল ওঃফ বোর্ড জায়গাটির দখল এবং মূর্তি অপসারণের জন্য মামলা দায়ের করে।

১৯৮৪ -২০১৪ সালে ইতিহাসের পাতায় এক নতুন অধ্যায় সংযোগ হয়

১৯৮৪ সালে ইতিহাসের পৃষ্টে এক নতুন অধ্যায় সংযোগ হয়, জাতীয় কংগ্রেসের পর এক নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হয়, ভারতীয় জনতা পার্টি, তার সঙ্গে গোটা দেশের মাথা চড়া দেয়  হিন্দুত্ব বাদী, লর্ড রামের জন্মভূমিকে অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করার ডাক দেয়, উগ্র হিন্ধবাদী সগঠনের নেতৃত্বে সংগঠিত হয় রাম মুন্দির কমিটি, তার পুরোধা করে বি যে পি নেতা  লাল কৃষ্ণা আডবাণী।   

এর পর ৭ অক্টোবর অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একার জমি অধিগ্রহণ করে, সেখানে শুরু হয় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের আশ্রয় এস্থল গোড়ার উদ্যোগ, কিন্তু এর ৩ দিনের মাথায় হাশিম আনসারীর আবেদনর প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় বিতরর্ক জায়গাতে কোনো নির্মাণ চলবে না, মুসলমানদের শান্ত করার জন্য ধর্মীয় উপাসনা এস্থলের আইন পাশ হয়, এই আইনে মুসমানদের আসসান ও বিশ্বাস  দেয়া হয় যে বাবরি মসজিদ হারালেও অন্য কোনো মসজিদের প্রতি হানা আসবে না কিন্তু এখন তার উল্টো তা দেখা যাচ্ছে। 

১৯৯২ সালের ২৭ নভেম্বর  ভারতের ইতিহাসের এক তৎপর্য পূর্ণ দিন , BHP, BJP এবং শিব সেনা-র সমার্থকরা চড়াও হয়ে গুড়িয়ে দেয় বাবরি মসজিদের কাঠামো, শুরু হয় রক্ষক্ষয়ী দাঙ্গা, প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, সেয় সময়ের কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেস সরকার, সেয় দিন উত্তর প্রদেশ সরকার নিরসিংহ রাও রাজ্যে সভাপতি রাজ্ ঘোষিত করে, হিন্দু মুসলিম সম্প্রতিক দাঙ্গায় জ্বলে ওঠে সমস্ত অলি গলি, হিন্দু মুসলিম হিংসা, ফুটে পড়লো দেশের প্রান্তে প্রান্তে। বাবরি দাঙ্গায় পৃথক ভাবে দুইটি কেস দায়ের হয়, তার মধ্যে ভারতী জনতা পার্টির বরিষ্ট ৮ জন নেতার বিরুদ্ধে ও রাইবরেলি কোর্টে মামলা দার্জ হয়; লাল কৃষ্ণা আদবানি,মুরলি মনোহর যোশী, অশোক সিংহল,গিরিরাজ কিশোর, উমা ভারতী, শতাব্দী ঋতমবার, বিনয় কাটিয়ার, এবং বিষ্ণু হরি ডামিয়া। 

১৯৯৩-২০০২ এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সংসদে আইন পাস করে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির দখল নেয় কেন্দ্র সরকার, কিন্তু ৮০ জন রাজনীতি নেতা দের বিরুদ্ধে, বাবরি ষড়যন্ত্রে  জড়িত টাকার অভিযোগ আনা হয় প্ৰাক্তন মুখোমুন্ত্রী কল্যাণ সিংহ, শিব সেনার প্রধান প্রমুখ বলা সাহেব ঠাকুর, ন্যাসের মোহান্ত নির্মিত গোপাল দেশের বিরুদ্ধে,আর ২০০২ সালে শুরু হয় জমির আসল মালিক নিয়ে। 

