ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা

বিশ্বের ইতিহাসে এক ভয়ানক অধ্যয় 'আয়্যামে জাহিলিয়ার' যুগ। সে যুগে মানুষ ছিল পাপে লিপ্ত। তারা নারীদেরকে সন্মান দিত না ,কন্যা সন্তান হলে নিঘাত করত। জিবন্ত কন্যাকে মাটিতে কবর দিত, নারীকে কনোরকমের অধিকার দিত না, তাদের সাথে মন্দ ব্যাবহার করত, রাস্তায় নারীদেরকে ধর্ষণ করত এবং মেরে রাস্তায় ফেল দিত। চরমভাবে অত্যাচার করত, সেই জন্য মহান করুনাময় রাব্বুল ইজ্জত দুনিয়ার বুকে এক মানবতার অগ্রদূত, বিশ্ব শান্তির প্রবর্তক মহা নবী হযরত মুহাম্মাদ (স) কে প্রেরণ করলেন সমাজে ইসলাম প্রচার করলেন, ইসলামি আইন আনয়ন করেন, যার ফলে নারীরা অত্যাচার থেকে মুক্ত পায় এবং নারীদের কে নিজের অধিকার দেন। কিন্তু এই কাজ কোনো ধর্ম এর আগে করেনি আর অন্যান্য ধর্মে নারীদের কে পাপের প্রতিক বলা হয়েছে। শুধু ইসলামিই হচ্ছে এক ধর্ম যে , নারীদের কে অধিকার ও সন্মান দিয়েছে। 

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন: হে নবী মুমিনদের বলে দিন ,তারা যেন পর স্ত্রী থেকে তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌনাঙ্গ সংরক্ষণ করে চলে। কারন এটাই তাদের জন্য উৎকৃষ্ট পান্থা। বস্ততা তারা যা কিছু করে আল্লাহ তা খবর রাখেন এবং মুমিন নারীদের বলেদিন ,তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌনাঙ্গকে গোনাহ থেকে সংরক্ষণ করে ।দৈনন্দিন সময়ে দেখা যায় যে, নারীদের ধর্ষনের শিকার হতে হচ্ছে। কারন সে আল্লাহর কালাম মানে না তারা ঘর থেকে বাইরে যাচ্ছে না পর্দা হয়ে । আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলছেন ,হে নারীগণ

তোমরা পূর্বেকার বর্বর যুগের ন্যায় ঘর থেকে বের হবে না ।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে , কুরআনে পর্দার এত গুরুপ্ততা দেওয়ার সত্তেও আজ নারীরা পর্দা করা ছেড়ে দিয়েছে। নারী শরিয়ত না মেনে খোলা পর্দায় ঘুরে বোরাচ্ছে তার জন্য নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কিন্তু যদি ইসলামের শরিয়তকে মেনে নেয়, তবে নারীগণ ধর্ষণের শিকার হতে বেঁচে যাবে।

হযরত মুহাম্মাদ (স) হাদিসে বলেন ; যদি নারী ঘর থেকে বেড় হয়, তাহলে ঘর থেকে বেড় হবার সময় চাদর বা বোরকা দিয়ে সম্পূর্ণ শরীরকে যেন লুকিয়ে নেয় । লুকিয়ে নেওার কথার এটাও হতে পারে যে ,নারী হচ্ছে একটি ইজ্জত।

নারী যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায় ,তখন তাদের শরীরের কোন অংশ দেখা বা দেখানো জায়েয নয় ।

আল্লাহ পাক নারীর মর্যাদার জন্য কুরআন পাকে বলেছেন; যে সব পুরুষ ও নারী ইসলামের নীতিতে চলবে, তারা তাদের প্রচেষ্টার জন্য সমান পুষ্কার লাভ করবে।

আল্লাহ পাকের প্রতি আত্মসমপূর্ণকারি পুরুষ ও আল্লাহ পাকের প্রতি আত্মসমপূর্ণকারি নারী ,বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী দৃঢ় পুরুষ ও নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী ,দানশীল পুরুষ ও নারী ,সিয়াম পালোনকারী পুরুষ ও নারী ,সৎ পুরুষ ও নারী ,আর আল্লাহ পাককে স্বরণকারী পুরুষ ও মহিলা, এদেঁরকে আল্লাহ পাক অবশ্যয় ক্ষমা ও মহাপুষ্কার প্রদান করবেন ।

ইসলামে নারীদের জন্য অনেক নির্দেশন দিয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে যে,আল্লাহ পাক ইজ্জাত পুরুষদের মধ্যে হতে নারীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে

তোমরা সহানুভুতি লাভ করতে পারো। মানুষের মধ্যে তিনি দান করেছেন পুরুষ্কারের প্রতি প্রেম ও দয়া। অনেকে বলে থাকে, ইসলাম নারীদেরকে সন্মান দেয় না, তদের জন্য এই কথা বলি যে, ইসলাম হচ্ছে একটি ধর্ম যে নারীদেরকে মর্যাদা

দিয়েছে আর নারীরা তাদের নিজের অধিকার কে ফিরে পাই । জৈন ধর্মে বলা রয়েছে, যে নারী হচ্ছে একটি সমাজের ভারী বোঝা। কিন্তু নারীগণ এই রকম নয়, বরণ নারী হচ্ছে সমাজের সন্মান ও ইজ্জত । নারীদের সব থেকে গর্বের বিশ্বয় হচ্ছে যে, মা আমিনা হলেন নারী, যে নবি রসুলের জননি ও মাতা ।

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter