মহাবিশ্ব কেন্দ্রঃ আল কোরআন বনাম বিজ্ঞান এক তুলনামূলক আলোচনা

মহাবিশ্ব কেন্দ্রঃ আল কোরআন বনাম বিজ্ঞান এক তুলনামূলক আলোচনা

ভূমিকা

এই পৃথিবীতে মানুষ আসার প্রথম দিন থেকেই তারা প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টা করে। নিজের অস্তিত্ব ও ইস্থাইত্ব তাকে নিয়ে আলোচনা করতে থাকে, পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা এবং ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে। আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাইহি সাল্লাম কে নিয়ে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পূর্বে নবীগণ সমাজবিজ্ঞান ও প্রকৃতি বিজ্ঞানের চর্চা করে গেছেন । প্রায় খ্রিস্টপর্ব দুই শতাব্দী থেকেই মহাবিশ্ব কেন্দ্র কে নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব ও বিবাদ। শুরু হয় পৃথিবীর ভূকেন্দ্রিক এবং সূর্যকেন্দ্রিক সিস্টেমের তুলনা । বিভিন্ন সভ্যতার মানুষ এটা বিশ্বাস রাখতো যে পৃথিবী হলো সৌরজগতের কেন্দ্র এবং অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্র তার চারপাশে আবর্তিত হয়। এই চিন্তা ধারায় বহু বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। নবজাগরণের সময় পুনরায় বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে মহা বিপ্লব সংঘটিত হয়। জ্যোতিবিজ্ঞানিক নিকোলাস কোপার্নিকাস তিনি আকাশ পর্যবেক্ষণ করেন এবং তথ্য পান যে, সূর্য হল মহা বিশ্বের কেন্দ্র আর অন্যান্য নক্ষত্র তার পাশে নিজ নিজ গতিতে আবর্তিত হয়। এইভাবে মহাবিশ্ব কেন্দ্রের ধারণাটি সংশোধিত হয়েছে যা অগণিত। এই তুলনামূলক আলোচনায় আমরা চর্চা করব মহাকেন্দ্রকে ঘিরে বিজ্ঞান ও আমাদের ইসলাম ধর্মের কি ধারণা?, আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন মহ কেন্দ্রের সম্পর্কে কিরূপ বিবরণ প্রকাশ করে?।  

বৈজ্ঞানিক ধারণা

প্রথমত মানুষ নিজের জীবন কালকেই প্রাধান্য দিয়ে পৃথিবীর ক্রিয়া-কলাপের বিবরণ দিত। সুতরাং মানুষ নিজেদেরকেই সবকিছুর কেন্দ্র বলে গণনা করত । খ্রিস্তাব্দ দুই শতকে গ্রিক দার্শনিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্লাডয়াস টলেমি অব আলেকজান্ডারিয়া মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা প্রদান করেন, যে পৃথিবী হলো স্থিরশীল মহাবিশ্বের কেন্দ্রস্থল এবং সমস্ত গ্রহ, সূর্য ও নক্ষত্ররা এটিকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, যা বর্তমান ভূকেন্দ্রিক ( GEOCENTRIC ) ধারণা নামে পরিচিত । পরবর্তীতে দার্শনিক অ্যারিস্টটল এই ধারণাটিকে সমর্থন জানান। টলেমির এই ভূকেন্দ্রিক ধারণাটি প্রায় ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে ।

তখনকার সময় এই ধারণাটিকে তিনটি তথ্য সমর্থন করত :

১) প্রতিদিন সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীতে দিনের আবির্ভাব।

২) পৃথিবী হচ্ছে কঠিন, আর কঠিন স্থিরশীল যা আবর্তিত হয় না।

৩) খ্রিষ্টান ক্যাথলিক বিশ্বাস: তারা মনে করত যে মহান আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীকে সৌরজগতের কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করেছেন। যাতে করে সমস্ত প্রজাতির ওপরে তিনি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে পারেন।

নবজগরণ খ্রিস্টাব্দে এলেন জ্যোতি বৈজ্ঞানিক নিকোলাস কোপার্নিকাস তিনার বিখ্যাত বই এ তথ্য জানান যে, “পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয়, সূর্যই হল মহাবিশ্বের কেন্দ্র। কারণ প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের মধ্যবিন্দু হল সূর্য। আর অন্যান্য নক্ষত্র, গ্রহ তার পাশে ঘুরছে।” সেখান থেকে উৎপন্ন হয় সূর্যকেন্দ্রিক ( HELIOCENTRIC ) এর ধারণা, এটি কোপার্নিকাস মূলনীতি নামেও পরিচিত। ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী ইউ হান্নাশ কেপলার এই মতবাদটিকে সমর্থন করলেও তিনি আকাশ পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার দ্বারা কিছু তথ্য সংগ্রহণ করেন। তিনার বিখ্যাত পুস্তক (Astronomia nova)-তে মত প্রকাশ করেন: “কেবলমাত্র গ্রহ গুলো সূর্যের ডিম্বা কৃতির কক্ষপথেই চলমান নয় বরং সেগুলো অনিয়মিত গতিতে নিজ নিজ স্থানে গতিমাণ” এই মত থেকেই রাত দিনের বিষয়টি উৎপন্ন হয়। 