২০০৩ -২০১৭ এলাহাবাদ হাইকোর্ট A S I (আরকোলোজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) -কে মসজিদস্থলে আদেও কোনো মন্দির ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার আদেশ দেন, কোনো করার পরে এ স ই আদালতে মসজিদের নিচে অ-ইসলামী ধ্বংস, এবং হিন্দু দেব দেবতার প্রতিমার অংশের রিপোর্ট আদালতে পেশ করেন, কিন্তু তখনি MPLB (মুসলিম পার্সোনাল লাউ বোর্ড) A S I -এর এই এক নজরি তদন্তকে চ্যালেঞ্জ জানায়।ওদিকে কোর্টে বাবরি নিয়া মামলা চলতে থাকে অন্য দিকে জেল থেকে আদবানি মুক্তি পায়, একই  সঙ্গে কোর্ট বাবরি বিতর্কিত জায়গায় কোনো রকমের ধর্মীয় আস্থা ও মানুষ জনের প্রবেশ নিষেধ করে।  ১৪ মার্চ ২০০৩ সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রদিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বাবরি মামলা অকার্যকর রাখার আদেশ দেন, কিন্তু ২০০৫ সালে কি বা ই আদালতের নির্দেশ খারিজ করে এবং এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায় যে আদবানির বিরুদ্ধে আবার বিচার চলবে, ২০০৯ লিব্রাহান কমিশন রিপোর্ট ৯০০ পাতার রিপোর্ট পেশ করে উল্লেখ করে যে বাবরি মসজিদের উপরে হামলা এবং ওখানে মূর্তি রাখার ঘটনা সম্পূর্ণ মনোঘরোত কিন্ত অন্য দিকে আদবানি আর জোশিকে কিলিন চিট দেয়া হয়। 

২০১০ সালে অযোধ্যা মামলার রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৩ বিচারকের বেঞ্চ সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতের উপর ভিত্তি করে জনই, বিতর্কিত জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেও হয়; সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নিমরোহী আখড়া, এবং রামলালা বিরজমানের মধ্যে। ২০১৭ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি জগদীপ সিং খের বলেন; বাবরি বিতর্কের মিমাংসা কোর্টের বাইরে করে নেও হোক তা না হলে ধীরে ধীরে এই বিষয় টি গভীর এবং সংকীর্ণ হতে যাচ্ছে, আর এই বছরেই অযোধ্যা মামলা শুনানির জন্য ৩ বিচার পতির বেঞ্চ গঠন করে  সুপ্রিম কোর্ট,  ২০ নভেম্বর উত্তর প্রদেশ শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড জানায়; অযোধ্যায় মুন্দির বানাই বানাক কিন্তু তার পরিবর্তে লাখনৌতে মসজিদ বানিয়া দেও হোক। ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচার পতি এস আব্দুল নাজিরএর বেঞ্চ আবার নতুন করে শুরু হয় অযোধ্যা মামলা।  

২০১৮-২০২০—  ৮ জানুয়ারী নয়া বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর নেতৃত্বে আবার নতুন করে বিচার পতি বেঞ্চ গঠন হয়, আবার ২০১৯, ৮ মার্চ  ওনার নেতৃত্বে ৫ জন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন হয়, এফ এম কালিফুল্লা, অত্যাধিক গুরু শ্রী শ্রী রাবিশঙ্কর এবং আইনজীবী শ্রী রাম পঞ্চুকে নিয়ে মধ্যস্তা প্যানেল তৈরি করেন সুপ্রিম কোর্ট। ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন অনেক হয়েছে আজই শেষ করতে হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি। ২০১৯,৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রাই দেয় অযোধ্যার জমিতে রাম মুন্ডির গঠিত হবে আর আর মুসলিম দের জন্য ৫ একার জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দায়িত্বে দেয়া হবে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাবরি মসজিদের রাই নিয়ে একাদিহাকে আবেদন পাত্র খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০, ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমুন্ডিরের ভিত্তিপ্রস্তর এস্থাপনের আগে ভূমি পুজো করে প্রধান মুন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এর পর রুপার ইট দিয়ে রামমুন্দিরের অনুষ্ঠানিক শিলান্যাস হয়, সেই রাম মুন্দিরের উদ্বোধন আগামী ২২ জানুয়ারী হবে।