কোরানিক ধারণা

মহান আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদিয়ার কল্যাণের জন্য অবতীর্ণ করেন ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন । যা মানুষকে সত্যের দিশারী এবং হেদায়েতের পথে প্রচলিত করে। এটি হলো সমস্ত জ্ঞান ও কলা কৌশলের সমষ্টি। সুতরাং বহু বৈজ্ঞানিক তাদের নানা আবিষ্কারের সূত্র কোরআন হইতে বর্ণনা দেন। আবার অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডক্টর মরিস বুকাইলি। আল কোরআনের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যসমূহ প্রমাণ করে, এটি আল্লাহর আসমানী কিতাব।

আল কুরআনে বহু জায়গায় বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে গ্রহ,নক্ষত্র, সূর্য, চাঁদ ইত্যাদির সন্তরণের কথা প্রকাশ পাই। যা নিম্নলিখিত বঙ্গানুবাদ সহ দেওয়া হলো:

১) لّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لأَجَلٍ 

مُّسَمًّى يُدَبِّرُ الأَمْرَ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لَعَلَّكُم بِلِقَاء رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ

আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও। [সুরা রা’দ - ১৩:২]

২) لَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى وَأَنَّ

اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন? [সুরা লুকমান - ৩১:২৯]

৩) ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ

এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিলকরে দেন এবং আল্লাহ সবকিছু শোনেন, দেখেন। [সুরা হাজ্জ্ব - ২২:৬১]

৪) خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ

يَجْرِي لِأَجَلٍ مُسَمًّى أَلَا هُوَ الْعَزِيزُ الْغَفَّارُ 

তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারাআচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল

পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। [সুরা যুমার - ৩৯:৫]

৫) وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ      

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [সুরা আম্বিয়া - ২১:৩৩] 

অতএব , উপরে উক্ত আয়াতের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে বোঝা যাই ,সূর্য, পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র প্রতেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরন করে।

প্রশ্ন : উপরে দেওয়া আয়াতগুলির মাধ্যমে চন্দ্র সূর্যের আবর্তনের কথা প্রকাশ পায় কিন্তু পৃথিবীর আবর্তনের কথা উল্লেখ পাওয়া যাই না,এর মানে পৃথিবী স্থির, চলমান নয়?। 

উত্তর: আমরা উপরে দেওয়া আয়াত থেকেই বুঝতে পারব যে, মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা আম্বিয়া, আয়াত নাম্বার ৩৩ এ বর্ণনা করেনঃ “ তিনি সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং চন্দ্র-সূর্য সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে”। এখন প্রশ্ন জাগে চন্দ্র-সূর্য নিজের নির্দিষ্ট কক্ষ পথে আবর্তিত হয়, তবে রাত ও দিনের কক্ষপথ কোথায়?। অতএব তারা কোথায় আবর্তিত হয়?। দিন ও রাত্রি দুটোই পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত এবং দুটি ঘটনায় পৃথিবীকে অনুসরণ করে। সুতরাং, এখানে পৃথিবী গতিমান তা গোপনীয় ভাবে দেখতে পাওয়া যাই। কোরআন এটিকে (كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ )দ্বারা প্রকাশ করে অর্থাৎ ‘প্রত্যেকটি নিজের কক্ষপথে আবর্তিত করে’। এখানে ( كُلٌّ)কুল্লুন শব্দটি রাত ও দিনকেও বোঝায়।   

প্রশ্ন: যদি পৃথিবী গতিমান তাহলে আমরা অনুভব করতে পারি না কেন?।                                       

¬¬¬¬উত্তরঃ আসলে পৃথিবীর সমস্ত বস্তুই গতিমান বলেই আমরা এর গতিকে অনুভব করতে পারি না। উদাহরণ - যখন আমরা উড়োজাহাজে বা ট্রেনে ভ্রমণ করি, তখন আমরা বুঝতে পারি না যে ট্রেন এখন চলমান অবস্থায় আছে? ও উড়োজাহজ আকাশে তার নিজেই গতিতে চলছে কি না? এর কারণ, পৃথিবী নিজের কক্ষপথে ঘুরছে সেরূপ তার সঙ্গে সমস্ত বস্তুই ঘুরছে।     