তিন মূর্তির কীর্তকথা

স্বাধীনতার পূর্বে চর্চা শুরু হলে ও রাম  মুন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকেই। গোটা পরিকল্পনায় সব থেকে গুরুপ্ত পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিন বন্ধ; মহারাজ পাটেশ্বরী প্রসাদ সিংহ, সিভিল সার্ভিসে অফিসার' কে কে নায়ার এবং মোহান্ত দিগ্গজ নাথ।  রাম মুন্ডির বীজ পোতা শুরু হয়েছিল বাবরি মসজিদের মূল গুম্বুজের নিচে রাতের অন্ধকারে রাম লালার মূর্তি এস্থাপনের মধ্যে দিয়া। সেই সময় গোবিন্দ বল্লভ ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ মুন্ত্রী ২৬ জানুয়ারী ১৯৫০-২৭ ডিসেম্বর,১৯৫৪ তিনি বাবরি মসজিদে রাম-সীতার মূর্তি সরাতে রাজি হননি, এ বিষয়ে প্রধান মুন্ত্রী নেহরুর নির্দেশ ও তিনি মানেনি। 

১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে তিন রামপ্রেমী পরিকল্পনা অনুযায়ি বাবরি মসজিদের মূল গম্বুজের নিচে রামলালের মূর্তি এস্থাপনের মধ্যে দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়, পরের দিন ২৩ ডিসেম্বর সকাল বেলা হটাৎ প্রকট ভয়ে কৃপালা প্রতিধবীতে গোটা অযোধ্যা মুখরিত হয়ে ওঠে, শ্রী রাম প্রকট হয়েছেন, সেই প্রথম শ্রী রাম আত্মহারা হয়ে উঠলেন রাম প্রেমীরা, প্রথম দিকে মুন্দির মাত্র কল্পনা ও কষ্টের মতো ছিল, পরবর্তীতে ভারতের রাজনৈতিক মতদর্শকে বদলে দিলে মন গোড়া এই রাম জন্মভূমির বিবাদ। 

সমাপ্ত 

উত্তর প্রদেশের জেলা অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে নির্মাণ করা হলো রাম মুন্দির, তা উদ্বোধন করলেন শ্রী মোদী এবং রাষ্ট্রিয় হিন্দু বাহিনীর কত্র্রী পক্ষ ও নেতা বিন্দু, মুসলিম পার্সোনাল লাউ বোর্ড এর বয়ান অনুযায়ি ওই মুন্দির অত্যাচার করে বানানো হচ্ছে, তাই সরকারের কাছে আবেদন যে ওই জায়গায় মুন্দির না বানিয়া সরকার অন্য কোথাও যেন মুন্দির গঠন করে, কিন্তু এখন র কিছু করার নেয়, যা হবার তা হয়ে গেছে, অন্য মসজিদ গুলো সুরিক্ষিত এবং সুসজ্জিত রাখা মুসলমানদের দায়ত্ব, যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ভয়ঙ্কর প্রস্তিতির সামনে করতে পারেন তারা। অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদে মজলিস এ মুসলিমিন এর নেতা জনাব আসাদুদ্দিন ওয়াইসী সাহেব দেশ মাসিদের উদ্দেশে বলেন যে রাম মুন্ডিরের জায়গায় যে মসজিদ বানানো হচ্ছে তাতে যেন সরকার রাজনীতি না খেলে, ধর্মীয় বিশ্বাসের বস্তু নিয়ে রাজনীতি করা বন্ড করা উচিত। তাই আমাদের সুশিক্ষিত হওয়া খুব প্রয়েজন, সঠিক আর বেঠিক বুঝে পথ চলা আবশ্যক, তা না হলে ভবিষতে আমাদের বুদ্ধি ও অস্তিতিতে জন্মের জন্য মাটির সঙ্গে মিশে যাবে।  

Reference

  • Three-member mediation panel gets only a passing mention in Ayodhya verdict

New Delhi | Updated: November 10, 2019 04:52 IST

https://indianexpress.com/article/india/three-member-mediation-panel-gets-only-a-passing-mention-in 

https://www.thehindu.com/news/national/babri-masjid-demolition-key-conclusions-by-liberhan-commission/article32730876.ece

  • Destruction of the Babri Masjid A National Dishonour by A.G. Noorani

  • Babri Masjid: A Tale Untold by Muhammad Jamil Akhtar

  • Two Urdu Poems Reflect How Babri Masjid Demolition Was an Attack on India as a Whole (The Wire) 

Related Posts

Leave A Comment

1 Comments

Voting Poll

Get Newsletter