চন্দ্র সূর্যকে ঘিরে আধুনিক ধারণা এবং আল কোরআন 

আধুনিক জ্যোতিষশাস্ত্র এবং ন্যাশনাল আরোনেটিক্স অ্যান্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন ( NASA ) আবিষ্কার করে যে, “সূর্য নিজের কক্ষপথে আবর্তিত হয় যা প্রায় ২৫ দিনে সম্পূর্ণ করে। প্রতি সেকেন্ডে সূর্য ২৮০ কিলোমিটারের গতিতে আমাদের পৃথিবীর ছায়াপথের কেন্দ্রে একবার ঘুরতে তাকে ২০০ মিলিয়ন সময় লাগে। সূর্য সৌরজগতে নিজের যে নির্দিষ্ট স্থানে গতিমান সেই স্থানটির নাম হল সোলার অ্যাপেক্স (SOLAR APEX) সৌরভ সৃষ্ট, আর সৌরজগৎ মহাশূন্যের যে দিকে ধাবিত আছে বর্তমানে সেটি হল বৃহদাকারের এক গ্রুপ তরকা (consellation of Hercules alpha lyrea)।”

আমাদের গ্রন্থ আল কুরআন বর্ণনা করেঃ (وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ) সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তিত করে এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ, [সুরা ইয়া-সীন - ৩৬:৩৮]। অ্পর আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেঃ (لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ) অর্থাৎ- সূর্য নাগর পেতে পারেনা চাঁদের এবং রাত আগে চলে না দিনের, প্রত্যেককেই আপন আপন কক্ষপথের সন্তরণ করে [সুরা ইয়া-সীন - ৩৬:৪০]। এতদ্বারা বোঝা যায় বৈজ্ঞানিক এবং কোরানিক ধারণা একই। বিজ্ঞান বলে সূর্য সোলার এপেক্স নামক স্থানে গতিমান। আমাদের গ্রন্থ আল কুরআন বলে সূর্য (مُسْتَقَرّ) মুস্তাকার নামক স্থানে গতিমান। আমরা যদি আধুনিক অভিধানে শব্দটির অর্থ সন্ধান করি তাহলে তার মানে সোলার অ্যাপেক্স দেখতে পাব । অতএব বোঝা গেল কুরআন এবং বিজ্ঞানের ধারণা এক । এর জন্যই আজ আল কোরআন সারা পৃথিবীবাসীর কাছে আল্লাহর দ্বারা আবর্তনীয় এক উজ্জ্বল আসমানী কিতাব বলে পরিচিত।নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কযাণময় .

উপসংহার

আমাদের স্মরণে রাখতে হবে আল কুরআন বিজ্ঞান গ্রন্থ নয়, কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানের সমস্ত মৌলিক বিষয়কে গভীরভাবে চর্চা করে। আল কোরআন হলো সকল বস্তু ও জ্ঞানের আসল ভিত্তি এবং তাকে ঘিরে উৎপত্তি হয় বিজ্ঞানের। ১৪ শত বছর আগে আল কোরআন যা বিবরণ দিয়েছে সেসব আজ বৈজ্ঞানিকরা সমর্থন করে। যদি কোরআন এবং সৌরজগতের সত্যতা কে নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রকাশ পায় তাহলে আমাদের সম্মুখে দুটি সম্ভাবনার উৎপন্ন হয়:- এক হয়তো সৌরজগতের সত্যতা ভুল কিংবা আমরা কোরআনের যা আয়াত ব্যাখ্যা করেছি এবং বুঝেছি তার মধ্যে ত্রুটি আছে। আমাদের উপর অনিবার্য মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী সামনে রেখে আমরা সত্যের সন্ধান করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সত্যের পথিক বানিয়ে তোলেন আমিন।

রেফারেন্স

১) কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞানঃ সামঞ্জস্যপূর্ণ না অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ডঃ জাকির আব্দুল করিম নায়েক।

২) আল কোরআন ও বিজ্ঞান, মোঃ শামীম আখতার ।

৩) বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান, ডঃ মরিস বুকাইলি ।

৪) (حقيقة دوران الأرضي بين العلم والقران)আব্দুল দায়েম আল কাহিল

৫) কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান, ইমাম বাতায়ন

৬) কোরআন বঙ্গানুবাদ ( https://quran.habibur.com/ ) 

Related Posts

Leave A Comment

Voting Poll

Get Newsletter